নোবেলবিজয়ী ও দূরদর্শী কূটনৈতিক হেনরি কিসিঞ্জার মারা গেছেন। বুধবার (২৯ নভেম্বর) তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কিসিঞ্জার অ্যাসোসিয়েটস। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কিসিঞ্জার অ্যাসোসিয়েটস জানিয়েছে, তিনি কানেকটিকাটে নিজ বাড়িতে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক সিনেট সদস্যও ছিলেন।
হেনরি কিসিঞ্জার যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও জেরাল্ড ফোর্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তিনি দীর্ঘ কর্মজীবনে মার্কিন পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সাবেক এ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে মন্তব্য করেছিলেন। এছাড়া নানা বিতর্কিত ভূমিকার জন্য তার সমালোচনাও রয়েছে।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের এক মিটিংয়ে যুদ্ধের সম্ভাব্য ফলাফল ও বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের প্রেক্ষিতে আলোচনা হচ্ছিল। ওই মিটিংয়ে যুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশের অবস্থা নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশকে international basket case বলে অবহিত করেন।
কিসিঞ্জার প্রাথমিজক জীবনে হার্ভার্ডের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি পরবর্তীতে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তাকে মার্কিন-সোভিয়েত শীতল যুদ্ধের অন্যতম কারিগর মনে করা হয়।
তার বিরুদ্ধে কম্বোডিয়া ও লাওসে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সম্প্রসারণ, চিলি ও আর্জেন্টিনায় সামরিক অভ্যুত্থানে সমর্থন, ১৯৭৫ সালে পূর্ব তিমুরে ইন্দোনেশিয়ার রক্তক্ষয়ী অভিযানের পক্ষে অবস্থান নেওয়া এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর ব্যাপক নৃশংসতার বিষয়ে চোখ বন্ধ রাখার অভিযোগ রয়েছে। মার্কিন স্বার্থ এবং দেশীয় রাজনৈতিক সাফল্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় বিশ্বের ইতিহাসে কুখ্যাত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও তার ব্যপক সমালোচনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন