ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সময় বিবেচনায় নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পর্তুগাল।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দেশটির প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনেগ্রোর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, পর্তুগাল বিষয়টি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টের সঙ্গে আলোচনা করবে এবং নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনের হাই-লেভেল সপ্তাহেই এই প্রক্রিয়া শেষ করা যেতে পারে।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে পর্তুগাল গাজা সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে এবং দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের সম্ভাবনা ফিরিয়ে আনতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পক্ষে অবস্থান নিল। এর আগে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও কানাডা ঘোষণা দিয়েছে, তারা আসন্ন শরতের মধ্যেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
এদিকে, জার্মানি এখনই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ভাডেফুল বলেছেন, এই মুহূর্তে স্বীকৃতি দেওয়া যথাযথ নয়, তবে দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক আলোচনার প্রক্রিয়া এখনই শুরু হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, আলোচনার মাধ্যমে গঠিত একটি দুই-রাষ্ট্র সমাধানই একমাত্র পথ, যা ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি—দুই জনগোষ্ঠীর জন্যই শান্তি, নিরাপত্তা ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করতে পারে। জার্মানির কাছে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি এই প্রক্রিয়ার শেষ পর্যায়ে আসে। কিন্তু এই প্রক্রিয়াটি এখনই শুরু করতে হবে।
এ ছাড়া ইউরোপের আরও একটি শক্তিশালী কণ্ঠ হিসেবে সুইডেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত রাখতে। সুইডিশ কর্মকর্তারা গাজার ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতিকে উল্লেখ করে এই দাবি জানিয়েছেন।
সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল
মন্তব্য করুন