

কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প গত শুক্রবার নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো দেশকে। কয়েক সেকেন্ডের ঝাঁকুনি কেড়ে নিয়েছে ১০টি তাজা প্রাণ। পরদিন আরও তিনবার কম্পনে ভয় ও আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না মানুষের। দেশের ভেতরেই ঘন ঘন কম্পন দিচ্ছে বড় ভূমিকম্পের বার্তা। যে কোনো সময় প্রাকৃতিক এ দুর্যোগটির আঘাতের শঙ্কা থাকলেও মোকাবিলায় নেই প্রস্তুতি। সরকারি তরফে মোটামুটি প্রস্তুত বলা হলেও, কিতাবের সেই ‘কাজির গরু’র মতো বাস্তবে খুঁজে পাওয়া যায়নি। যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাও দেখেনি আলোর মুখ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) দুর্নীতি ও ব্যর্থতা ঢাকার কাঠামোগত ঝুঁকিকে বিপজ্জনকভাবে বাড়িয়েছে। যতবারই ভূমিকম্পের কাঁপুনি হয়, শুরু হয় আলোচনা। কয়েকদিন পরই থেমে যায় সব উদ্যোগ।
ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্র চলছে জোড়াতালি দিয়ে। যন্ত্রপাতি থাকলেও ব্যবহার না করায় অকেজো হয়ে পড়ছে। দুর্যোগে উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য জরুরি পরিচালন কেন্দ্র তৈরি হলেও জনবল নিয়োগ হয়নি। নেই মহড়া কিংবা সচেতনতামূলক কোনো কার্যক্রম। বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় প্রযুক্তিতে সক্ষমতা শূন্যের ঘরে। উদ্ধার অভিযানে সক্ষমতার ঘাটতি ফায়ার সার্ভিসেরও। আবার ভূমিকম্পে আশ্রয় নেওয়ার মতো খোলা জায়গা নেই ঢাকায়। এমন অবস্থায় পরিকল্পিতভাবে ভবন তৈরির পাশাপাশি প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভূতত্ত্ব ও নগর পরিকল্পনাবিদরা।
সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর উদ্ধার অভিযানের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে সরকার যে বিপুল পরিমাণ যন্ত্রপাতি কিনেছিল, তার বড় অংশ ব্যবহৃত না হওয়ায় অকেজো হয়ে পড়ছে। বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ‘অন্তত ২০০ কোটি টাকার সরঞ্জাম বিভিন্ন সময় ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে দেওয়া হয়েছিল। তখন এসব সরঞ্জাম নিয়ে প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন হতো। কিন্তু গত এক দশকে বড় দুর্যোগ না হওয়ায় পুরো সিস্টেম ঢিলে হয়ে গেছে।’
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত সক্ষমতার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কার্যত শূন্য। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা আমরা সব দুর্যোগেই নিই। কিন্তু প্রযুক্তিতে আমাদের সব প্রস্তুতি আছে—এ কথা বলা যাবে না। বড় উদ্ধার যন্ত্র অনেক জায়গায় নেওয়া সম্ভব নয়। ভবনঘেঁষা ভবনে আটকে পড়লে সেটি তুলেও আনা যায় না। তবে যা প্রযুক্তি আছে তা যদি পুরোপুরি যথাযথ নাও হয়, তবু খারাপ নয়। অন্যান্য প্রস্তুতি আমাদের আছে।’
কিন্তু মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতা ভিন্ন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপপ্রকল্প পরিচালক (উপসচিব) আবু সাইদ মো. কামাল বলেন, ‘বড় দুর্যোগে আমাদের প্রযুক্তিগত অবস্থান একেবারে শূন্য। এখনো টেন্ডার ও যন্ত্রপাতি সংগ্রহের কাজ চলছে, সময় লাগবে।’
ভূমিকম্পের উৎস, মাত্রা আর ঝুঁকি শনাক্তের কথা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের। সেই প্রতিষ্ঠানটিই চলছে জোড়াতালি দিয়ে। গত শনিবার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটের ভূকম্পনের পর তারা প্রথমে উৎপত্তিস্থল দেখায় গাজীপুরের বাইপাইল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেই তথ্য বদলে হয়ে যায় নরসিংদীর পলাশ। একই দিন সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটের ভূমিকম্পে একই চিত্র। প্রথমে ওয়েবসাইটে দেখানো হয় উৎপত্তিস্থল ঢাকার বাড্ডা। দুই ঘণ্টা পর আবার পরিবর্তন করে দেখানো হয় নরসিংদী-ঢাকা অঞ্চল। ফলে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
আগারগাঁওয়ে ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্রে গিয়ে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে সংস্থাটির ১০টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থাকলেও সারা দেশের ডেটা বিশ্লেষণ ও গবেষণার দায়িত্ব পড়েছে মাত্র একজন আবহাওয়াবিদ এবং একজন সহকারী আবহাওয়াবিদের ওপর। পর্যাপ্ত জনবল নেই; নেই আধুনিক সফটওয়্যার বা তাৎক্ষণিক বিশ্লেষণ সুবিধা। পুরো ব্যবস্থা চলে কোনো রকম জোড়াতালিতে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান কালবেলাকে বলেন, ‘ঢাকায় নিরাপদ ও খোলা জায়গার ঘাটতি এত ভয়াবহ যে, মানুষের আতঙ্কিত দৌড়াদৌড়ি শেষ পর্যন্ত বিপদের ঝুঁকি আরও বাড়ায়। আন্তর্জাতিকভাবে আদর্শ শহরগুলোয় নাগরিকদের ৫০০ থেকে ৮০০ মিটারের মধ্যে একটি পার্ক, গ্রিন স্পেস বা ওপেন স্পেস নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক। খোলা জায়গা তৈরি করা ব্যক্তিগত দায়িত্ব নয়। রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা আর উদ্যোগ ছাড়া এটি সম্ভব নয়। শহরের ভবন ধসে পড়লে ধ্বংসাবশেষ সরানো থেকে উদ্ধার পর্যন্ত সবই রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এখানেই সবচেয়ে বেশি শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে।’
রাজউকের বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন অ্যাক্ট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড এবং ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান সবই কঠোর নিরাপত্তা মানদণ্ড অনুসরণ করে। এর মধ্যে রয়েছে—মাটির পরীক্ষা, বিল্ডিংয়ের সীমানা নির্ধারণ, স্ট্রাকচারাল লোড হিসাব এবং স্বীকৃত নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের নিয়ম। তবে এসব বিষয় যে নিয়মিতভাবে উপেক্ষা করা হয়, তা স্বীকার করেছেন রাজউকের কর্মকর্তারা। রাজউকের এক জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী বলেন, ‘এখন আর প্রকৌশলগত মানদণ্ড নয়, বরং দরকষাকষিই মুখ্য। এখন আর অনুমোদন বা নিয়ম মানার ওপর কোনো কিছু নির্ভর করে না। এটা নিলাম হয়ে গেছে। দুর্নীতিই ঠিক করে ফাইল কত দ্রুত এগোবে।’
নগর উন্নয়ন বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ঢাকার প্রায় ৭০ শতাংশ ভবন অন্তত একটি বড় নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করে নির্মিত হয়েছে। অনেক ভবনের অনুমোদিত তলার সংখ্যা অতিক্রম করে অতিরিক্ত তলা যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া খরচ কমাতে ভিত্তি নকশায় পরিবর্তন করা হয়। ফলাফল, এসব ভবন মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পও সহ্য করতে অক্ষম।
রাজউকের ভেতরকার দালালদের চক্র অর্থের বিনিময়ে ফাইলের গতি নিয়ন্ত্রণ করে। হাফিজুর রহমান নামের একজন নির্মাতা বলেন, ‘কাগজপত্র একদম ঠিক থাকলেও দালাল ছাড়া ফাইল এগোয় না। কমিশন না দিলে মাসের পর মাস লাগে। ঠিক লোক থাকলে এক সপ্তাহেই হয়ে যায়।’
রাজউক ও বিশ্বব্যাংকের আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬ দশমিক ৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ঢাকায় ৮ লাখ ৬৪ হাজার ভবন ধসে পড়তে পারে, যা ঢাকার মোট ভবনের ৪০ শতাংশ। ওই মাত্রার ভূমিকম্প দিনে হলে কমপক্ষে ২ লাখ ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হবে। আর রাতে হলে কমপক্ষে ৩ লাখ ২০ হাজার মানুষ মারা যাবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, ‘প্রতিটি বিপর্যয় আমাদের সংস্কারের সুযোগ দেয়, কিন্তু রাজউক কখনো এসব থেকে শিক্ষা নেয় না। তারা তদন্ত করে, রিপোর্ট দেয়, তারপর ভুলে যায়। আর এই সময়েই হাজার হাজার অনিরাপদ ভবন বেড়ে ওঠে।’
দেশে ভূমিকম্প হলে প্রথম ধাক্কা সামলাতে যে সংস্থার ওপর ভরসা থাকে, সেই ফায়ার সার্ভিসই বড় ধরনের দুর্যোগে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থানে। জনবল কম, যন্ত্রপাতি কম। আর ঢাকায় ভবনের ঘনত্ব এমন পর্যায়ে; বড় ভূমিকম্প হলে উদ্ধার অভিযান শুরু করার আগেই পথ বন্ধ হয়ে যাবে—এমনটাই আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
দেশজুড়ে ফায়ার সার্ভিসে জনবল মাত্র ১৪ হাজার ৫৬০ জন। ঢাকায় ১৮টি স্টেশনে আছে ৬৫০ জন। রাজধানীতে বহুতল ভবনের সংখ্যা সাড়ে ২১ লাখ। এই অনুপাতেই বোঝা যায় বিপদের পরিমাণ কতটা বড়। ঢাকায় বড় ভূমিকম্প হলে একসঙ্গে ২০ থেকে ২৫টি ধসে পড়া ভবনে উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব। এর বেশি নয়। কোনো বড় ভবন ধসে সড়ক বন্ধ হয়ে গেলে বাহিনীর সরানোই অসম্ভব হয়ে পড়বে।
সমস্যা শুধু জনবলেই নয়। উদ্ধার সামগ্রীরও তীব্র সংকট। উদ্ধারকাজে প্রয়োজন হয় হাইড্রোলিক কাটার, স্প্রেডার, র্যাম, এয়ার লিফটিং ব্যাগ, সার্চ ভিশন ক্যামেরা, বিভিন্ন ধরনের রেসকিউ স, চিপিং হ্যামার, থার্মাল ইমেজার—এসবের পর্যাপ্ত মজুত নেই। হেভি ইকুইপমেন্ট ছাড়া ধসে পড়া ভবনে আটকেপড়াদের বের করা যায় না।
ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক আবু নাঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘২০২১ সালে ইউএনডিপির সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস একটি পূর্ণাঙ্গ সক্ষমতা উন্নয়ন পরিকল্পনা সরকারকে দিয়েছিল। সেটি আজও বাস্তবায়িত হয়নি। তিন লাখ স্বেচ্ছাসেবক থাকার কথা, বাস্তবে সংখ্যা ৪০ হাজারের আশপাশে। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রণালয়ে ঘুরেছি। স্বেচ্ছাসেবকদের যন্ত্রপাতি কিনে দেওয়ার মতো সামর্থ্য রাষ্ট্র দেখাতে পারেনি।’
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার জানান, ৬২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক তৈরির প্রক্রিয়া চলছে, ৫৫ হাজার প্রস্তুত। বৃহৎ দুর্যোগ হলে ফায়ার সার্ভিস তা সামলাতে পারবে না। তখন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীসহ সব বাহিনী একসঙ্গে কাজ করবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সহায়তাও নেওয়া হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ত্রাণ কর্মসূচি অধিশাখা এবং জরুরি সাড়াদান ও সমন্বয় অধিশাখার যুগ্ম সচিব সেখ ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘সরকারি প্রস্তুতির বিষয়ে আমাদের বাস্তবতাকে নির্মোহভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। বর্তমানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য ফায়ার সার্ভিস, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ ও আনসারের মতো প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত থাকলেও আমাদের এই বর্তমান সক্ষমতা একটি বৃহৎ মাত্রার ভূমিকম্প মোকাবিলায় পর্যাপ্ত নয়—এই সত্য আমাদের স্বীকার করে নিতে দ্বিধা নেই। ভূমিকম্পের সময় জরুরি সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিও বিদ্যমান।’
গতকাল রাজউক আয়োজিত এক সেমিনারে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ভূমিকম্প বড় ক্ষয়ক্ষতির বার্তা দিয়েছে, সেজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে বরং প্রস্তুতির কাজ শুরু করার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি প্রস্তাব করেন যে রাজউকের পাশাপাশি থার্ড পার্টির মাধ্যমে রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট শুরু করা যেতে পারে। বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয়দের সহায়তায় জরিপ কার্যক্রম দ্রুত শুরু করারও আহ্বান জানান তিনি।
রাজধানীর ভবনগুলোর ঝুঁকি মূল্যায়নের কাজে রাজউক ও সিটি করপোরেশনকে প্রয়োজনে কঠোর হতে হবে বলে মন্তব্য করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত সম্পত্তির অজুহাতে এ কাজে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। জননিরাপত্তার স্বার্থে রাজউককে এটা করতে হবে। প্রয়োজনে রাজউককে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
শিল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, থার্ডপার্টির মাধ্যমে অ্যাসেসমেন্টের কাজ শেষ করতে হবে। রাজউকের ক্ষমতা বাড়াতে দ্রুতই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ঝুঁকি মোকাবিলায় ট্রাস্ট গঠনের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় রাজধানীতে প্রায় ৩০০টি ছোট-বড় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানান রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সমন্বিতভাবে কাজ না করা গেলে ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব নয়। সিটি করপোরেশন, রাজউক ও ফায়ার সার্ভিস আলাদাভাবে কাজ করায় বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে সব।
যথাযথ নিয়ম মেনেই ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয় জানিয়ে রিয়াজুল ইসলাম বলেন, অর্থের বিনিময়ে রাজউকে কোনো কাজ হয় না।
রাজউক কাউকে প্ল্যান করে দেয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাড়িওয়ালারাই ইঞ্জিনিয়ার বা আর্কিটেক্ট দিয়ে বাড়ির প্ল্যান করে রাজউকে জমা দেন এই শর্তে যে, রাজউকের নিয়ম অনুযায়ী করব। পরবর্তী সময়ে তারা সেটা না মানলে জরিমানা কিংবা শাস্তি দিতে হলে সেই বাড়িওয়ালাদেরই দেওয়া উচিত। এই দায়ভার রাজউকের না।’
মন্তব্য করুন