ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় পর্নোগ্রাফি ও এক তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনায় আলোচিত মা ও ছেলে- শ্বেতা খান এবং তার ছেলে আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১১ জুন) বিকালে কলকাতার আলিপুর এলাকা থেকে শ্বেতাকে এবং সকালে গল্ফগ্রিন এলাকা থেকে আরিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি ২৪ ঘণ্টা নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার এড়াতে শ্বেতা নিজের মোবাইল ব্যবহার করছিলেন না। তিনি অন্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা সেই মোবাইলগুলোর অবস্থান নজরদারির মাধ্যমে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর আরিয়ান দাবি করেছেন, তারা কোনো পর্নোগ্রাফি ভিডিও বানাননি এবং তরুণীকে নির্যাতনের অভিযোগও মিথ্যা। তার আইনজীবী জানান, উলটো ওই তরুণীই আরিয়ানকে বিয়ে করতে চাচ্ছিলেন।
তবে সংবাদমাধ্যমের দাবি, মা-ছেলে একটি প্রোডাকশন হাউস খুলে পর্নোগ্রাফি ভিডিও তৈরির ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। আরও অভিযোগ রয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুর এলাকার এক তরুণীকে দিনের পর দিন হাওড়ার বাঁকড়া এলাকার একটি ফ্ল্যাটে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো।
গত শুক্রবার ওই তরুণী কোনোভাবে পালিয়ে এসে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনে। বর্তমানে তিনি কলকাতার সাগর দত্ত হাসপাতালে আইসিসিইউ-তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় রাজ্যের জাতীয় মহিলা কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
মন্তব্য করুন