মাহমুদুল হাসান
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৪, ০২:৪৪ এএম
আপডেট : ২২ মে ২০২৪, ০৮:০৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

অস্থায়ী ১৯৮৯ চিকিৎসককে পদোন্নতি দিতে তুঘলকি

বিধি ভঙ্গ করে সুপারিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের
অস্থায়ী ১৯৮৯ চিকিৎসককে পদোন্নতি দিতে তুঘলকি

বিসিএস ক্যাডারে যোগদানের পর পদোন্নতি পেতে চাকরি স্থায়ী হওয়া, বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ এবং বিভাগীয় ও সিনিয়র স্কেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক; কিন্তু এই বিধান লঙ্ঘন করে অ্যাডহক (অস্থায়ী) ও চুক্তিভিত্তিক দায়িত্ব থেকে ক্যাডারে যুক্ত হওয়া ১ হাজার ৯৮৯ চিকিৎসককে পদোন্নতি দিতে উঠেপড়ে লেগেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে এরই মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে চাকরি স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং বিভাগীয় পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসক নেতার স্বজন অ্যাডহক থেকে ক্যাডারভুক্ত হয়েছেন। তাদের তদবিরেই শর্ত পরিবর্তন করে চাকরি স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতির সুপারিশ করেছে মন্ত্রণালয়। এর আগে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া ৪৩০ চিকিৎসকের চাকরি নন-ক্যাডার থেকে ক্যাডারভুক্ত পদে স্থানান্তর করা হয়। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে রিটও করেছেন স্বাস্থ্য ক্যাডারের কয়েকজন কর্মকর্তা। বিচারাধীন সেই রিটের তথ্য গোপন করে ওই কর্মকর্তাদের চাকরি স্থায়ী করে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য চিঠি চালাচালি করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সময়ে বিধিভঙ্গ করে অ্যাডহক ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ থেকে সদ্য ক্যাডারভুক্তদের চাকরি স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতির উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে তার মেয়াদে উদ্যোগটি বাস্তবায়ন হয়নি। বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন দায়িত্ব নেওয়ার পর সব কিছু বুঝে ওঠার আগেই মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা এ বিষয়ে তৎপর হয়ে ওঠেন। শর্ত পরিবর্তন করে সদ্য ক্যাডারভুক্তদের চাকরি স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে একাধিক চিঠি দেওয়া হয়। এতে ওই চিকিৎসকদের সিনিয়র স্কেল পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার এই সুপারিশ করা হয়। মন্ত্রণালয়ের এই সুপারিশকে অবৈধ ও বিধির লঙ্ঘন বলছেন বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডাররা।

সরকারি চাকরি বিধিমালা থেকে জানা যায়, বিসিএস ক্যাডারে যোগ দিয়ে একজন নবীন কর্মকর্তা বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ, বিভাগীয় পরীক্ষা, কমপক্ষে চার বছরের সন্তোষজনক চাকরিকাল এবং সিনিয়র স্কেল পরীক্ষার মতো চারটি ধাপ অতিক্রম করে উচ্চ দায়িত্ব পালনে দক্ষ ও অভিজ্ঞ হয়ে ওঠেন। এরপরই কেবল উচ্চপদে দায়িত্ব পান তারা। প্রচলিত এই রীতির বাইরে কোনো ক্যাডারে পদোন্নতির নজির নেই। অথচ অ্যাডহক ও চুক্তিভিত্তিক থেকে সদ্য ক্যাডার হওয়া চিকিৎসকদের বিধিবহির্ভূতভাবে পদোন্নতির উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি স্বাস্থ্যসেবায় দীর্ঘদিন ধরেই চিকিৎসক সংকট চলছিল। ওই সংকট মোকাবিলায় ২০০৯ সালে জরুরিভিত্তিতে কয়েক হাজার চিকিৎসক নিয়োগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০১০ সালে ৩ হাজার ৫৫১ এবং পরের বছর আরও ৫৮২ জন চিকিৎসককে অস্থায়ীভিত্তিতে (অ্যাডহক) নিয়োগ দেওয়া হয়। এই চিকিৎসকের অনেকে ৩৩তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগদান করেন। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২০১৪ সালের একটি তালিকার তথ্য অনুযায়ী, ওই বিসিএসে অংশ নিয়েও অস্থায়ী চাকরিতে থাকা ১ হাজার ৮৮৪ জন অকৃতকার্য হয়েছিলেন।

