কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

মদিনার বুকে রহস্যময় জিন পাহাড়

জিন পাহাড়। ছবি : সংগৃহীত
জিন পাহাড়। ছবি : সংগৃহীত

সৌদি আরবের বহুল আলোচিত জিন পাহাড়। এই পাহাড় নিয়ে কৌতূহল আর গল্পের শেষ নেই। সারা বিশ্বে এই পাহাড়টি মূলত একটি রহস্যের পাহাড় বলেই বেশি খ্যাত।

পাহাড়টির আসল নাম ওয়াদি আল জিন। লোকমুখে এটি পরিচিত জিনের পাহাড় বলেই। যে নামেই পরিচিত হোক না কেন, এই পাহাড়টিতে পৃথিবীর অবাক করা ঘটনা ঘটে থাকে।

এই পাহাড়ের একটি রহস্যজনক ও বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, সব কিছু ঢালুর বিপরীত দিকে অর্থাৎ উপরের দিকে গড়ায়। সাধারণত, সব কিছু ঢালুর দিকে গড়িয়ে গেলেও কেবল এই পাহাড়টির সাথেই ঘটেছে এমন অদ্ভুত কাণ্ড। পুরো ব্যাপারটিই সাধারণ নিয়মের ঠিক উল্টোটা ঘটে চলে এখানে। এমন কি রহস্য আছে এ পাহাড়ে? যে বন্ধ গাড়িও ঢালুর বিপরীতে চলতে থাকে। কেউ কেউ এ নিয়ে ধারণা করেন, জায়গাটিতে প্রচুর চুম্বকজাতীয় পদার্থ আছে তাই এমনটি হয়।

জিন পাহাড়টি মূলত শহর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মদিনার উত্তর-পশ্চিমে ওয়াদি-ই-আল বায়দা নামক পাহাড়ঘেরা এক উপত্যকা রয়েছে বলে জানা যায়।

ওয়াদি আল জিন পাহাড় সম্পর্কে মানুষের প্রথম ধারণা আসে ২০০৯-১০ সালে। সৌদি সরকার এখানে একটি সড়ক তৈরির পরিকল্পনাও করেছিল। এর কাজও যথাসময়ে শুরু হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা দাঁড়াচ্ছিল যখন রাস্তা নির্মাণের জন্য রাখা যন্ত্র ও পিচ ঢালাই করার বড় বড় রোলার গাড়িগুলো আস্তে আস্তে ওপরের দিকে উঠে যাচ্ছিল।

এ দেখে শ্রমিকরা প্রচণ্ড ভয় পেয়ে নির্মাণ কাজ ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফলে সড়কটি মাত্র ৩৫-৪০ কিলোমিটার কাজ হওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় ও অদ্ভুত পথ হলো এ ওয়াদি-আল জিন পাহাড়ের বুক চিরে যাওয়া সড়কটি। সৌদি সরকার বেশ কিছুকাল জনসাধারণের যাতায়াত নিষিদ্ধ রাখার পর কয়েক বছর উন্মুক্ত করে দিয়েছে। তাও সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে।

সৌদিয়ানদের কাছে এ জিন পাহাড় নিয়ে নানা মিথ চালু রয়েছে। নানা ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী এই পাহাড়টি দেখার জন্য প্রতি বছর হজ কিংবা ওমরা হজ করতে আসা মানুষ এখানে ভিড় করেন। অনেকের কাছে তাই এই পাহাড়টি বিস্ময় এবং অদৃশ্য শক্তির পাহাড় হিসেবেই পরিচিত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্বাস্থ্য পরামর্শ / ছানিজনিত অন্ধত্ব থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

কৃষি উন্নয়নের নামে কৃষকের ৮ কিমি জায়গা বিলীন করল বিএডিসি

প্রবাসীদের রেমিট্যান্সেই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা

গতিরোধকে নেই কোনো চিহ্ন, প্রধান সড়কে উল্টে গেল ট্রাক

অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য যুবদল নেতা নয়নের দুঃখ প্রকাশ

ইডেন কলেজে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ নাম ব্যবহার করে বিবৃতি নিয়ে বিভ্রান্তি 

সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি হিন্দু নেতাদের

রাস্তায় ফেলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে মারধর  

এবার পাকিস্তানের বিপক্ষেও সিরিজ হারল বাংলাদেশ

সেমিনারে ঢাবি অধ্যাপক  / পুলিশ রিমান্ডে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় বিচারিক প্রক্রিয়ায় পদ্ধতিগত সহিংসতা

১০

ইসরায়েলকে ঠেকাতে ছেলেকে পাঠিয়ে ইরানকে সতর্ক করল সৌদি বাদশা!

১১

হৃদরোগ সচেতনতা সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি : ডা. জুবাইদা রহমান

১২

এসএ গেমসে ৬৫০ জনের বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট চূড়ান্ত

১৩

কাবাডির ফাইনালে সেনাবাহিনী ও পুলিশ

১৪

ভূপাতিত ৫ ভারতীয় যুদ্ধবিমান, স্বীকারোক্তি বিজেপি নেতার!

১৫

ছাত্রাবাসে ৫ ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি, ছাত্রলীগ নেতা আটক

১৬

পালিয়ে থেকেও শেষরক্ষা হলো না রাকিবের

১৭

সাকিব ইস্যুতে যা বললেন বিসিবির নতুন সভাপতি

১৮

সিরিজ বাঁচাতে রানের পাহাড় টপকাতে হবে বাংলাদেশকে

১৯

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের মাঝে খাবার বিতরণ

২০
X