বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার জন্য আগামী জাতীয় নির্বাচন একটি বড় সুযোগ। তিনি বলেন, রাষ্ট্রে যদি আইনের শাসন না থাকে, সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু কেউ নিরাপদ নন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর জেএমসেন হলে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সনাতনীদের যাতে কেউ রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে, সেদিকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘বিতাড়িত স্বৈরাচারী সরকারের সময় গত দুই দশকে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বা তাদের স্থাপনা ও বসতবাড়িতে হামলার ঘটনাগুলো যদি পর্যালোচনা করি, তাহলে দেখব হাতেগোনা দু-একটি ঘটনা ছাড়া বাংলাদেশের সংখ্যালঘুকেন্দ্রিক হামলার ঘটনা কোনো ধর্মীয় কারণে হয়নি। প্রতিটি ঘটনা নিবিড়ভাবে তদন্ত করলে স্পষ্ট হয়ে যাবে।’
তারেক রহমান বলেন, গত ১৭ বছর বাংলাদেশ এক নৃশংস স্বৈরাচারের শাসনে ছিল। গণঅভ্যুত্থানের ফলে সেই শাসক পালিয়ে গেলেও গণতন্ত্র এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আইনের শাসন না থাকলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা থাকে না। দলীয় পরিচয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় না, এটা অতীতে প্রমাণিত হয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে সব ধর্ম, জাতি ও সম্প্রদায়ের ঐক্য প্রয়োজন।’ তিনি রেইনবো নেশনের ধারণার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান অধ্যাপক প্রদীপ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও বিপ্লব পার্থের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব আর কে দাশ রুপু, স্বামী উমেশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ, দারুব্রহ্ম জগন্নাথ দাস ব্রহ্মচারী, তারণ নিত্যানন্দ দাস ব্রহ্মচারী, স্বামী যোগানন্দ গিরি মহারাজ, স্বামী বেদানন্দ গিরি মহারাজ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সহকারী মহাসচিব বিশ্বজিৎ দত্ত বাবু, সঞ্জয় চক্রবর্তী মানিক, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব ধর তমাল, অভয়মিত্র মহাশ্মশান পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৌরভ প্রিয় পাল প্রমুখ।
মন্তব্য করুন