ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ দাবিতে একদফা আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকাসহ সারা দেশে পদযাত্রা করেছে বিএনপি। এ কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে লক্ষ্মীপুরে কৃষক দলের এক নেতা নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পদযাত্রা করতে গিয়ে কিশোরগঞ্জে পুলিশের হামলায় বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত, বগুড়ার গাবতলীতে প্রায় ৩০ জন, খাগড়াছড়িতে অর্ধশতাধিক, ঢাকায় পাঁচ নেতাকর্মীসহ সারা দেশে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে লক্ষ্মীপুরে একজন নিহতের কথা জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার জন গুলিবিদ্ধসহ ২ হাজার নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি দলটির। লক্ষ্মীপুরে কৃষক দল নেতা নিহত: লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্মীপুরে বিএনপির পদযাত্রা ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ঘিরে উভয়পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সজীব নামে কৃষক দলের এক নেতা নিহত হন। এসব ঘটনায় পুলিশ, পথচারী, দোকানি ও উভয় দলের কর্মীসহ অন্তত ৭০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকান ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গতকাল বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পূর্বনির্ধারিত পৃথক কর্মসূচি ছিল। বিকেল ৪টার দিকে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির নেতৃত্বে শহরের গোডাউন রোড থেকে পদযাত্রায় মিছিল নিয়ে বের হন। এ সময় শহরের সামাদ একাডেমির মোড়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ব্যানার-ফেস্টুন
ছিঁড়ে ফেলেন বিএনপির কর্মীরা। একপর্যায়ে ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী হঠাৎ কলেজ রোডের দিকে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে আসা ১৫-২০ জনকে ধাওয়া করেন। এতে দোকানি, পথচারীসহ পাঁচজন আহত হন। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় মদিন উল্যাহ হাউজিংয়ের একটি ভবনের দোতলায় আশ্রয়ের জন্য দৌড়ে গিয়ে লুটিয়ে পড়েন এক যুবক। কিছুক্ষণ পর ওই যুবক প্রচুর রক্তক্ষরণে মারা যান বলে জানান বাড়ির মালিক। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তার শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত সজীব সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের নুরুল্লাহপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। তিনি কৃষক দলের চন্দ্রগঞ্জ থানা কমিটির সদস্য ছিলেন। এদিকে বিএনপির মিছিলটি ঝুমুর এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে ছাত্রলীগের লোকজন তাদের ধাওয়া করে। একইভাবে শহরের বাগবাড়ী এলাকায়ও সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে আরও ২০ জন আহত হন। জেলার পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, বিএনপি মিছিল নিয়ে হাইওয়ে সড়কে উঠতে চাইলে পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। বিএনপির হামলায় পুলিশের ১০ সদস্য আহত হন বলে জানান তিনি। কিশোরগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত শতাধিক: কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, গতকাল জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকসহ উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে দুপুর ১২টায় গুরুদয়াল কলেজ মাঠ থেকে জেলা বিএনপির ব্যানারে শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা বের হয়। শহরের আখড়া বাজার হয়ে ঈশা খাঁ রোডের রথখলা এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ পদযাত্রায় বাধা দিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও পাল্টা টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। পরে ধাপে ধাপে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে। জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুজ্জামান পার্নেল জানান, তিনিসহ ৮-১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে জেলা যুবদলের আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন, সৈয়দ আলী মোস্তফা তাজবির, শাহরিয়ার মুসা তানহা ও আব্দুল মান্নানও রয়েছেন। তারা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি রথখোলা এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে টিয়ার গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। তারা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাক সরকার জানান, বিএনপির পদযাত্রাটি রথখোলায় শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা বিনা উসকানিতে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। বগুড়ায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ৩৫: বগুড়া ব্যুরো জানায়, বগুড়ায় বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের কয়েক দফা সংঘর্ষে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মী মিলিয়ে ৩৫ জন আহত হন। এ সময় বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে। পুলিশের দাবি, বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালালে পুলিশের ১০ জন আহত হয়েছেন। তবে বিএনপির দাবি, তাদের পদযাত্রায় পুলিশ গুলি চালালে ২৫ নেতাকর্মী আহত হন। পুলিশের টিয়ার শেলের ধোঁয়ায় সড়কে আটকে পড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অর্ধশত শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে ২৭ জনকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বগুড়ার বনানী থেকে একটি এবং মাটিডালী মোড় থেকে অন্য একটি পদযাত্রা শহর অভিমুখে রওনা দেয়। বনানীর পদযাত্রায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা এবং মাটিডালীর