জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত সাঈদ ইরাভানি বলেছেন, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়া জানাতে ইরান তার সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী সময়, স্থান ও পদ্ধতি নির্ধারণ করবে। তিনি আরও বলেন, ইরানের প্রতিক্রিয়া যাই হোক না কেন তা হবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, বৈধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের মূলনীতির প্রতি সম্মানজনক। খবর তাসনিম নিউজ এজেন্সির।
শুক্রবার (১৩ জুন) ইরানে আকস্মিক হামলা চালায় ইসরায়েল। এরপর একইদিনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। এ বৈঠকে ইরাভানি বলেন, ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলো, সামরিক স্থাপনা, গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অবকাঠামো ও আবাসিক এলাকায় আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ৭৮ জন নিহত ও ৩২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক।
ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেন, গত রাতে ইসরায়েল একযোগে ইরানের একাধিক শহরে হামলা চালায়। তার ভাষ্যমতে, ইসরায়েলের এ হামলায় নিহত ও আহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইসরায়েল ইরাকের সীমান্তও লঙ্ঘন করেছে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ইরাক জাতিসংঘে চিঠিও দিয়েছে।
ইরাভানি বলেন,
এ হামলা ছিল পরিকল্পিত। এতে ইসরায়েলকে সরাসরি সহযোগিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, ইরানের জনগণকে হত্যা করা হয়েছে মার্কিন অস্ত্র দিয়ে। এ ঘটনাকে যুদ্ধ ঘোষণা ছাড়া আর কিছু বলা যায় না।
তিনি বলেন, ইসরায়েল সরাসরি দায় স্বীকার করেছে। তাদের লক্ষ্য ছিল কূটনৈতিক আলোচনা ব্যর্থ করা ও যুদ্ধ বাধানো।
তিনি আরও বলেন, এ হামলার ফলে শুধু ইরান নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার ফলে বড় ধরণের বিপর্যয় ঘটতে পারত।
তিনি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানান, যেন তারা অবিলম্বে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়। না হলে আন্তর্জাতিক আইন ও বিশ্বশান্তি মারাত্মক হুমকিতে পড়বে।
সবশেষে ইরাভানি বলেন, ইসরায়েল ইরানে হামলা চালিয়েছে। তারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। নিরাপত্তা পরিষদকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, এ সময় নীরবতা মানে হলো এই অপরাধে যুক্ত হওয়া।
মন্তব্য করুন