যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে কারফিউ জারি করা হয়েছে। টানা কয়েক দিন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভের ফলে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় প্রশাসন।
লস অ্যাঞ্জেলেস সময় মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত ৮টায় কারফিউ শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলেছে, পাঁচ দিনের বিক্ষোভে যেভাবে অস্থিরতা বেড়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে জীবন ও সম্পদের সুরক্ষায় এ কারফিউ জারি করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির।
কারফিউ শুরুর ঠিক আগে লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থান করা সবার মোবাইল ফোন নাম্বারে ক্ষুধে বার্তা আসে। শহরটির মেয়র ক্যারেন ব্যাসের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তায় বলা হয়, লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। কর্মস্থলে যাতায়াত, জরুরি সেবা চাওয়া বা প্রদান করা এবং জরুরি সেবাকর্মীরা কারফিউয়ের আওতামুক্ত থাকবেন।
এর আগে শহরটির মেয়র ক্যারেন ব্যাস মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, লস অ্যাঞ্জেলেসে ভাঙচুর ও লুটপাট ঠেকাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শহরজুড়ে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। আমি আগামীকাল নির্বাচিত নেতা ও আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। ধারণা করছি, কারফিউ কয়েক দিন চলবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে লস অ্যাঞ্জেলেসে চলমান বিক্ষোভে উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ট্রাম্প প্রশাসন প্রায় ৭০০ মেরিন সেনা ও চার হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন। মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলসে অস্থায়ীভাবে প্রায় ৭০০ মেরিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। অতিরিক্ত ন্যাশনাল গার্ড সদস্যরা সেখানে না পৌঁছানো পর্যন্ত তারা সেখানে থাকবেন।
টানা পঞ্চম দিনের মতো লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় লুটপাতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে বিক্ষোভ দমনে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য এ মামলা দায়ের করে। ট্রাম্প প্রশাসনের ন্যাশনাল গার্ডের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ এবং অভিবাসন প্রয়োগকারী এজেন্টদের সুরক্ষার জন্য লস অ্যাঞ্জেলসে সৈন্য মোতায়েনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে মামলাটি করা হয়। সেখানে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাজ্যের কর্তৃত্ব এবং সম্পদের অভূতপূর্ব দখল করার অভিযোগ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন