বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণহত্যাকারী, সন্ত্রাসীদের বিএনপিতে কোনো ঠাঁই নেই। দলীয়ভাবে নির্দেশনা দেওয়া আছে, যারা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের বিএনপিতে নেওয়া হবে না।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবে শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন বিএনপি মহাসচিবের পক্ষ থেকে ২ হাজার শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন—এ বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা আমার জানা নেই। তবে আমাদের চেয়ারম্যান সাহেবের (তারেক রহমান) নির্দেশ দেওয়া আছে, যারা সন্ত্রাসী, যারা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত হয়েছিল, যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের কাউকে বিএনপিতে নেওয়া হবে না।’
এ সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, দেশে দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদ থেকে উত্তরণের উপায় কী—জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এর জন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের শাসনকে স্থাপন করতে হবে। জনগণের যে নির্বাচিত পার্লামেন্ট, সে পার্লামেন্ট দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে হবে। অন্য কোনো উপায় আছে বলে আমার জানা নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি মমিনুল হক বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, আনসারুল হক, জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম শরিফ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারেক আদনান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কায়েস ও সদর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন সাজু।
এদিকে গতকাল এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠীর হিংস্রতা ও ভয়াবহ দুঃশাসন থেকে জনগণ নিস্তার পেলেও দেশ এখনো পুরোপুরি নিরাপদ নয়। যশোরের চৌগাছায় ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি আবুল হোসেনসহ তার তিন ছেলেকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় তিনি এ বিবৃতি দেন।
এ ধরনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনো নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে পরাজিত শক্তির দোসররা। তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয় কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। খুনখারাবির মাধ্যমে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী দুষ্কৃতকারীরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।