ফ্রান্সে হিজাব বিতর্ক অনেক দিনের। স্কুল-কলেজে হিজাববিরোধী একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে আসছে ফরাসি সরকার। সম্প্রতি হিজাব পরে স্কুলে যাওয়ায় এক ছাত্রীকে বের করে দেয় কর্তৃপক্ষ। স্কুলে এমন ঘটনার পর জাতিসংঘে অভিযোগ দায়ের করেছে ওই ছাত্রী। তার বক্তব্য, ধর্মীয় পরিচয়ের কারণেই সে বৈষম্যের শিকার হয়েছে। খবর আনাদোলুর।
১৫ বছর বয়সী ওই ছাত্রী ফ্রান্সের লিয়ন শহরে বসবাস করে। গত ৫ সেপ্টেম্বর স্কুলে হিজাব পরে যাওয়ায় তাকে বের করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এরপর সে জাতিসংঘের সমসাময়িক বর্ণবাদ, জাতিগত বৈষম্য, জেনোফোবিয়া বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি অশ্বিনী কেপির কাছে এ অভিযোগ পাঠিয়েছেন। আইনজীবী নাবিল বৌদির মাধ্যমে অভিযোগপত্রটি জাতিসংঘে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে নাবিল বৌদি বিষয়টি জানিয়েছেন।
হিজাব নিষেধাজ্ঞা প্রবর্তেনর কারণে ফরাসি শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটালের সমালোচনা করে ওই ছাত্রী বলে, তারা মনে করেন, ফরাসি সরকার নারীদের প্রতি সব ধরনের বৈষম্য প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি।
এর আগে একই কারণে লিয়ন শহরের পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসে অভিযোগ দায়ের করেছিল ওই ছাত্রী।
তার আগে চলতি মাসের শুরুতে ফরাসি সরকারের আবায়া (বোরকা) নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে রায় দেয় কাউন্সিল অব স্টেট আদালত। গত ৩১ আগস্ট মুসলিম রাইটস অ্যাকশনের আইনজীবী ভিনসেন্ট ব্রেনগার্থ কর্তৃক এ নিষেধাজ্ঞা বাতিল চেয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় দেয় আদালত।
মন্তব্য করুন