কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৪, ১০:২৯ পিএম
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৪, ১০:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মৃতের দেহে প্রাণ ফিরিয়ে দিতে পারেন এই বাবা!

ভোলে বাবা ও তার অনুসারীরা। ছবি : সংগৃহীত
ভোলে বাবা ও তার অনুসারীরা। ছবি : সংগৃহীত

‘অলৌকিক শক্তি’ দিয়ে মৃত ব্যক্তির দেহে প্রাণ ফিরিতে দিতে পারেন তিনি। ২৬ বছর আগে এমন দাবি করেই ভক্তদের মধ্যে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন নারায়ণ সাকার বিশ্ব হরি ওরফে ভোলে বাবা। তা প্রমাণ করতে এক কিশোরীর দেহ কব্জাও করেছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালের ওই ঘটনায় গ্রেফতার হন এই বাবা। এরপর সেই ঘটনাই তাকে জেলের রাস্তা দেখিয়েছিল।

যে কিশোরীর মরদেহ কব্জা করে ভোলে বাবা জেলে গিয়েছিলেন, সেই কিশোরী ছিল পঙ্কজ কুমার নামে এক ব্যক্তির ভাতিজি। ভোলে বাবার ভক্ত পঙ্কজ কুমার জানান, তার ভাতিজি ক্যানসারে ভুগছিল। অসুখের তীব্রতায় হঠাৎ এক দিন জ্ঞান হারায় সে। এরপর জ্ঞান ফিরেও এলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় তার।

কিশোরীর দেহ নিয়ে তার পরিজনেরা যখন সৎকারের জন্য শ্মশানে পৌঁছান, তখনই সেখানে প্রায় ২০০ ভক্ত নিয়ে হাজির হন ভোলে বাবা। কিশোরীর পরিবারের কাছে বাবা দাবি করেন, তাকে ‘অলৌকিক শক্তি’র মাধ্যমে বাঁচিয়ে তুলবেন তিনি। এরপরই কিশোরীর দেহ নিজের কব্জায় নেন ভোলে বাবা। খবর পেয়েই সেখানে পুলিশ পৌঁছায়। কিন্তু পুলিশ দেখেই পাথর ছুড়তে শুরু করেন ভোলে বাবার ভক্তরা। এই ঘটনায় ভোলে বাবা, তার স্ত্রী এবং বেশ কয়েকজন ভক্তকে গ্রেফতার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, ভক্তদের মধ্যে ভোলে বাবার প্রভাব এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল যে, ভক্তরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলো, ভোলে বাবা সব সমস্যার সমাধান করতে পারেন নিমিষেই। শুধু তাই-ই নয়, ‘ভূত-প্রেত’, ‘আত্মা’ও তার কাছে ‘বশ্যতা’ স্বীকার করে! এক কথায়, ভোলে বাবা হয়ে উঠেছিলেন ভক্তদের ত্রাণকর্তা।

বহুল আলোচিত এই ‘ভোলে বাবা’ অতীত জীবনে পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি করতেন। এরপর ইভটিজিংয়ের দায়ে সেই চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। জেলও হয় তার। জেল খেটে বেরিয়ে কীভাবে একজন পুলিশ কনস্টেবল ধর্মগুরু হয়ে উঠলেন, সেটিও যেন এক সিনেমার গল্প।

উত্তর প্রদেশ পুলিশের সূত্র অনুযায়ী, ‘ভোলে বাবা’ নামে পরিচিত নারায়ণ সরকার হরির আসল নাম সুরজ পাল জাটভ। কাসগঞ্জ জেলার বাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দা জাটভ উত্তর প্রদেশ পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। চাকরি জীবনে একবার ইভটিজিংয়ের অভিযোগ দায়ের হয় তার বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় প্রথমে সাসপেন্ড করা হয়েছিল জাটভকে, পরে বরখাস্ত হন তিনি। ওই ইভটিজিংয়ের ঘটনায় বেশ লম্বা সময় জেলে ছিলেন সুরজ পাল জাটভ। এরপর কারাগার থেকে বেরিয়ে এসেই ‘বাবা’র রূপ ধরেন তিনি। কিছুদিন পরে তিনি দাবি করতে থাকেন যে সরাসরি ঈশ্বরের সঙ্গে কথা হয় তার।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খাওয়া-দাওয়া কি সত্যিই সন্তান ধারণে প্রভাব ফেলে, কি বলছে গবেষণা

কলকাতায় মেসির সঙ্গে আসছেন নেইমার!

হলি রোজারি চার্চে বোমা হামলার ঘটনায় খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের নিন্দা 

নামাজ আদায় না করলে অন্য আমলগুলো কবুল হবে কি?

দেশের সব বিমানবন্দরের জন্য জরুরি ১০ নির্দেশনা

জনগণ আর কোনো স্বৈরাচারী সরকারকে দেখতে চায় না : আমান

৪৯তম বিসিএসের প্রশ্নে শহীদ আবু সাঈদ, আলোচিত ‘আয়নাঘর’

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর গাজায় আবারও ইসরায়েলি হামলা

জেহাদ স্মৃতিস্তম্ভে ছাত্রদলের শ্রদ্ধা

গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণ, সাতজন দগ্ধ

১০

কোমর ব্যথা কমাতে ফিজিওথেরাপি

১১

জুলাই সনদকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বিএনপি : রিজভী

১২

শান্তিতে নোবেল পাওয়া মাচাদোর রাজনৈতিক ইতিহাস

১৩

যে কারণে শান্তিতে নোবেল পেলেন মারিয়া

১৪

সাবেক নৌবাহিনী প্রধান সরওয়ার জাহান নিজাম আর নেই

১৫

বিশ্ববাজারে তেলের দাম নিয়ে সুখবর

১৬

কিউইদের বিপক্ষে টস হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

১৭

ধানের শীষকে বিজয়ী করতে জনসাধারণ মুখিয়ে রয়েছে : ড. কিবরিয়া

১৮

নিয়োগ দিচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, আজই আবেদন করুন

১৯

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার একমাত্র পথ নির্বাচন : মির্জা ফখরুল

২০
X