ওয়াগনার যোদ্ধারা রাশিয়া থেকে বেলারুশে প্রবেশ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে ইউক্রেনের বর্ডার গার্ড। বেলারুশে কত ওয়াগনার যোদ্ধা গেছেন, তারা ঠিক কোথায় অবস্থান করছেন এবং উদ্দেশ্যই বা কী তা জানতে কাজ করছে ইউক্রেনীয় সংস্থাটি।
একটি অসমর্থিত সূত্রের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, আজ শনিবার ভোরে প্রায় ৬০টি গাড়ি বহর নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বেলারুশে প্রবেশ করেছে ওয়াগনার যোদ্ধারা। বেলারুশের সঙ্গে ইইক্রেনের সীমান্ত রয়েছে।
গত ২৩ জুন রাশিয়ার সামরিক নেতাদের উৎখাত করতে বিদ্রোহের ঘোষণা দেন ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। ঘোষণার পর পর দেশটির রাজধানী মস্কো অভিমুখে যাত্রাও করে ওয়াগনার বাহিনী। তবে ওইদিন রাতে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ থেকে সরে আসেন প্রিগোজিন।
সমঝোতা অনুযায়ী, ওয়াগনার যোদ্ধাদের রাশিয়ার নিয়মিত সামরিক বাহিনীর সঙ্গে চুক্তি করে কাজ করতে হবে। আর তা না হলে তাদের বেলারুশে চলে যেতে হবে। প্রিগোজিনকেও বেলারুশ চলে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এসবের বিনিময়ে বিদ্রোহ সম্পর্কিত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয় রাশিয়া। তবে ২৪ জুনের পর প্রিগোজিনকে আর জনম্মুখে দেখা যায়নি।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, বেলারুশের সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে ওয়াগনার বাহিনী
বেলারুশিয়ান সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ করে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ভিডিওতে দেখা যায়, রাজধানী মিনস্ক থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ওসিপোভিচি শহরের কাছে একটি সামরিক এলাকায় সেনাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন ওয়াগনার যোদ্ধারা।
বেলারুশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ওয়াগনার যোদ্ধারা তাদের বেশ কয়েকটি সামরিক শাখায় প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন।
এরও আগে গত ৮ জুলাই ওয়াগনারের ভয়ে পূর্ব সীমান্তে এক হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করতে কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছিলেন পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারিউস ব্লাসজ্যাক।
ওয়াগনার যোদ্ধারা বেলারুশে পুনর্বাসিত হলে এ অঞ্চলে বড় ধরনের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই সেনা মোতায়ানের সিদ্ধান্ত নেয় পোল্যান্ড।
তখন মারিউস ব্লাসজ্যাক বলেছিলেন, ‘১২ ও ১৭তম ম্যাকানাইজড ব্রিগেডের এক হাজারের বেশি সেনা ও প্রায় ২০০ ইউনিট অস্ত্রশস্ত্র পূর্ব সীমান্তে যাচ্ছে। আমাদের সীমান্তে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করার যেকোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করার প্রস্তুতি হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
মন্তব্য করুন