কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৪, ০৭:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইরানের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, আলোচনায় আহমাদিনেজাদ

আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ। ছবি : সংগৃহীত
আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ। ছবি : সংগৃহীত

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ফলে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট পদ এখন ফাঁকা রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত হিসেবে এ পদে দায়িত্ব পালন করছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন। কয়েকটি সূত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা ভাবছেন ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ। তিনি নিজেই এ ঘোষণা দিয়েছে।

আহমাদিনেজাদের সমর্থকদের দ্বারা পরিচালিত টেলিগ্রাম চ্যানেল দোলাত বাহারে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিওতে তিনি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী। পরিস্থিতি ভালোর জন্য পরিবর্তন হচ্ছে।

আহমাদিনেজাদ বলেন, কেবল ইরান নয়, সারা বিশ্বে দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। আমি আশাবাদী যে আমরা খুব দ্রুত দারুণ কিছু পরিবর্তন দেখতে পাব।

গত সপ্তাহে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহতের পর দেশটিতে আগামী ২৮ জুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির সংবিধান অনুসারে প্রেসিডেন্ট পদ ফাঁকা হওয়ার ৫০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আহমাদিনেজাদের এ সম্ভাব্য প্রার্থিতাকে স্বাগত জানিয়েছে তার সমর্থকরা। তাদের দাবি, তিনি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।

ইরানের তাবরিজের পার্লামেন্ট সদস্য আহমেদ আলিরেজা বেগি বলেন, যদি নির্বাচনে আহমাদিনেজাদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তাহলে তিনি বিজয়ী হবেন।

অতীতের নির্বাচনের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি আহমাদিনেজাদের প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। দেশটিতে ২০১৭ এবং ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির নেতৃত্বাধীন গার্ডিয়ান কাউন্সিল তার প্রার্থিতা বাতিল করেছিল।

আলিরেজা বেগি বলেন, আহমাদিনেজাদকে নিশ্চিত করতে হবে যে গার্ডিয়ান কাউন্সিল তার প্রার্থিতার অনুমোদন করবে। কেননা তিনি প্রার্থী হওয়ার পর তা বাতিল হলে এর পরিণাম আরও ভয়াবহ হবে।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ২০১৭ সালে আহমাদিনেজাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। ওই সময় তিনি পুরো কাঠামোর সমালোচনা করেন। এমনকি প্রকাশ্যে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিরও সমালোচনা করেছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি নীরব ছিলেন।

আহমাদিনেজাদ ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এর আগে তিনি তেহরানের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদেশগুলোর কঠোর সমালোচনা করেন। এ ছাড়া ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়েও কঠোর অবস্থানে ছিলেন তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

একই গ্রামে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ১২ জন আহত

ভারত-বাংলাদেশ নারী সিরিজের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

ঢাবির জসীম উদ্দীন হলের একই রুম থেকে বিসিএস ক্যাডার হলেন ইমতিয়াজ-জাকির 

চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ নিয়ে যা জানা গেল

নাশকতার পরিকল্পনার সময় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

৩২ নম্বরের সর্বশেষ পরিস্থিতি

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড / এই রায় আমাকে বিশেষভাবে আতঙ্কিত করেছে : শশী থারুর

সাদামাটা জীবনযাপন করা সিরাজগঞ্জের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মারা গেছেন

খালে ভাসছিল সবজি বিক্রেতার মরদেহ

মিশনের প্রেস উইংয়ে প্রশাসন ক্যাডার থেকে নিয়োগ, ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবাদ

১০

শীতে গরম পানি পান করছেন, এটি উপকারী না ক্ষতিকর?

১১

অন্তর্বর্তী সরকারের অর্জন নিয়ে প্রেস সচিবের স্ট্যাটাস 

১২

হাজী ও নান্না বিরিয়ানির নামে প্রতারণা

১৩

সংগ্রাম থেকে সাফল্যের শিখরে শেহনাজ গিল

১৪

বিএনপির এক নেতাকে সব পদ থেকে বহিষ্কার

১৫

ঠোঁটের চারপাশে কি কালচে ছোপ, ২ সপ্তাহেই মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়

১৬

পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

১৭

হাসিনার যেদিন ফাঁসি হবে, সেদিন কলিজা ঠান্ডা হবে : শহীদ সজলের মা

১৮

ছয় গোলের উৎসবে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল জার্মানি

১৯

চবি ছাত্রদলের এক নেতার পদ স্থগিত

২০
X