আলোচিত যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়াকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে তাকে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
কারা সূত্রে জানা গেছে, কাশিমপুর মহিলা কারাগারে ৩ বছর ৪ মাস ধরে বন্দি ছিলেন পাপিয়া। ২৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি পাপিয়াকে সেখানে রাইটার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। সম্প্রতি পাপিয়া রুনা লায়লা নামে এক হাজতিকে নির্মম নির্যাতন এবং তার কাছ থেকে টাকা লুট করেন—এমন অভিযোগে রুনার ছোট ভাই জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও কারা কর্তৃপক্ষ আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এরই মধ্যে পাপিয়াকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের (ভারপ্রাপ্ত) জেল সুপার ওবায়দুর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
নথি চুরির মামলায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী রুনা লায়লাকে ১৬ জুন কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আনা হয়। রুনার দেহ তল্লাশি করে মেট্রন তার কাছে ৭ হাজার ৪০০ টাকা পান। ওই টাকা ছিনিয়ে নিতে পাপিয়া ও তার সহযোগী কয়েদিরা গত ১৯ জুন রুনাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে ফেলে রাখেন।
সম্প্রতি রুনা লায়লা জামিনে মুক্ত হয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
হাসপাতালে সাংবাদিকদের রুনা লায়লা বলেন, ‘আমার কাছে ৭ হাজার ৪০০ টাকা ছিল। সেই টাকা কেড়ে নেওয়ার জন্য কারাগারের হাজতি যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়াসহ তার সহযোগীরা সিসি ক্যামেরা নেই এমন স্থানে নিয়ে যায়। টাকা চাইলে দিতে অস্বীকার করলে তারা জোর করে সেই টাকা নিয়ে যায়। পরে পাপিয়া ও তার সহযোগীরা শিকল দিয়ে হাত-পা বেঁধে অমানবিকভাবে আমাকে মারধর করে। আমাকে না মারার জন্য পাপিয়ার হাত–পায়ে ধরেছি। কিন্তু সে আমার কথা শোনেনি। আরও বেশি করে আমারে মেরেছে।’
মন্তব্য করুন