

দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে তারা নিজেদের স্বাধীন ভাবলেও বিশ্বের মানচিত্রে ছিল না কোনো আইনি স্বীকৃতি। লাল-সবুজ-সাদা পতাকার আড়ালে একটি ভূখণ্ড বছরের পর বছর অপেক্ষায় ছিল একটি আনুষ্ঠানিক সইয়ের জন্য।
অবশেষে সেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটল এক ঐতিহাসিক ও নাটকীয় ঘোষণায়, যা এক নিমেষেই বদলে দিল হর্ন অব আফ্রিকার ভূ-রাজনীতি।
শুক্রবার বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে সোমালিল্যান্ডকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই পদক্ষেপকে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসের চেতনা বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আবদিরহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহির সঙ্গে কৃষি, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতার অঙ্গীকার করে একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন।
তবে এই ঘোষণায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে। সোমালিয়া সরকার একে তাদের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত এবং অবৈধ পদক্ষেপ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে।
মিশর, তুরস্ক ও জিবুতিও ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেছে। আফ্রিকান ইউনিয়ন-এউ সোমালিয়ার অখণ্ডতার পক্ষে তাদের অনড় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে জানিয়েছে, এমন স্বীকৃতি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলবে।
১৯৯১ সালে সোমালিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর সোমালিল্যান্ড নিজেদের আলাদা করে নিলেও এতদিন কোনো দেশের স্বীকৃতি পায়নি। ইসরায়েলের এই সাহসী পদক্ষেপে সোমালিল্যান্ড এখন বিশ্ববাজারে প্রবেশ ও কূটনৈতিক শক্তি বাড়ানোর নতুন স্বপ্ন দেখছে।
মন্তব্য করুন