প্রথাগত ডিগ্রি কালচার তথা সনদ সর্বস্ব শিক্ষা ও বেকারত্বের অভিশাপ থেকে পরিত্রাণ পেতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মো. ইমামুল কবীর শান্ত চিত্রশিল্পী অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হককে সঙ্গে নিয়ে ২০০৩ সালে রাজধানীর উত্তরায় প্রতিষ্ঠা করেন দেশের প্রথম ডিজাইন বিশেষায়িত সাংস্কৃতিক তথা সৃজনশীল বিশ্ববিদ্যালয় ‘শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি’।
বিশ্ববিদ্যালয়টি অপেক্ষাকৃত কর্মমুখী শিক্ষাদানের মাধ্যমে আলোকিত ক্যারিয়ার ও প্রজন্ম গড়ার লক্ষ্যে ‘ফ্যাকাল্টি অব ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, ফ্যাকাল্টি অব ফাইন অ্যান্ড পারফর্মিং আর্টস, ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস এবং ফ্যাকাল্টি অব হিউম্যানেটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস’ এই পাঁচ অনুষদের অধীনে সর্বমোট ৩১টি প্রোগ্রামে যুগোপযোগী তথা কর্মমুখী বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
এ পর্যন্ত ০৩টি সমাবর্তন অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রস্তুতি চলছে চতুর্থ সমাবর্তনের। অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান চিত্রশিল্পী অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক একজন বরেণ্য চিত্রশিল্পী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা ও জাপানে ড্রইং ও পেইন্টিং বিষয়ে দীর্ঘকাল শিক্ষা ও গবেষণা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় অধ্যাপনার পাশাপাশি শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। শিশুদের আর্ট শেখানোসহ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন চিত্র প্রদর্শনী করা তার শখ। করোনাকালীন শাটডাউনের সময় ভার্চুয়াল চিত্র প্রদর্শনী করে বিক্রয়কৃত ছবির অর্থ দিয়ে অভাবি শিল্পী ও বিভিন্নজনকে সহায়তা করেন তিনি।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও সিটি ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মো. শাহ-ই-আলম এখানকার উপাচার্য। এছাড়া আছেন অভিজ্ঞ ডিনসহ বিভাগীয় প্রধান ও পর্যাপ্ত সংখ্যক পূর্ণ ও খণ্ডকালীন অভিজ্ঞ ফ্যাকাল্টিরা এবং ড. পাড় মশিয়ূর রহমান এখানকার রেজিস্ট্রার।
গ্রাফিক্স ডিজাইন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া ও ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচার বিষয়ে দুটি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একমাত্র শান্ত-মারিয়ামই পড়াচ্ছে। এ ছাড়া অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি, ফাইন আর্টস, মিউজিক অ্যান্ড ড্যান্স, ফ্যাশন ডিজাইন ও অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি এই বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রথম শুরু করে। অনেক ভর্তুকি দিয়ে শুরু করা এসব বিষয়ে শান্ত-মারিয়ামের অবদান ও সাফল্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আর সাফল্যের এই পথ ধরেই কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এখন এসব বিভাগ পরিচালনা করছে।
কর্মমুখী সময়োপযোগী বিষয়ের কারণে এখান থেকে পাস করার পর জবের জন্য শিক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তা করতে হয় না। কোনো কোনো সাবজেক্টের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই জবের অফার চলে আসে। তাছাড়া ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং ও জব ফেয়ারসহ বিভিন্ন আয়োজনের কারণে এখানকার শিক্ষার্থীদের চাকরির ব্যাপারে দুশ্চিন্তা করতে হয় না।
উত্তরা ১৭নং সেক্টরে লেক সংলগ্ন ৩.৭ বিঘা জমিতে দৃষ্টিনন্দন নকশায় গড়া ১০তলা একটি সুরম্য ভবনে গড়ে তোলা হয়েছে এর সাদা সফেদ স্থায়ী ক্যাম্পাস এবং এর পাশেই দ্রুতগতিতে চলছে নতুন আরও ভবন নির্মাণের কার্যক্রম। ক্যাম্পাস লাগোয়া লেকে সাদা বক ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখির ওড়াওড়ি ও কলকাকলী এবং মেট্রোরেলের ছুটে চলা বেশ উপভোগ্যই বলতে হয়। নভেম্বর ২০২১-এ ক্যাম্পাস ভিজিট করে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করে স্থায়ী ক্যাম্পাসের অনুমোদন দেয় ইউজিসি। অতঃপর ৪ ডিসেম্বর-২০২১ থেকে শুরু হয় সার্বিক একাডেমিক কার্যক্রম। স্থায়ী সনদের ব্যাপারটিও প্রক্রিয়াধীন।
সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস ওয়াইফাই ইন্টারনেট সংযোগের আওতাধীন। ক্লাসরুমগুলো হাইটেক মাল্টিমিডিয়া সুবিধা সংবলিত। আছে স্বয়ংসম্পূর্ণ ই-লাইব্রেরি, অত্যাধুনিক ল্যাব এবং হোস্টেল সুবিধাও। ক্যাম্পাসের অদূরেই রয়েছে মেট্রোরেল স্টেশন ও অন্যান্য পাবলিক ট্রান্সপোর্টের সুবিধা। শিক্ষার্থীদের নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াতের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসসহ বিভিন্ন বাস শিক্ষার্থীদের মেট্রোরেল স্টেশনসহ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পিকাপ ড্রোপ দিচ্ছে। একইসঙ্গে সৃজনশীলতা ও ক্যারিয়ার পরিকল্পনার জন্য আছে ক্যারিয়ার ক্লাব, সায়েন্স ক্লাব স্পোর্টস ক্লাব ও কালচারাল ফোরাম প্রভৃতি।
স্থায়ী ক্যাম্পাস সংলগ্ন নির্মাণাধীন নতুন ভবন তৈরির পর দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারের আদলে এখানে তৈরি করা হবে এক ‘রিসার্চ হাব’। নিজস্ব ফান্ডিং-এ গবেষণার কাজ ইতোমধ্যে চলছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার এসএই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষা বিনিময় সংক্রান্ত এক চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। আরও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথেও এ জাতীয় বিভিন্ন চুক্তি রয়েছে।
হাতে-কলমের অংশগ্রহণমূলক শিক্ষা প্রদান ও উদ্যোক্তা তৈরির কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে এ প্রতিষ্ঠানের রয়েছে সহায়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন- ক্রিয়েটিভ ম্যানিকুইন, ক্রিয়েটিভ ফার্নিচার, আর্ট হাট অ্যান্ড গ্যালারি, শান্ত-মারিয়াম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, শান্ত-মারিয়াম সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভ মিডিয়া ও দৈনিক আজকের প্রত্যাশা।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজাইন বিশেষায়িত বিভাগ ও প্রোগ্রামগুলোর শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষাদানের লক্ষ্যে সৃজনশীল নকশা তৈরি, টিভি অনুষ্ঠান প্রযোজনা কৌশল, কপিরাইটিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা, ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরি, পোশাক শিল্প ও কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনসহ তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন শাখায় প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদানের মধ্য দিয়ে তৈরি করা হয়। এরপর বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপের সুযোগ তৈরি ও সফল উদ্যোক্তা হিসেবে ফ্যাশন হাউস, ইন্টেরিয়র ডিজাইন প্রতিষ্ঠান ও অ্যাডফার্ম তৈরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবসা পরিচালনা ও কর্মসংস্থান তৈরির বিরল সুযোগ তৈরিতে উৎসাহিত করা হয়। ফলশ্রুতিতে গ্র্যাজুয়েটরা এ দেশের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত গার্মেন্টস শিল্পসহ তথ্য-প্রযুক্তি খাত, আবাসন শিল্প, গণমাধ্যম, অ্যাডফার্ম ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
অনুরূপ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও সফল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে যাতে স্বাবলম্বী হতে পারে, সেভাবেই শ্রেণিকক্ষ ও এর বাইরে হাতে-কলমের শিক্ষায় তাদের প্রস্তুত করা হয়।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীয় কর্ম তথা পেশাদারিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অ্যালুমনিগণের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলো হচ্ছে- ৭৪তম কান ফেস্টিভ্যালে মনোনয়ন প্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘রেহানা মারিয়াম নূরের প্রথম সহকারী ও কাস্টিং পরিচালক এবং অভিনয় শিল্পী ইয়াসির আল হক ও আর্ট ডিরেক্টর মাসুম মেহেদী’ শান্ত-মারিয়ামের জিডিএম ডিপার্টমেন্টের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ২০২৩-এ জিডিএম ডিপার্টমেন্টের অ্যালামনি সালভি সুমাইয়া আর্ট ওয়ার্কে ম্যাটারনাল ইন্সটিংক্ট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। উল্লেখ্য, তার এই ব্যতিক্রমী চিত্রাঙ্কন নভোচারীদের সঙ্গে চাঁদে পাঠানো হয়। সিএসই ডিপার্টমেন্টের ছাত্র জুবায়ের হাসান বাংলাদেশ পাওয়ার লাইটিং চ্যাম্পিয়নশীপ অ্যাওয়ার্ড-২০২২-এ ‘প্যারা-লিফ্ট বেন্স প্রেস অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে।
