কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:০৭ পিএম
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নাগোর্নো-কারাবাখে শান্তি ফেরাতে পাঠান হলো রুশ বাহিনী

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

দিনের পর দিন ইউক্রেনের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালানো সেনারা সংঘাতপূর্ণ নাগোর্নো-কারাবাখে আছেন শান্তির দূত হয়ে। বিপরীতমুখী এমন চরিত্রই ধারণ করছে রুশ সেনাবাহিনী। ২০২০ সালে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই সংঘাতপূর্ণ নাগোর্নো-কারাবাখে শান্তিরক্ষীর দায়িত্ব পালন করছে পুতিন বাহিনী। ঠিক তার দুই বছরের মাথায় ২০২২ সালে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে হামলা চালায় তারা।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত একটি রাষ্ট্র আজারবাইজান। ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণার পর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে যুদ্ধে জড়ায় প্রতিবেশী আর্মেনিয়ার সঙ্গে। অঞ্চলটির অধিকাংশ নাগরিক আর্মেনিয় বংশোদ্ভূত হওয়ায় এতে আজারবাইজানের প্রভাব অনেকাংশেই কম। ফলে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে ২০২০ সালে আবারো যুদ্ধ শুরু করে বাকু বাহিনী।

সে সময় আর্মেনিয়া-আজারবাইজারে এই দ্বন্দ্ব থামে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যস্থতায়। তখন থেকে এক চুক্তির আওতায় অঞ্চলটির নিরাপত্তা নিশ্চিতে শান্তিরক্ষীর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে রুশ সেনারা। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন সাবেক সোভিয়েতভুক্ত রাষ্ট্রগুলোতে নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর অংশ হিসেবেই এই সেনা মোতায়েন করেছে মস্কো। শান্তির রক্ষার মোড়কে রুশ প্রভাব বজায় রাখাই সাম্রাজ্যবাদী পুতিনের একমাত্র ইচ্ছা।

অন্যদিকে আর্মেনিয়াতেও রয়েছে রুশ বাহিনীর বিমানঘাঁটিসহ বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা। ককেশাস অঞ্চলকে মার্কিন প্রভাবমুক্ত রাখতেই এসব সামরিক ঘাটি নির্মাণ করেছে রাশিয়া। এমনকি অদূর ভবিষ্যতে এসব ঘাটি সরিয়ে নেওয়ারও কোনো সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

সোভিয়েত প্রভাব বজায় রাখার ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে সাবেক সোভিয়েতভুক্ত আরেক রাষ্ট্র ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে মস্কো বাহিনী। মূলত যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে কিয়েভের সদস্যপদ প্রাপ্তির সম্ভাবনা থেকে এই যুদ্ধ শুরু করে পুতিন বাহিনী। এখানেও নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার জন্যই সামরিক ব্যবস্থার মতো পদক্ষেপ নেয় রাশিয়া।

ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পরপরই চলতি বছর আরেক সাবেক সোভিয়েতভুক্ত রাষ্ট্র মলদোভাতে মস্কো সমর্থিত সরকার বসাতে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালায় রাশিয়া। বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠে দেশটির জনগণ ও পশ্চিমা কূটনীতিকরা। এর আগে ২০২২ সালে ইউক্রেনে অভিযান শুরুর আগে কাজাখস্তানে মস্কো সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দমনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে রুশ বাহিনী।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

রান্নায় মরিচ বেশি হলে যা করবেন

আজ ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকবে

নেইমারকে পেছনে ফেলে মেসির বিশ্বরেকর্ড

জবাব দিলেন সোনাক্ষী

অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে এক লাখ করে টাকা দেবে বিএনপি

চাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু, ১০ মিনিটে দিতে হবে ৪০ ভোট

ইস্টার্ন ব্যাংকে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ

অর্ধশতাধিক রাজনীতিকের ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

ঘুম থেকে উঠে আগে পানি খাবেন, না ব্রাশ করবেন—জানালেন চিকিৎসক

১০

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১১

ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশে ইন্টার্ন করার সুযোগ

১২

পুয়ের্তো রিকোকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে আর্জেন্টিনার জয়

১৩

চীনকে ঠেকাতে অভিনব উদ্যোগ ভারতের

১৪

বুধবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৫

১৫ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৬

৩৫ বছর পর আজ চাকসুর ভোট

১৭

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে বড় নিয়োগ

১৮

রাজস্থানে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, বাসে আগুনে পুড়ে ২০ জনের মৃত্যু

১৯

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক স্টাফ কলেজ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

২০
X