

সুদানের উত্তর দারফুরের এল ফাশের শহরে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ব্যাপক জাতিগত হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে বলে জানিয়েছে সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক। গত দেড় বছরে অন্তত ১৪ হাজারের বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
সংস্থাটির মুখপাত্র তাসনিম আল-আমিন বুধবার (২৯ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে জানান, গত ১৮ মাসে গোলাবর্ষণ, অনাহার ও টার্গেট করে হত্যা—এই তিন উপায়ে এল ফাশের ও আশপাশের এলাকায় হাজারো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। কেবল গত তিন দিনেই প্রায় ১ হাজার ৫০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই শহর ছেড়ে পালানোর সময় গুলি করে হত্যা করা হয়।
দারফুরের আঞ্চলিক নেতা আল-হাদি ইদরিস বলেছেন, স্থানীয় ও জাতীয় বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি সতর্ক করেছেন, এল ফাশের ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে, যেখানে খাদ্য, ওষুধ ও পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে তিনি তাৎক্ষণিক ত্রাণ সহায়তার আহ্বান জানান।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস সাম্প্রতিক হামলায় এল ফাশেরের সৌদি মাতৃত্ব হাসপাতালে ৪৬০ জন রোগী ও স্বজনের হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন। সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত ১৮৫টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলা হয়েছে, এতে ১ হাজার ২০৪ জন নিহত ও ৪১৬ জন আহত হয়েছেন। শুধু চলতি বছরেই ৪৯টি ঘটনায় ৯৬৬ জন প্রাণ হারান।
এই ঘটনাগুলোর পরপরই আরএসএফ দাবি করে, তারা দারফুরের ঐতিহাসিক রাজধানী এল ফাশের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে, যা ছিল সেনাবাহিনীর শেষ বড় ঘাঁটি। শহরটি উত্তর সুদানের প্রবেশদ্বার এবং হারানো অঞ্চল পুনর্দখলের জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র : শাফাক নিউজ
মন্তব্য করুন