কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ২৪ হাজার ঘর নির্মাণ ইসরায়েলের

অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি। ছবি : সংগৃহীত
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি। ছবি : সংগৃহীত

অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি রেকর্ড পরিমাণে সম্প্রসারিত হয়েছে। এর ফলে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের বাস্তব সম্ভবনা নির্মূলের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। শুক্রবার (৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এসব কথা বলেছেন। খবর রয়টার্সের।

শুক্রবার বিবৃতির পাশাপাশি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন ভলকার তুর্ক। এই প্রতিবেদনটি মার্চের শেষের দিকে জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলে উপস্থাপন করা হবে। জাতিসংঘের নিজস্ব পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি অন্যান্য উৎসেরর ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

১৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত এক বছরের মধ্যে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ২৪ হাজার ৩০০ নতুন ইসরায়েলি আবাসন ইউনিট (ঘর) রেকর্ড করা হয়েছে, যা ২০১৭ সালে পর্যবেক্ষণ শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ।

ভলকার তুর্ক বলেছেন, ইসরায়েল যে পরিমাণ জনসংখ্যা স্থানান্তর করছে সে পরিমাণ বসতি বৃদ্ধি করছে। এটি একটি যুদ্ধাপরাধ। গত মাসে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করলে তা আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে অসঙ্গত বলে মন্তব্য করেছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন।

শুক্রবার দেওয়া বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বসতি স্থাপনকারী ও বসতি স্থাপন সংক্রান্ত সহিংসতা ভয়াবহভাবে নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। এর ফলে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বাস্তব সম্ভাবনা নির্মূল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

বাড়ছে সহিংসতা

অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী ও রাষ্ট্রীয় সহিংসতার তীব্রতা ও ঘটার হার নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে গত অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে এই সংখ্যা বেশি বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী বা বসতি স্থাপনকারীদের হাতে ৪০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

এক বিবৃতিতে জেনেভায় ইসরায়েলের কূটনৈতিক মিশন বলেছে, এই প্রতিবেদনে ২০২৩ সালে ৩৬ জন ইসরায়েলি নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ছিল। মানবাধিকার সর্বজনীন বিষয়। তবুও ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসের শিকার ইসরায়েলিদের কথা হাইকমিশনার অফিস বারবার উপেক্ষা করে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি অবশ্যই মেনে নিতে হবে : সারজিস

নোয়াখালী, খুলনা ও যশোরের ঘটনায় পূজা পরিষদের প্রতিবাদ

একক কনসার্টের মধ্য দিয়ে হায়েনা এক্সপ্রেসকে বিদায় জানাবে সোনার বাংলা সার্কাস

তদবির-ভয়ভীতির অভিযোগে উইলস লিটল স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

হোয়াইটওয়াশের পর আইসিসি থেকে দুঃসংবাদ পেলেন ২ টাইগার ক্রিকেটার

যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা

রাকসুর জন্য পারমানেন্ট মার্কার আমদানি করেছি : প্রধান নির্বাচন কমিশন

এক বাসের ধাক্কায় আরেক বাস খাদে, প্রাণ গেল নারীর

বেড়াতে যাওয়ার পথে অপহরণ, চার মাস পর কিশোরীকে উদ্ধার

চার জেলায় নতুন ডিসি

১০

ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা

১১

জকসু নির্বাচনে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে পৃথক বুথ

১২

রাকসুতে কোন ভবনে কত ভোট, কার কেন্দ্র কোনটি

১৩

সাভারে আবাসিক হোটেল থেকে ৯ নারীসহ আটক ২২

১৪

বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ৩

১৫

‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ অধ্যাদেশ নিয়ে অংশীজনদের সভার তারিখ নির্ধারণ

১৬

‘তিন গোয়েন্দা’ সিরিজের রকিব হাসান আর নেই

১৭

সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ নিয়ে ৬ হাজারের বেশি মতামত পেল মন্ত্রণালয়

১৮

ল্যাবএইডের কর্ণধার সাকিফ শামীমকে নিয়ে ফিচার করল ‘ইউএসএ টুডে’

১৯

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত

২০
X