মিশরের একটি সড়কে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। মাইক্রোবাসটিতে দিনমজুরদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কাজের উদ্দেশ্যে। নিহতদের বেশির ভাগই ছিল কিশোর-কিশোরী।
মিশরের রাজধানী কায়রোর উত্তরের মেনোফিয়া প্রদেশের আশমুন শহরের শুক্রবার (২৮ জুন) ভোরে আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শ্রমিকদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি কাফর আল-সানাবসা নামের একটি গ্রাম থেকে তাদের কর্মস্থলের দিকে যাচ্ছিল। সে সময় একটি ট্রাক মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সরকারি সংবাদপত্র আল-আহরাম জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই কিশোর বয়সী ছিল। মিশরের সংবাদমাধ্যমগুলো তাদের ‘প্রতিদিনের রুটি সংগ্রহের শহীদ’ বলে উল্লেখ করেছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, মিশরে প্রায় ১৩ লাখ শিশু শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। গ্রামীণ এলাকায় এসব শিশুরা প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহনে করে কাজে যায়। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
এ দুর্ঘটনায় মাত্র তিনজন বেঁচে যায়। তাদের আশমুনের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মিশরের শ্রমমন্ত্রী মোহাম্মদ গেবরান জানিয়েছেন, নিহতদের পরিবারকে দুই লাখ মিশরীয় পাউন্ড (প্রায় ৪ হাজার মার্কিন ডলার) করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আহতরা পাবেন বিশ হাজার পাউন্ড (প্রায় ৪০০ ডলার) করে।
মেনোফিয়া প্রদেশের গভর্নর ইব্রাহিম আবু লাইমন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গতির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তিনি পরিবহন মন্ত্রণালয়কে ওই আঞ্চলিক সড়কে নিরাপত্তাব্যবস্থা পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান।
এ সড়কেই গত এপ্রিলে একটি পরিবারের পাঁচ সদস্য সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়।
মিশরে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায়। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে কায়রো-আলেক্সান্দ্রিয়া মরুভূমি সড়কে একটি বাস ও কয়েকটি গাড়ির সংঘর্ষে ৩৫ জন নিহত হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ১৮ জন আগুনে পুড়ে মারা যায়। স্থানীয় সংবাদপত্র এটিকে ভয়ংকর দুর্ঘটনা বলে উল্লেখ করেছিল।
তথ্যসূত্র : আলজাজিরার
মন্তব্য করুন