পরীক্ষার নাম শুনলেই অনেকের গায়ে জ্বর চলে আসার জোগাড় হয়। আর সেই পরীক্ষা যদি হয় বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা, তাহলে পরীক্ষার্থীর কী অবস্থা হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
তবুও এবার পরীক্ষার ভয়কে জয় করে বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা গাওকাও দিতে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ড ১ কোটি ৩৪ লাখ শিক্ষার্থী।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেতে যে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয় সেটির নামই হচ্ছে গাওকাও। এটিকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা।
কারণ, শৈশব থেকে কৈশোর পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থী স্কুলের ১২ বছরে যা কিছু শিখেছেন, তার সবই কাজে লাগে এই পরীক্ষায়। তীব্র প্রতিযোগিতার এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় দুই দিন ধরে। বিশ্বের বৃহত্তম এই অ্যাকাডেমিক পরীক্ষা ন্যাশনাল কলেজ এনট্রান্স পরীক্ষা নামেও পরিচিত।
বলা হয়, গাওকাও পরীক্ষার মাধ্যমেই নির্ধারিত হয়ে থাকে চীনের তরুণদের ভবিষ্যৎ। একজন শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় একবারই অংশ নিতে পারে। বেশ কঠিন এই পরীক্ষায় একমাত্র ভালো স্কোর করতে পারাই দেশটির শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রবেশের একমাত্র উপায়। পরীক্ষার সিলেবাসের মধ্যে রয়েছে চীনা সাহিত্য, গণিত, ইংরেজি, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, রাজনীতি ও ইতিহাসের মতো বিষয়।
চলতি বছর চীনের মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের আভাস পরীক্ষার্থীদেরকে গাওকাও পরীক্ষায় অংশ নিতে আরও বেশি উৎসাহিত করেছে। দেশটিতে এ বছর গাওকাও পরীক্ষা দিতে নিবন্ধন করেছেন ১ কোটি ৩৪ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী। যা গত বছরের রেকর্ড ১ কোটি ২৯ লাখ পরীক্ষার্থীর সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গাওকাও পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে উৎসাহ ও প্রেরণামূলক বার্তায় ভরে উঠেছে চীনের সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলো। এ ছাড়া মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে সবচেয়ে বেশি খোঁজা বিষয়গুলোর মধ্যেও রয়েছে গাওকাও।
পরীক্ষার্থীদের শুভকামনা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অনেক চীনা সেলিব্রিটিসহ আন্তর্জাতিক তারকারাও। এদের মধ্যে আছেন ব্রিটিশ ফুটবল কিংবদন্তি ডেভিড বেকহ্যামের মতো খেলোয়াড়ও।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে শুভকামনা জানিয়ে বেকহ্যাম লিখেছেন, ‘আমি শুভকামনা জানাতে চাই সেসব শিক্ষার্থীকে, যারা গাওকাও পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে।’ এরপর তিনি লিখেছেন চীনা শব্দগুচ্ছ ‘জিন ব্যাং তি মিং’—যার অর্থ গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করো।
মন্তব্য করুন