

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়াই এখন মাদুরোর জন্য সবচেয়ে বুদ্ধিমানের সিদ্ধান্ত। অন্যথায় কঠোর পরিণতির মুখে পড়তে হতে পারে।
সোমবার ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। তিনি জানান, ভেনেজুয়েলা যদি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ‘শক্ত পদক্ষেপ’ নিতে চায়, তবে সেটিই হবে তাদের বড় ভুল।
এরই মধ্যে ভেনেজুয়েলার তেল খাতকে লক্ষ্য করে অভিযান শুরু করেছে মার্কিন কোস্টগার্ড। যুক্তরাষ্ট্র তিনটি তেল ট্যাংকার জব্দ করেছে, যেগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ ব্যারেল তেল ছিল। ট্রাম্প বলেছেন, এসব তেল আর ফেরত দেওয়া হবে না এবং যুক্তরাষ্ট্র চাইলে তা নিজেদের মজুতে রাখতে বা বিক্রি করতে পারে। তার দাবি, নিষেধাজ্ঞা এড়াতে এসব জাহাজ ব্যবহার করছিল ভেনেজুয়েলা।
মার্কিন এই পদক্ষেপকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ বলে অভিযোগ করেছে ভেনেজুয়েলা। প্রেসিডেন্ট মাদুরো পালটা বক্তব্যে ট্রাম্পকে নিজের দেশের সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত থাকার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘকে সতর্ক করে বলেছেন, এই অবরোধ বিশ্ব জ্বালানি বাজারে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।
এ অবস্থায় মাদুরো সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ যুক্তরাষ্ট্রের আচরণের নিন্দা করেছেন। একই সঙ্গে চীনও এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে এবং ভেনেজুয়েলার স্বাধীন বাণিজ্যের অধিকার রয়েছে বলে জানিয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও রাশিয়া ও চীনের অবস্থানকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তার মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় রাশিয়ার পক্ষে ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া কঠিন।
এ উত্তেজনা নিয়ে আজ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। পরিস্থিতি ঘিরে লাতিন আমেরিকায় নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মন্তব্য করুন