দক্ষিণ আমেরিকার নতুন প্রতিভাদের তালিকায় উঠে আসছে এক কিশোরের নাম—ইগনাসিও পেরেইরা সালমোন। আর্জেন্টিনার চাকো প্রদেশে জন্ম হলেও তরুণ এই ফুটবলারের বেড়ে ওঠা ব্রাজিলে। নেইমারের ক্লাব সান্তোসের বয়সভিত্তিক দলে খেলা এই তরুণকে এবার ডেকে নিয়েছেন আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-১৫ কোচ দিয়েগো প্লাসেন্তে ও আদ্রিয়ান গায়ারারা। আসন্ন লিগা দে এভলুসিয়ন টুর্নামেন্টে (২৪ সেপ্টেম্বর–৬ অক্টোবর, প্যারাগুয়ে) আলবিসেলেস্তে জার্সি গায়ে নামবেন তিনি।
ইগনাসিওর মা গাব্রিয়েলা আর্জেন্টিনার চাকোর বাসিন্দা, আর বাবা এদুয়ার্দো ব্রাজিলিয়ান। জন্মের পর পরিবার চলে যায় ব্রাজিলের পোর্তো আলেগ্রেতে। সেখানেই ফুটবলের প্রথম পাঠ নেন ছোট্ট ইগনাসিও—প্রথমে ফুতসাল দিয়ে শুরু, পরে সবুজ ঘাসে।
মাত্র ৯ বছর বয়সে গ্রীমিও একাডেমিতে যোগ দেন তিনি। এরপর খেলেছেন জুভেনতুদ দে কাশিয়াসের একাডেমিতেও। তবে বড় মোড় আসে যখন সান্তোস তাকে দলে ভেড়ায়। পরিবারের সঙ্গে সাও পাওলোতে গিয়ে সান্তোসের হয়ে খেলা শুরু করেন, মাত্র ১৩ বছর বয়সেই পান প্রশিক্ষণ চুক্তি (২০২৭ পর্যন্ত)।
ইগনাসিও নিজেকে বর্ণনা করেন এভাবে: ‘আমি স্ট্রাইকার, আক্রমণ গড়তে ও সঠিক জায়গা খুঁজে নিতে পারি। দুই পা দিয়েই শট মারতে পারি, হেডিং ভালো করি, আর বয়স অনুযায়ী শারীরিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী। আমার রোল মডেল হলেন হলান্ড।’
প্রতিভার প্রমাণও দিয়েছেন এই কিশোর। ২০২৩ সালে সান্তোসের অনূর্ধ্ব-১৩ দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন তিনি, সেই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতাও। ২০২৪ সালেও একই ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন।
এমন পারফরম্যান্সে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল—দুই দেশেরই নজরে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১১ আগস্ট আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-১৫ দলে ডাক পান এবং তা গ্রহণ করেন। যদিও ব্রাজিলের দরজাও পুরোপুরি বন্ধ করেননি। তার কথায়, ‘দুই দেশই আমার জীবনের অংশ, আমার পরিবারের ইতিহাসের অংশ। যে কোনো একটির প্রতিনিধিত্ব করতে পারা আমার জন্য গর্বের।’
আলবিসেলেস্তেরাদের ডাকে সাড়া দিয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে এক প্রীতি ম্যাচেও খেলেছেন ইগনাসিও। বুয়েনস আইরেসের লিওনেল আন্দ্রেস মেসি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে জয় পায় আর্জেন্টিনা। এখন অপেক্ষা সেপ্টেম্বরের লিগা দে এভলুসিয়নের, যেখানে দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল ফুটবলারদের মিলনমেলা বসবে।
মন্তব্য করুন