ইন্টেরিওর আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের অ্যালামনি অরুপা দত্ত ও এফডিটি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী তামান্না বিনতে ইসলাম ‘রাইজিং ইয়ুথ অ্যাওয়র্ড’ অর্জন করেন। এফডিটি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী অনন্যা ফাতিমা ‘ফেইস অব এশিয়া’ প্রতিযোগিতায় ‘ফার্স্ট রানারআপ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন। মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশে-২২ অর্জন করেন শিক্ষার্থী আননূর খান নোলক।
এ ছাড়া ২০১১ সালে ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডকাপ জার্সি ডিজাইনার, স্টাইলগুরু চ্যাম্পিয়ন, জামদানি জাদুঘর অ্যাওয়ার্ড, ২০১৯ এশিয়ান ফ্যাশনস এক্সেসরিজ ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড (১ম, ২য়, তয়), ভিট ল্যাকমি ফ্যাশনস, চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়র্ড, এনটিভি ক্লোজ আপ ওয়ান, আরটিভি অ্যানুয়াল অ্যাওয়ার্ড, বেঙ্গল প্রতিভা বিকাশ, আর্টিস্ট আমিনুল ইসলাম ট্রাস্ট ফেলোশিপ, ইউরোশিয়া ওয়াটার কালার গোল্ড মেডেল-২২, মেড ইন বাংলাদেশ উইক-২২ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ান অ্যাওয়ার্ড, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাইবার ড্রিল-২২ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড, এশিয়ান ইয়ং ডিজাইনার অ্যাওয়ার্ড-২২ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে আমাদের বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা।
ক্রিকেট এবং ফুটবলে জাতীয় পর্যায়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রচুর সুনাম অর্জন করেছে। যেমন- ক্লেমন ইনডোর ও আউটডোর ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ২০১৪-২০১৯ পর্যন্ত ৩২টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ক্রিকেটে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টের শিফন কলাবাগান স্পোর্টিং ক্লাবের ক্যাপ্টেন ছিলেন।
আমাদের শিক্ষার্থীরাও প্রথম আলো আয়োজিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে গত বছরসহ বিভিন্ন বছরে রানার্সআপ হওয়াসহ গুড প্লেয়ীংয়ের স্বীকৃতিও অর্জন করেন। নরওয়েতে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ফুটবল টুর্নামেন্টে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জিডিএম ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছে। এছাড়াও আরও কিছু শিক্ষার্থী রয়েছেন যারা কেউ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও কেউ ব্রাদার্স স্পোর্টিং ক্লাবে খেলছেন।
বিভিন্ন জাতীয় দিবসে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যাপারটি নিত্যকার ব্যাপার। বিজয় দিবসে ক্যাম্পাসে ১০০ শিল্পীর উপস্থিতিতে আর্ট ওয়ার্কশপের আয়োজন এবং সম্প্রতি আমাদের ক্রিয়েটিভ দ্য আর্ট গ্যালারিতে নেপাল ও বাংলাদেশের ৫০ জন শিল্পীর চিত্রাঙ্কন নিয়ে আয়োজন করা হয় তিন দিনব্যাপী ‘নেপাল বাংলাদেশ যৌথ চিত্রকর্ম প্রদর্শনী’। বিশেষ করে প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণে আয়োজন করা হয় বর্ণিল অনুষ্ঠান। এছাড়া একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন, বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানসহ গলফ গার্ডেনে ইফতার আয়োজন এবং শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন ডে তে আর্তমানবতার সেবায় ব্যাপক পরিসরে আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ও বন্যাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
করোনা দুর্যোগে শুরু করা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে প্রথমেই সব শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়। কারও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে সে বিষয়টিও অভিভাবকদের সমন্বয়ে সমাধানের চেষ্টা করাসহ পরীক্ষা গ্রহণ কার্যক্রমও অত্যন্ত সফলভাবে পরিচালিত হয়। যে কারণে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে বিডিরেণ (ইউজিসি) রেটিং-এ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৬ নম্বরে।
উল্লেখ্য, শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অন-ক্যাম্পাস শিক্ষার পাশাপাশি দেশব্যাপী দূরশিক্ষণ শিক্ষার এক ব্যতিক্রমী হাব হিসেবে নিজেদের প্রস্তুত করার পথে কাজ করছিল। দূরশিক্ষণের সে অভিজ্ঞতাকে এখন তারা কাজে লাগাচ্ছেন অনলাইনে অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে, যার সুফল গ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরাই। যে কোনো দুর্যোগে তারা পাচ্ছেন সময়ের সেরা অনলাইন শিক্ষা সেবা, আর কর্তৃপক্ষ মনোযোগ দিচ্ছেন বিশ্বমানের শিক্ষাদান প্রক্রিয়ার গবেষণায়।
মন্তব্য করুন