এক ওভারে তিন ‘নো’—খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ফরচুন বরিশালের হার। এমন এলোমেলো বোলিং করা শোয়েব মালিকের ওপর ফিক্সিংয়ের সন্দেহ আনেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান। তবে বিষয়টি নিয়ে যখনই আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়, তখনই ইউটার্ন নেন মিজানুর রহমান। এবার ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন দলটির এই স্বত্বাধিকারী। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই শোয়েবই বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত ঢাকা পর্বে। খুলনার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ ১৮৭ রান করেও ম্যাচটি হেরেছিল বরিশাল। ওই ম্যাচের চতুর্থ ওভারে ৯ বলে দেন ১৮ রান। ওই ওভারটিই দলের ক্ষতি করেছিল বলে গণমাধ্যমে মন্তব্য করেছিলেন দলটির স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান। তিনি বলেছিলেন, ‘একজন অফস্পিনার এক ওভারে তিনটা নো বল করবে, এটা আসলে অবিশ্বাস্য লাগছে। ওই ওভারেই আমরা হেরে গেছি।’ বিষয়টি আকসুর তদন্ত করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
এরপর নিজের মন্তব্য পরিবর্তন করেন মিজানুর। এবার তিনি ভিন্ন সুরে কথা বললেন। দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘কয়েকদিন ধরে কথা বলতে শুনছি শোয়েব মালিককে নিয়ে। আমি ওটার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শোয়েব মালিক একজন ভালো খেলোয়াড় এবং সে তার সেরা খেলাটাই আমাদের দিয়েছে। এটা নিয়ে আমরা আর আলোচনা না করি।’ তার এমন মন্তব্যের কিছুক্ষণ পরই নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেছেন শোয়েব। দলের সঙ্গ ছাড়া থেকে শুরু করে সবকিছুই নিয়ম মেনে করেছেন জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘ফরচুন বরিশালের ক্রিকেটার হিসেবে আমাকে নিয়ে সম্প্রতি যে গুজব ছড়িয়েছে, তা আমি অস্বীকার করছি। আমার দুবাইয়ে আগে থেকেই একটা মিডিয়া ব্যস্ততায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল। এ ব্যাপারটা অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করে আমি বাংলাদেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সংবাদকে মিথ্যা দাবি করে তিনি বলেছেন, ‘যখনই গুজব ছড়ায়, আমি সেসব থেকে বেঁচে থাকতে সতর্কতা অবলম্বন করি, বিশেষত এখন যা ছড়াচ্ছে। আমাকে নিয়ে যে ভিত্তিহীন গুজবটা ছড়াচ্ছে, তা আমি শক্তভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। কোনো কিছু বিশ্বাস ও ছড়িয়ে দেওয়ার আগে তা নিখুঁতভাবে যাচাই করা উচিত। মিথ্যা সবসময়ই দ্বিধা তৈরি করে ও সম্মানহানিকর। যে কোনো তথ্যের ব্যাপারে আসুন আমরা নির্ভুল ও নির্ভরযোগ্য সূত্রকে গুরুত্ব দিই।’ যদিও দলটির স্বত্বাধিকারী গণমাধ্যমে শুরুতে তোলা মন্তব্য সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি শোয়েব। তবে এ ধরনের গুঞ্জনের পর বিপিএল ঘিরে সতর্কতা বাড়বে বিসিবি ও আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশনের (আকসু)।