পদযাত্রায় জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। একই সময় শহরে উন্নয়ন পদযাত্রা ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। এতে শহরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পদযাত্রা যেন শহরের কেন্দ্রস্থল সাতমাথায় না যায়, সে বিষয়ে বিএনপি নেতাদের জানিয়ে দেয় পুলিশ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বনানীর পদযাত্রাটি পুলিশ সাতমাথায় যেতে বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে পুলিশ পরিদর্শক তারিকুল ইসলামসহ ১০ জন আহত হন। পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ও শটগানের গুলি ছুড়লে পুলিশকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা দাবি করেন, পুলিশ তাদের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। এতে অন্তত ২৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পুলিশ প্রথমে বিনা উসকানিতে লাঠিপেটা শুরু করে। পরে নেকার্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, বিএনপির পদযাত্রা সরাসরি সাতমাথায় যাওয়ার অনুমতি ছিল না। তাদের বাধা দেওয়া হলে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। খাগড়াছড়িতে বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষ: খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, বিএনপির পদযাত্রা ঘিরে খাগড়াছড়িতে বিএনপি-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা বিএনপির কার্যালয় এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পদযাত্রা শুরুর প্রাক্কালে বিএনপির নেতাকর্মীরা শাপলা চত্বরের দলীয় কার্যালয় এলাকায় জড়ো হন। একই সময়ে উন্নয়ন পদযাত্রার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয় ও পৌরভবন এলাকায় জড়ো হন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের অতিক্রমকালে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা থেকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং পরে সংঘর্ষের রূপ নেয়। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালালে বিএনপি নেতা হোসেন মো. বাবুসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। পরে বিএনপির নেতাকর্মী সংঘবদ্ধ হয়ে পাল্টা হামলা চালালে জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক নুরুল আযমসহ ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। হামলায় উভয়পক্ষ বাঁশ-লাঠি ও লোহার রড ব্যবহার করে। দুপক্ষের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পুলিশের পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে ছিল বিজিবি। সংঘর্ষ চলাকালে আটটি মোটরসাইকেলে আগুন ও পৌরভবন ভাঙচুর করা হয়। তবে বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পৌরসভা মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী। ফেনীতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত অর্ধশত: ফেনী প্রতিনিধি জানান, গতকাল বিকেলে পদযাত্রা ঘিরে জিরোপয়েন্ট এলাকায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ অন্তত ২০-৩০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার ও সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলালের নেতৃত্বে প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী শহরের ট্রাঙ্ক রোডের দাউদপুর ব্রিজ এলাকা থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রাটি শহরের জিরোপয়েন্টে এলে পুলিশ শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের দিকে ঘুরিয়ে দেয়। নেতাকর্মীরা ইসলামপুর রোডের মাথায় পৌঁছলে পুলিশের আরেকটি দল মিছিলটি জেলা বিএনপির কার্যালয়ের দিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ইটপাটকেল ও গুলির বিকট শব্দে পুরো শহর প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে শহরের জিরোপয়েন্ট এলাকায় অবস্থান নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিতে গেলে পুলিশ থামিয়ে দেয়। পুলিশ সুপার জাকির হাসান জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে নিরাপত্তার স্বার্থে ফাঁকা গুলি ও টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলালের দাবি, তাদের দুশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। নরসিংদীতে বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের বাধা: নরসিংদী প্রতিনিধি জানান, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের বাধার মুখে পড়ে কেন্দ্রঘোষিত একদফা দাবিতে নরসিংদী জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি। জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মাধবদী পুরোনো বাসস্ট্যান্ড থেকে পদযাত্রা শুরুর কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন মানিকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল ওই এলাকা দখলে নেয়। ফলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পাশের ইদগাহ মাঠ রোডে জমায়েত হতে থাকেন। এ সময় পুলিশ তাদের চলে যেতে বললে উভয়পক্ষের মাঝে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সরকারকে তাদের একদফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। এ ছাড়া রাজবাড়ীতে পদযাত্রায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি চত্বরের সামনে আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম গ্রুপ ও অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী ও হারুন গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ছাড়াও পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী, লালমনিরহাট, শেরপুর, সিলেট, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, পিরোজপুর, নোয়াখালী, পাবনা, সুনামগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নাটোর, বরিশাল, ফরিদপুর, গাজীপুর, কুড়িগ্রাম ও জয়পুরহাট জেলায় পদযাত্রা করেছে বিএনপি।
মন্তব্য করুন