মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও বাড়িয়েছে জান্তা সরকার। এর ফলে দেশটিতে আসন্ন আগস্ট মাসের নির্বাচন আরও পেছাচ্ছে। দেশজুড়ে সহিংসতার কারণেই এ নির্বাচন পেছানো হচ্ছে। এর আগে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে জান্তা। খবর আলজাজিরার।
সোমবার (৩১ জুলাই) মিয়ানমারের জান্তা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।
জান্তা জানায়, সুন্দর ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা দরকার। পরিস্থিতি এখনো নির্বাচনের জন্য অনুকূলে আসেনি। এ জন্য জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও বাড়ানো হলো।
জান্তার এমন ঘোষণা মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে সেনাবাহিনীর নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো সক্ষমতা নেই এবং তারা বিরোধীদের তাদের অধীনে আনতে ব্যাপকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এ ছাড়া অহিংস প্রতিবাদ ও আইন অমান্যকারীদের নিয়ন্ত্রণে জান্তার চ্যালেঞ্জ বাড়ছে।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী তৎকালীন মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশন্যাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেতা অং সান সু চিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের আটক করে। সেনাবাহিনীর অভিযোগ, ২০২০ সালের নভেম্বরে নির্বাচনে জালিয়াতির মাধ্যমে এনএলডি ক্ষমতায় এসেছে। এর ফলে পাঁচ দশক ধরে চলমান সামরিক শাসন থেকে গণতান্ত্রিক সরকারের দিকে অগ্রযাত্রা আবার ব্যাহত হয়।
দেশটিতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর ২০২৩ সালে নির্বাচনের ঘোষণা দেয়। তবে সংবিধান অনুযায়ী জরুরি অবস্থার জারির কারণে এ সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। ফলে নির্বাচন আরও পেছাচ্ছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত চারবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং রোববার এক মিটিংয়ে জানান, সাগাইং, মাগওয়ে বাগো, তানিনথারি, কারান, কায়াহ ও চিন রাজ্যে চলমান সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়। এ জন্য জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও বাড়ানো হলো।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভির সম্প্রচারিত প্রতিবেদন অনুসারে ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি কাউন্সিল (এনডিএসসি) জানিয়েছে, সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব না। এ জন্য আমাদের আইনগত কাঠামো প্রস্তুতির জন্য চলমান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আরও কিছুদিন চলতে হবে। এ সময় নির্বাচনের ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
মন্তব্য করুন