ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এ অভিযানে সব মিলিয়ে অন্তত ১২৫ বিমান অংশ নিয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানে অপারেশন মিডনাইট হ্যামার পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান দিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরানের ৩টি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এগুলো হলো ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহান।
ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, আমরা ইরানের ৩টি পারমাণবিক স্থাপনা—ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহানে আমাদের অত্যন্ত সফল হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে রয়েছে।
সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলায় বি-২ স্টিলথ বিমান ছাড়াও আরও বিভিন্ন বিমান অংশ নিয়েছে। এরমধ্যে ট্যাংকার, যুদ্ধবিমানসহ বিভিন্ন বিমান রয়েছে। সব মিলিয়ে অভিযানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ১২৫ টির বেশি বিমান অংশ নিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযানে সাতটি বি-২ বোমারু বিমান অংশ নিয়েছে। এসব বিমানের প্রতিটি দুটি করে বাংকার বিধ্বংসী বোমা বহনে সক্ষম। যার প্রতিটি বোমার ওজন ৩০ হাজার পাউন্ড। এছাড়া অভিযানে জ্বালানি ভরার ট্যাংকার নজরদারি উড়োজাহাজ ও যুদ্ধবিমান অন্তর্ভূক্ত ছিল।
এদিকে ইরানে মার্কিন হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘শাস্তি অব্যাহত থাকবে’ বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইসরায়েলের সঙ্গে যোগ দিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলা চালানোর পর এটি তার প্রথম সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, জায়োনিস্ট শত্রু একটি বড় ভুল করেছে, গুরুতর অপরাধ করেছে; এটিকে শাস্তি দিতে হবে এবং তারা শাস্তি পাচ্ছে; এটি এখনই শাস্তি পাচ্ছে।
পোস্টটির সঙ্গে একটি জ্বলন্ত ভবনের পটভূমিতে আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি খুলির ছবি শেয়ার করা হয়েছে। এটার ওপর ডেভিড তারকা চিহ্ন আঁকা রয়েছে, যা ইসরায়েলি প্রতীক হিসেবে পরিচিত।
গত ১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় পরমাণু, সামরিক ও আবাসিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে ৪০০-এর বেশি ইরানি নাগরিক নিহত হন। নিহতদের মধ্যে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণুবিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষ রয়েছেন।
ইরান ওই হামলার পরপরই পাল্টা প্রতিক্রিয়া শুরু করে। ২৩ জুন পর্যন্ত ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’-এর আওতায় ইরান ইসরায়েলে মোট ২১ দফায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
মন্তব্য করুন