বিশ্ববেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৬ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
পাকিস্তানে ট্রেন ছিনতাই

পরিচয়পত্র দেখে হত্যা করা হয় যাত্রীদের

পরিচয়পত্র দেখে হত্যা করা হয় যাত্রীদের

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ছিনতাই হওয়া ট্রেন থেকে যে যাত্রীরা বেঁচে ফিরেছেন, ঘটনাবলির পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিয়েছেন তারা। কখন ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ল, কখন সেই ট্রেনের কামরায় ঢুকে পড়লেন বেলুচ বিদ্রোহীরা, তারা ঠিক কী কী করলেন, বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে। যাত্রীদের অনেককে শুরুতেই মেরে ফেলেছিলেন বিদ্রোহীরা। পরিচয়পত্র দেখে দেখে যাত্রীদের হত্যা করা হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন তারা। আবার কিছু যাত্রীকে পণবন্দি করে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গত বুধবার রাতেই এই অভিযান সমাপ্ত হয় বলে জানায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। সেনার গুলিতে মোট ৩৩ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। ৩০০-রও বেশি যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের হাতে ২৮ জন নিহত হয়েছেন। যদিও মোট মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা নোমান আহমেদ। ঈদ উপলক্ষে কোয়েটা থেকে তিনি জাফর এক্সপ্রেসে বাড়ি ফিরছিলেন। অপহরণের মুহূর্তের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘ট্রেন চলছিল। আচমকা একটা বিস্ফোরণের শব্দ পেলাম। আমরা সবাই কামরার মেঝেতে শুয়ে পড়েছিলাম। তার পর দ্রুত কামরার দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম গুলি চলছে, দরজা বন্ধ করে রাখতে পারলে বেঁচে যাব। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বেলুচ বিদ্রোহীরা ওই কামরায় ঢোকেন।

নোমানের বর্ণনা অনুযায়ী, কামরায় ঢুকে নারী এবং শিশুদের আলাদা করছিলেন বিদ্রোহীরা। তাদের রেখে বাকি যাত্রীদের ট্রেন থেকে বের করা হয়েছিল। তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল দুর্গম পাহাড়ি এলাকায়। এই সময় কয়েকজন যাত্রী আহত হয়ে পড়েন। তারা কামরা থেকে বেরোতে পারেননি। নোমান বলেন, ‘প্রথমে ওদের ট্রেন থেকে নেমে আসার নির্দেশ দেওয়া হলো। যখন ওরা বেরোতে পারল না, বন্দুকধারীরা আবার কামরার ভেতরে ঢুকল এবং ওদের সবাইকে গুলি করে মেরে দিল।’ সংবাদ সংস্থা এএফপিকে আরেক যাত্রী মুহাম্মদ নভিদ জানান, প্রত্যেকের পরিচয়পত্র দেখতে চাইছিলেন বিদ্রোহীরা। কাদের হত্যা করা হবে, তা বাছাই করা হচ্ছিল। নভিদের কথায়, ‘ওরা আমাদের এক এক করে ট্রেন থেকে নেমে আসতে বলল। নারীদের আলাদা করে সরে যেতে বলল। বয়স্কদেরও আলাদা করা হলো। ওরা বলেছিল, কারও কোনো ক্ষতি করবে না। ১৮৫ জন যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন। পরিচয়পত্র দেখে বেছে বেছে তাদের মধ্যে অনেককে মেরে ফেলা হলো।’ কোয়েটা থেকে পেশোয়ার যাওয়ার পথে বেলুচিস্তানের বোলানে জাফর এক্সপ্রেস আটকান বিদ্রোহীরা। ট্রেন ছিনতাই করে নেওয়া হয়। ৪৫০ জন যাত্রী ছিলেন ওই ট্রেনে। পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী বিদ্রোহীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু করে মঙ্গলবার রাত থেকেই। বুধবার রাতে প্রায় ৩০ ঘণ্টার অভিযানের পর সেনাবাহিনী জানায়, সব বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে কী হয় জেনে নিন

ডুবুরিদের ৩ ঘণ্টার চেষ্টাতেও সন্ধান মেলেনি শিশু নাজিমের

ভাত ছেড়ে দিলেই কি ওজন কমবে? যা বলছেন পুষ্টিবিদ

কানাডা মাতাতে যাচ্ছেন জায়েদ খান

‘বিয়ে করলেও সুখী হতাম না’ চিরকুট লিখে প্রাণ দিলেন নাসরিন

সড়কে মিলল ৬ পুরুষের কাটা মাথা, দেহ গায়েব

ড্যাবের নবনির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর

বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের ৫৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ইরান থেকে বিতাড়িত আফগানদের দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়ল না, নিহত ৭১

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

১০

২০ আগস্ট : আজকের রাশিফলে কী আছে জেনে নিন

১১

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

১২

ওসির স্বাক্ষর জাল করে ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ, পুলিশ সদস্যের নামে মামলা

১৩

বায়ুদূষণের শীর্ষে জাকার্তা, ঢাকার খবর কী?

১৪

টিভিতে আজকের খেলা

১৫

চক্ষু বিশেষজ্ঞ বিভাগে নিয়োগ দিচ্ছে রেড ক্রিসেন্ট

১৬

দিনাজপুরে প্রজন্ম লীগ নেতা তৈবুর গ্রেপ্তার

১৭

ইতালি যাওয়ার এক দিন পরই বাংলাদেশির মৃত্যু

১৮

আখেরি চাহার সোম্বা আজ, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি

১৯

সেলস ম্যানেজার পদে স্কয়ার গ্রুপে চাকরির সুযোগ

২০
X