কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৫, ০২:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণ কমলে বাড়বে তাপমাত্রা

দক্ষিণ এশিয়ায় তাপমাত্রা পরিস্থিতি। ছবি : সংগৃহীত
দক্ষিণ এশিয়ায় তাপমাত্রা পরিস্থিতি। ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ এশিয়া বিশ্বের উষ্ণতম অঞ্চলগুলোর একটি হলেও গত চার দশকে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এখানে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার অনেক কম ছিল। তবে নতুন গবেষণা বলছে, অঞ্চলে বায়ুদূষণ কমলে বাড়বে তাপমাত্রা বাড়বে।

সম্প্রতি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নতুন গবেষণা বলছে, স্থানীয় বায়ুদূষণ এবং ব্যাপক সেচ ব্যবস্থা এই ধীর গতির প্রধান কারণ। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, বায়ু পরিষ্কার ও পানির ঘাটতি মোকাবিলার উদ্যোগ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই অস্থায়ী সুরক্ষা হারিয়ে যাবে, যার ফলে তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে পারে।

গবেষণা বলা হয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতি দশকে তাপমাত্রা বেড়েছে মাত্র ০.০৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময়ে বিশ্বব্যাপী স্থলভাগে গড়ে বৃদ্ধির হার ছিল ০.৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এতে বলা হয়েছে, শিল্পদূষণ থেকে উৎপন্ন অ্যারোসল সূর্যের আলোকে আংশিকভাবে আটকে দিয়েছে, আর ব্যাপক সেচ ব্যবস্থা বাষ্পীভবনের মাধ্যমে জমিকে ঠান্ডা রেখেছে। এই দুটি কারণ ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমির ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি ‘উষ্ণতার গর্ত’ তৈরি করেছে। তবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং ভূগর্ভস্থ পানির হ্রাসের কারণে এই প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হবে না।

দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্বের জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের বেশি বাস করে এবং এই অঞ্চল ইতোমধ্যে চরম তাপপ্রবাহের মুখোমুখি। অ্যারোসল দূষণ কমানো জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এটি লুকানো উষ্ণতাকে উন্মোচন করবে। একইভাবে, ভূগর্ভস্থ পানির মজুদ কমে যাওয়ায় সেচের মাধ্যমে শীতলকরণ কমবে। এই পরিবর্তনগুলো তীব্র তাপপ্রবাহের ঝুঁকি বাড়াবে, যা জীবিকা, স্বাস্থ্য এবং জলবায়ু সহনশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত ২০২৬ সালের মধ্যে পিএম২.৫ কণিকা দূষণ ৪০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য নিয়েছে। সেচের মাত্রা স্থিতিশীল হয়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানীরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় আগামী ২০ বছরে তাপমাত্রা বিগত ২০ বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হারে বাড়বে। ২০৪৭ সালের মধ্যে তাপপ্রবাহের দিনগুলো চারগুণ বাড়তে পারে। বর্তমান তাপপ্রবাহ মোকাবিলার পরিকল্পনাগুলো এখনো অপর্যাপ্ত।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডেনিয়েল শ্রাগ বলেন, ভারত এভাবে সেচ চালিয়ে যেতে পারবে না। আর এই মাত্রার বায়ুদূষণও ধরে রাখতে পারবে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাথর উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান

নাটকীয় কামব্যাকের পর টাইব্রেকারে পিএসজির সুপার কাপ জয়

জন্মাষ্টমী : সাংবাদিকদের সাথে পূজা পরিষদের মতবিনিময় বৃহস্পতিবার

রাহুল গান্ধীকে হত্যার হুমকি

সাদা পাথর উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু

বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে উয়েফা সুপার কাপে

স্বর্ণ পাচারে জড়িত সেই কেবিন ক্রু রুদাবা সাসপেন্ড

ইতালি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকা ডুবে ২৬ জনের মৃত্যু

অফিসে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে কী করবেন 

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালককে গুলির পর কুপিয়ে হত্যা

১০

হাজার কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস 

১১

চৌকি কোর্টে অভিযোগের হেল্পলাইন চালু

১২

রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

১৩

আ.লীগ পালিয়েছে ভারতে, আপনাদের পালাতে হবে পাকিস্তানে : টিপু

১৪

গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় দুই কর্মকর্তাসহ ৮ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

১৫

জামিন পেলেন বিএনপির ১৩ নেতাকর্মী

১৬

বাংলাদেশে নিজের বিচার নিয়ে টিউলিপের প্রতিক্রিয়া

১৭

সেনাপ্রধানের নামে সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্ট, আইএসপিআরের সতর্কবার্তা

১৮

সাদা পাথর বাঁচাতে ৫ দফা সিদ্ধান্ত প্রশাসনের

১৯

যুক্তরাষ্ট্রে বার্সা-ভিয়ারিয়ালের ম্যাচ নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের আপত্তি

২০
X