সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছেন জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। আজ শুক্রবার (২০ জুন) ইরান ইউরোপের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। এ আলোচনার উদ্দেশ্য ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাত বন্ধের একটি সমাধানে পৌঁছানো।
যারা যারা অংশগ্রহণ করছেন এ আলোচনায়
আলজাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি, ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-নোয়েল বারো, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভ্যাডেফুল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান কাইজা কালাস এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন।
ইউরোপের নেতারা সম্প্রতি ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাত কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ তাদের আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানের ওপর হামলা চালাতে পারে।
২০১৫ সালে ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি চুক্তিতে সই করেছিল ইরানের সঙ্গে। এই চুক্তির আওতায় ইরান তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করেছিল, আর এর বিনিময়ে বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
তবে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একতরফাভাবে এই চুক্তি থেকে সরে যান।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের বড় ধরনের সামরিক হামলার পর, ইরান একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুর ওপর। এতে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সংঘাত প্রশমন ও কূটনৈতিক সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে ইউরোপীয় দেশগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো জানাননি, মার্কিন বাহিনী ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে অংশ নেবে কি না। তার এই নীরবতাই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
জার্মান কূটনৈতিক সূত্র বলছে, আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রও সমন্বয়কারী ভূমিকা পালন করবে। মূল লক্ষ্য হলো ইরানকে এই আশ্বাস দেওয়া যে, বিশ্ব সম্প্রদায় তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ সীমারেখার মধ্যেই রাখতে চায় এবং সে উদ্দেশ্যেই গঠনমূলক আলোচনায় বসা হচ্ছে।
বৈঠকের পর বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে।
ইসরায়েল বারবার বলে আসছে, তাদের লক্ষ্য হলো ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতাকে পুরোপুরি ধ্বংস করা। তবে ইরান বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, তাদের কর্মসূচি শুধু শান্তিপূর্ণ গবেষণা ও শক্তি উৎপাদনের উদ্দেশ্যে।
মন্তব্য করুন