ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং তারা এখনো কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এর আগে ইসরায়েলকে তার চলমান হামলা বন্ধ করতে হবে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাপ্রধান আইয়াল জামির জানিয়েছেন, ইরানের বিরুদ্ধে একটি ‘দীর্ঘ সময়ের যুদ্ধের’ জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ ইসরায়েলের হামলা নবম দিনে গড়িয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান টালসি গ্যাবার্ডের বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন। গ্যাবার্ড বলেছিলেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে—এমন কোনো প্রমাণ নেই। কিন্তু ট্রাম্প বলছেন, তিনি এতে একমত নন।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলার পর ইরানের নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রে তেজস্ক্রিয় ও রাসায়নিক দূষণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত কেন্দ্রটির বাইরের পরিবেশে কোনো রেডিয়েশন বৃদ্ধি পাওয়া যায়নি।
এর মধ্যে পশ্চিম তীরের হেবরন শহরের আকাশে ইরানের পাল্টা হামলার অংশ হিসেবে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র দেখা গেছে। টানা সংঘাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি।
সূত্র: আলজাজিরা
মন্তব্য করুন