মডেল শীতল চৌধুরী অন্য দিনের মতই শনিবার (১৪ জুন) একটি মিউজিক ভিডিওর শুটিংয়ের কাজে পানিপাতের আহার গ্রামে যান। এদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে পৌঁছান তার প্রেমিক সুনীল এবং শীতলকে নিজের গাড়িতে তুলে নেন।
কিছুক্ষণ পরই দুজনের মধ্যে শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। রাত দেড়টার দিকে শীতল ভিডিও কলে তার বোন নেহাকে জানান সুনীল তাকে মারধর করছে। আর এরপরই বন্ধ হয়ে যায় তার ফোন, ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ।
এরপরই সোনিপাতের একটি খাল থেকে সোমবার (১৬ জুন) শীতলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত করা হয় তার প্রেমিক সুনীলকে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে।
রোববার (১৫ জুন) সোনিপাতের খাল থেকে উদ্ধার হয় সুনীলের গাড়ি, কিন্তু তার ভেতরে শীতল ছিলেন না। ওই দিনই সুনীল হাসপাতালে গিয়ে দাবি করেন, দুর্ঘটনায় গাড়িটি খালে পড়ে যায়। তিনি সাঁতরে কোনোমতে প্রাণে বাঁচলেও শীতল পানিতে ডুবে যান। তবে, সোমবার যখন খারখোদার রিলায়েন্স খাল থেকে একটি নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শরীরের ট্যাটু দেখে সেই মরদেহকে শনাক্ত হয় শীতল হিসেবে। আর তখন বদলে যায় পুরো ঘটনা।
পুলিশ জানায়, শীতলের মরদেহে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। আটক সুনীল জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন। জানা যায়, তাদের মধ্যে ছয় বছরের সম্পর্ক ছিল।
সুনীল প্রেমিকা শীতলকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেও শীতল তা প্রত্যাখ্যান করেন, কারণ তিনি জানতে পারেন সুনীল বিবাহিত এবং দুই সন্তানের বাবা। শীতল নিজেও বিবাহিত ছিলেন ও তার পাঁচ মাস বয়সী একটি সন্তান আছে।
এ ঘটনা ঘিরে স্থানীয় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে, আর পুলিশ জানিয়েছে, সুনীলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
সূত্র : এনডিটিভি
মন্তব্য করুন