শফিকুল ইসলাম শান্ত
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৪, ০৭:৪০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কবে নাগাদ ফুরিয়ে যাবে সৌদির তেলের ভান্ডার?

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ইসলামের পূণ্যভূমি সৌদি আরবের বালুকাময় মাটির নিচে রয়েছে বিপুল পরিমাণ তেল-সম্পদ। এই প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভর করেই ধনী দেশে পরিণত হয়েছে দেশটি।

গত ৮ দশক ধরে খনিগুলো থেকে তেল উত্তোলন করে যাচ্ছে রিয়াদ। কিন্তু সব কিছুরই তো শেষ রয়েছে, তেমনি একদিন শেষ হয়ে যাবে সৌদি আরবের এই তেলের ভাণ্ডার। কিন্তু ঠিক কত সময় পরে?

সৌদি আরবের তেলের মজুত কবে নাগাদ শেষ হয়ে যাবে, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে তেলের মজুত, উত্তোলনের হার, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করতে হবে। এক নজরে ‍বিষয়গুলো দেখে নেওয়া যাক—

সৌদির তেলের মজুত

সৌদি আরবের আবিষ্কৃত অপরিশোধিত তেলের মজুত প্রায় ২৬৭ বিলিয়ন ব্যারেল। বিশ্বের মোট তেল মজুতের প্রায় ১৭ শতাংশই রয়েছে দেশটির দখলে। এর বড় একটি অংশ আসে বিশ্বের বৃহত্তম স্থল ‘গাওয়ার’ থেকে।

উত্তোলন হার এবং উৎপাদন সক্ষমতা

বর্তমানে, প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১১ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করে সৌদি আরব। তবে, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে এই উৎপাদন হার ওঠা-নামা করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সৌদি যদি এই হারে তেল উৎপাদন অব্যাহত রাখে, তাহলে মজুত শেষ হতে আরও ৭০ বছর লাগতে পারে। কিন্তু, এটি একটি অনুমান মাত্র। বাস্তবে, এই সময়সীমা আরও কম বা বেশি হতে পারে। এর পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে।

প্রযুক্তিগত উন্নয়ন

নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে তেল উত্তোলনের হার বাড়ানো সম্ভব। এ ছাড়া উৎপাদনে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে সৌদির তেলের মজুত আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এ ছাড়া ‘Enhanced Oil Recovery’ প্রযুক্তির মাধ্যমে পুরনো তেলক্ষেত্র থেকে আরও তেল উত্তোলন করা সম্ভব।

অর্থনৈতিক পরিবর্তন এবং বিশ্ববাজার

সৌদি আরব কতটুকু তেল তুলবে, তার ওপর মজুত ফুরিয়ে যাওয়ার হিসেব করা সম্ভব না। কারণ, বিশ্ববাজারের চাহিদা, তেলের দাম এবং অন্যান্য জ্বালানির ব্যবহারের পরিমাণের উপরেও নির্ভর করে দেশটির তেল মজুতের ভবিষ্যৎ। যদি ভবিষ্যতে তেলের চাহিদা কমে যায়, যেমনটা অনেকেই মনে করছেন যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়বে, তাহলে সৌদি আরবের তেল মজুত দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। অন্যদিকে, যদি চাহিদা বৃদ্ধি পায়, তবে মজুত দ্রুত শেষ হতে পারে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানির উত্থান

বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পাচ্ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার। সৌদিও বিষয়টি অনুধাবন করছে। তাই অর্থনীতিকে তেলের ওপর নির্ভর না করে, ভিন্ন ছক কষছে দেশটি। ভিশন ২০৩০ এর মাধ্যমে তারা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করছে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিশেষ করে সৌর ও পরমাণু শক্তির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

বহুমাত্রিক অর্থনীতি

তেলের উপর নির্ভরতা কমাতে সৌদি আরব অর্থনৈতিক ডাইভার্সিফিকেশন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। যেমন— পর্যটন, বিনোদন এবং প্রযুক্তি খাতে বড় বিনিয়োগ। এগুলোর মাধ্যমে বৈচিত্র্যময় অর্থনীতি গড়ে তোলার চেষ্টা করছে সৌদি আরব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হামজাদের খেলা দেখতে গেট ভেঙে স্টেডিয়ামে ঢুকলেন দর্শক

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আমদানিকালে ৭৫ হাজার কেজি সুতা জব্দ

মায়ের লাশ আটকে সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারা, ২০ ঘণ্টা পর দাফন

ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বাংলাদেশে নতুন করে দমন-পীড়ন : এইচআরডব্লিউ

রাকসু নির্বাচন / ১৬ দফার ইশতেহার দিল গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ

ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা, তিন দিন পরও হয়নি মামলা

হঠাৎ খুমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, বিপাকে রোগীরা

‘মবোক্রেসি আমাদের ব্যর্থতা, সামাল দেওয়া যায়নি’

‘চন্দন কাঠ’ ভেবে উৎসুক জনতার ভিড়, না বুঝেই চলছে কেনাবেচা

১০

মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন দাবিতে গণসমাবেশ ও মিছিল

১১

ফেসবুকে যে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে মেটা

১২

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

১৩

বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ, শয্যা সংকটে মেঝেতে সেবা নিচ্ছেন রোগীরা

১৪

দেশের সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি

১৫

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষরিত হবে ১৫ অক্টোবর

১৬

এক হওয়া ৫ ব্যাংকের কর্মীদের চাকরি নিয়ে প্রেস সচিবের যে বার্তা

১৭

যে কারণে গভীর রাতে স্বামীর কবর জিয়ারত করতে যান খালেদা জিয়া

১৮

তারেক রহমানের স্মৃতিবিজড়িত বটগাছ যমুনায় বিলীন

১৯

সকালে খালি পেটে ভুলেও খাবেন না যে ৭ খাবার

২০
X