জানা গেছে, অ্যাডহক চাকরিতে থাকা ওই চিকিৎসকদের জুনিয়র কনসালট্যান্ট, সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, ডেপুটি সিভিল সার্জন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার পদে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বও পেয়েছেন তারা। অনেককে জুনিয়র কনসালট্যান্ট, সহকারী অধ্যাপক, সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও সহযোগী অধ্যাপক এবং অধিদপ্তরের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার কিংবা প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবেও পদায়ন করা হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রচলিত চাকরিবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বাস্থ্য ক্যাডাররা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিধি ভঙ্গ করে অ্যাডহক চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য ক্যাডারে যুক্ত করা শুরু হয় ২০১৯ সালে। সে বছর ১১৫ জনকে পদোন্নতি দিয়ে সহকারী অধ্যাপক করা হয়। পরের বছর (২০২০ সালে) ২৬৮ জনকে এবং ২০২১ সালে ৪৭ জনকে জুনিয়র কনসালট্যান্ট হিসেবে অ্যাডহক থেকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। বিষয়টি জানতে পেরে এর প্রতিকার চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় বরাবর অভিযোগ করে স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন। এ নিয়ে ২০২২ সালের ২৯ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন সংক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা, যা এখনো বিচারাধীন।

জানা গেছে, আদালতে গড়ানোর পর আইনি জটিলতা এড়াতে অ্যাডহক চিকিৎসকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে চাকরি স্থায়ীকরণ ও সিনিয়র স্কেলের শর্ত থেকে অব্যাহতি দিতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে মতামত দিতে গিয়ে গত বছরের ১৮ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আলমগীর কবীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, ‘বর্তমানে অ্যাডহক ভিত্তিতে স্বাস্থ্যে চিকিৎসক রয়েছেন ১ হাজার ৯৮৯ জন। এসব চিকিৎসককে ক্যাডারভুক্তির জন্য বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালা ১৯৮১-এর সংশোধনের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এসেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালে (আবেদনকারীদের) ক্যাডারভুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যা বিধি অনুযায়ী ৪২তম বিসিএসের পরপর ক্যাডার হিসেবে মর্যাদা পাবেন। তবে এসব চিকিৎসকের নন-ক্যাডারে চাকরি স্থায়ীকরণ হলেও পুনরায় ক্যাডারে চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে।’

এর আগে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়ে গত বছরের ২৪ জানুয়ারি মতামত দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানায়, ‘অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগকৃত চিকিৎসকরা ১২ বছরের বেশি হওয়ার পর ক্যাডারভুক্ত হয়েছেন। এরই মধ্যে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া ৪৩০ জনকে আগে জুনিয়র কনসালট্যান্ট এবং সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে; কিন্তু বর্তমানে স্বাস্থ্য ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তাদের নতুন করে স্থায়ীকরণ এবং সিনিয়র স্কেল পাস করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এমতাবস্থায় সিনিয়র স্কেল পরীক্ষার বিষয়টি প্রমার্জন করে ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তির আদেশ অব্যাহত রাখা যেতে পারে।’

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) ড. মো. জিয়াউদ্দীন বলেন, ‘আমার জানা মতে, এখন এটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আছে।’

জানা গেছে, অ্যাডহক চিকিৎসকদের বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যাওয়ার পর সেখানেও চিঠি দিয়েছেন বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডাররা। গত ৮ এপ্রিল দেওয়া ওই চিঠিতে আইনের সংশোধন প্রক্রিয়া ও উদ্যোগের বেশকিছু ত্রুটি ও বিধি ভঙ্গের তথ্য তুলে ধরা হয়।

স্বাস্থ্য ক্যাডাররা বলছেন, এখন পর্যন্ত নন-ক্যাডারদের সুবিধা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয় বিধি থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের বিধি সংশোধন করে চাকরিবিধিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে। ক্যাডারভুক্তির আগেই এসব অবৈধ পদোন্নতির কারণে নিয়মিত ক্যাডাররা আর্থিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

