যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউসে সন্দেহজনক সাদা পাউডার উদ্ধার করা হয়। সেগুলো কী, তা জানতে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার পর জানা যায় সেই পাউডার আসলে কোকেন। হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ে স্থানীয় সময় গত রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে সাদা পাউডার খুঁজে পান সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।
খবরে বলা হয়, পাউডার উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে কিছু সময়ের জন্য হোয়াইট হাউসের ওই অংশ খালি করা হয়। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থাকেন হোয়াইট হাউসের এক্সিকিউটিভ ম্যানশনে। তার লাগোয়া ওয়েস্ট উইং, যেখানে প্রতিদিন শতশত লোক নিয়মিত আসা-যাওয়া করেন। ওভাল অফিস, কেবিনেট রুম ও প্রেস এরিয়াও রয়েছে একই এলাকায়। তবে পাউডার উদ্ধারের সময় বাইডেন পরিবার নিয়ে ছুটি কাটাতে ক্যাম্প ডেভিডে ছিলেন। সাদা পাউডার উদ্ধারের খবর পাওয়ার পর তা পরীক্ষা করতে হোয়াইট হাউসে ছুটে যান ফায়ার ও জরুরি সেবা দপ্তরের কর্মকর্তারা। প্রাথমিকভাবে তারা নিশ্চিত হন, সেটি আসলে নিষিদ্ধ মাদক কোকেন। এর কিছুক্ষণ পরই হোয়াইট হাউস ফের খুলে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সিক্রেট সার্ভিস জানায়, তারা একটি উপাদান শনাক্ত ও পরীক্ষা করেছে। উপাদানটি অধিকতর পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। হোয়াইট হাউসে তা কীভাবে ঢুকল, সে ব্যাপারেও তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে তারা বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ওই পাউডারকে কোকেন হিসেবে বর্ণনা করেছে। বলছে, ওয়াশিংটন ডিসির ফায়ার বিভাগের বিপজ্জনক উপকরণ শনাক্ত টিমের একজন ওই পাউডার পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছেন। তাৎক্ষণিক পরীক্ষায় ওই উপাদানকে সম্ভাব্য কোকেন হিসেবে শনাক্ত করা হয়। যদিও এ পরীক্ষাই চূড়ান্ত নয়।
এ বিষয়ে সিক্রেট সার্ভিসের মুখপাত্র অ্যান্থনি গুগলিয়েলমি বলেন, ওয়েস্ট উইংয়ের একটি কর্মব্যস্ত জায়গায় ওই পাউডার পাওয়া গেছে। ফায়ার বিভাগ বিপজ্জনক উপাদান শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রক দল ‘হ্যাজম্যাট টিম’ পাঠায়।
তারা জানিয়েছে, ওই উপাদান বিপজ্জনক নয়।
মন্তব্য করুন