কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫১ পিএম
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
মসজিদ-মন্দির বিতর্কে নিহত ৫

রাহুল-প্রিয়াঙ্কাকে সম্ভলে যেতে বাধা পুলিশের

রাহুল-প্রিয়াঙ্কাকে সম্ভলে যেতে দিল না উত্তর প্রদেশ পুলিশ। ছবি : সংগৃহীত
রাহুল-প্রিয়াঙ্কাকে সম্ভলে যেতে দিল না উত্তর প্রদেশ পুলিশ। ছবি : সংগৃহীত

উত্তর প্রদেশের সম্ভল জেলায় মসজিদ-মন্দির বিতর্কের কারণে ২৪ নভেম্বর সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর স্থানীয় জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে, যার ফলে অনেকেই হতাহত হয়।

এই ঘটনার পর নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান কংগ্রেস নেতারা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, তবে উত্তর প্রদেশ পুলিশ তাদের যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।

বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এবারের বিতর্ক শুরু হয় যখন আদালতে একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয় যে সম্ভলের জামা মসজিদে মন্দির ছিল। মসজিদে জরিপ করা হলে এই দাবি কতটুকু সঠিক তা নিরূপণ করা সম্ভব হবে।

আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে জরিপের নির্দেশ দিলে স্থানীয় জনগণের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে, যার ফলস্বরূপ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

এরপর, নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি থেকে সম্ভল যাওয়ার জন্য রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রওনা হন। কিন্তু, পুলিশ তাদের গাড়িবহর আটকে দেয়, ফলে দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকে এবং ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। সীমান্তে প্রায় কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর, কংগ্রেস নেতারা দিল্লি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারা আরও জানায় যে, ২৪ নভেম্বরের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হওয়ার পর থেকে বাইরের রাজনৈতিক নেতাদের সম্ভল যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এর আগে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পুলিশ তাকে অনুমতি দেয়নি।

রাহুল গান্ধী পুলিশের কাছে অনুরোধ করেছিলেন, কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদলকে নিহতদের পরিবারের কাছে যেতে দেওয়া হোক। কিন্তু পুলিশ তাতে রাজি হয়নি। রাহুল একা যেতে চাইলেও পুলিশ তার অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করে।

এদিকে, কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি পুলিশের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। কংগ্রেস নেতা কে সি বেনুগোপাল বলেন, শাসক দল ঘৃণার বাতাবরণ তৈরি করেছে, আমরা ভালোবাসার বাতাস ছড়িয়ে দিতে চাই।

সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবও বলেছেন, রাজনৈতিক নেতাদের সম্ভলে যেতে দেওয়া উচিত। এতে পরিস্থিতি শান্ত হবে।

এটি স্পষ্ট যে, এই ঘটনার পর রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা আসছেন শনিবার, যেসব বিষয়ে আলোচনা

সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের শানে রিসালাত সম্মেলন

শেষ দিনেও ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে মতামত দেয়নি ৭ রাজনৈতিক দল

ইউরোপের লিগগুলোতে দল কমানোর প্রস্তাব ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তির

নেপালে মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের প্রচার, তাসনিম জারার ব্যাখ্যা

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে মৃত্যুর মিছিল, তিন বছরে প্রাণ হারান ১৮৩ জন

স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি 

সুদ দিতে না পারায় বসতঘরে তালা, বারান্দায় রিকশাচালকের পরিবার

দেশ বাঁচাতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে : চরমোনাই পীর

এএসপির বাসায় চাঁদাবাজি-ভাঙচুর, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১০

জেলের জালে বড় ইলিশ, ৯ হাজারে বিক্রি 

১১

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন নিয়ে নতুন নির্দেশনা

১২

আগামী সংসদ প্রথম তিন মাস ‘সংবিধান সংস্কার সভা’ হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব

১৩

ধরলার তীব্র ভাঙন, টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি

১৪

নেতা ও ভোটারের জবাবদিহিই হবে শ্রেষ্ঠ সংস্কার : মঈন খান

১৫

পাপের ফল ওদের ভোগ করতেই হবে : রাশেদ খান

১৬

ক্ষমা চাইলেন স্বাধীন খসরু 

১৭

স্বাধীনতাবিরোধীরা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : আমিনুল হক

১৮

ঢাকায় উদযাপিত হলো রাশিয়ান পতাকা দিবস

১৯

একাদশে ভর্তিতে কোনো শিক্ষার্থী পায়নি ৩৭৮ কলেজ

২০
X