ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি জলাধার উদ্বোধন শেষে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরে যাচ্ছিলেন। শেষমেশ তিনি সেখানে পৌঁছালেন। তবে লাশ হয়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রাইসির মরদেহ শনাক্ত করতে ডিএনএ বা কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয়নি। উদ্ধারকারীরা মরদেহটি পরবর্তী দলের কাছে হস্তান্তর করেছেন। এরপর রাইসির মরদেহ তাবরিজে নেওয়া হয়েছে।
মরদেহ উদ্ধারের কয়েকটি ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে। এর কয়েকটি রেড ক্রিসেন্ট সদস্যদের ধারণ করা। তাতে দেখা যায়, কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড়ি অসমতল পথ পাড়ি দিয়ে স্ট্রেচারে করে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ দুর্গম পরিবেশের কারণে রোববার দুর্ঘটনার পর হেলিকপ্টারের সন্ধান পেতেও দেরি হয়।
সংবাদমাধ্যম তাসনিম জানায়, সবগুলো মরদেহ তাবরিজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানকার ফরেনসিক বিভাগে লাশগুলো রাখা হয়েছে।
জানাজা হবে আগামীকাল
আগামীকাল মঙ্গলবার তাবরিজে রাইসি ও তার নিহত সফর সঙ্গীদের প্রথম জানাজা হবে। ইরানের রাষ্ট্র-চালিত সংবাদসংস্থা ইরনা এ ঘোষণা প্রচার করছে।
ঘোষণা অনুযায়ী, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় জানাজা শুরু হবে। এরপর মরদেহগুলো তেহরানে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে।
ক্রমান্বয়ে পরবর্তী জানাজার সময় ও স্থান এবং দাফনের বিষয়ে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে বিস্তারিত জানাবে ইরান সরকার।
মন্তব্য করুন