বিসিএস ২১তম ব্যাচের কর্মকর্তা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের নিউরো সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. খালেদ আহমেদুর রহমান বলেন, ‘অ্যাডহক ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদের ক্যাডারভুক্ত করা নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই; কিন্তু তারা তো কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মধ্যদিয়ে উত্তীর্ণ হননি। তাদের কোনো ফাউন্ডেশন ট্রেনিং নেই। কখনো বিভাগীয় পরীক্ষায়ও অংশ নেয়নি। নিয়ম হচ্ছে, যখন তারা ক্যাডারভুক্ত হলেন, তার সর্বশেষ বিসিএস ক্যাডারের শেষে তারা জ্যেষ্ঠতা পাবেন। নিয়ম অনুসারে ৪২তম বিসিএস ক্যাডারদের পরে অন্তর্ভুক্ত হবেন। তাহলে কেন তারা ফাউন্ডেশন ট্রেনিং ও বিভাগীয় পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি পাবেন? বিধিমালা অনুযায়ী চাকরির বয়স ৫০ বছর হলেই কেবল ফাউন্ডেশন ট্রেনিং ও বিভাগীয় পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি পাবেন। সেখানে মাত্রই তারা ক্যাডারভুক্ত হলেন। তাহলে কেন তাদের এই অব্যাহতি দিতে হবে, যা ক্যাডারের চিকিৎসকরা কখনোই পায়নি। এভাবে অব্যাহতি দেওয়া হলে তারা সিনিয়র স্কেল পরীক্ষায় স্বাস্থ্য ক্যাডারের প্রায় ১৫ হাজার চিকিৎসকের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন। ক্যাডারভুক্ত এই ১৫ হাজার চিকিৎসক সারাজীবনে পদোন্নতিতে পিছিয়ে পড়বেন।’

তিনি বলেন, ‘অ্যাডহক থেকে ক্যাডার পদে পদোন্নতি দেওয়ায় এই শর্ত থেকে প্রমার্জনা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। একটি অন্যায়কে ঢাকতেই এখন আরেকটি অন্যায়ের আয়োজন চলছে।’

অ্যাডহক থেকে সদ্য ক্যাডারভুক্ত চিকিৎসকদের চাকরি স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রমার্জনার সুপারিশ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন গতকাল মঙ্গলবার কালবেলাকে বলেন, ‘অ্যাডহক চিকিৎসকদের বিষয়ে কী ধরনের সুপারিশ করা হয়েছে, তা আমার জানা নেই। এই মুহূর্তে আমি বিদেশে অবস্থান করছি। দেশে ফিরে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এবার চতুর্থ সারির ক্লাবের কাছে হেরে ম্যানইউর বিদায়

ড. মাসুদের প্রচেষ্টায় দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেলো ৩ ইউনিয়নের মানুষ

বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছেন বাংলাদেশ স্পিনার

রুমিন ফারহানার দুঃখ প্রকাশ

বৃহস্পতিবার প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা

ভারতে নিষিদ্ধ অনলাইন জুয়া, বড় ধাক্কায় আইপিএল ও ভারতীয় ক্রিকেট

পদক্ষেপ নিলে মনে হয় দেশেই থাকা হবে না : ডিসি মাসুদ

রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সভা

ডিআরইউতে মঞ্চ ৭১–এর কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবি

জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব অপরিহার্য: উপদেষ্টা

১০

কনভেনশন হলে গেরিলা বৈঠকে গ্রেপ্তার শিমুল ৪ দিনের রিমান্ডে

১১

শাহবাগে এসে ডিএমপি কমিশনারের ‘দুঃখ প্রকাশ’

১২

ইনকিলাব সম্পাদককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাল ছাত্রশিবির

১৩

বিএনপি নেতাকে কোপাল যুবলীগ নেতা

১৪

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাক্ষী হাটহাজারী বিমানবন্দর

১৫

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১৬

ডাকসু নির্বাচন / ১৩২ শিক্ষার্থীকে খাওয়ালেন প্রার্থী, রিটার্নিং কর্মকর্তা বললেন আচরণবিধি লঙ্ঘন

১৭

সাদাপাথর লুটপাট নিয়ে সিলেটে গণশুনানি

১৮

একাধিক উপকারিতা কাঠবাদামের, যাদের জন্য ক্ষতিকর

১৯

একই দিনে দুইবার পরিবর্তন, রাকসু নির্বাচনের নতুন তারিখ নির্ধারণ

২০
X