

বছরের পর বছর চলে আসা এক অস্বস্তিকর প্রশ্ন অবশেষে থামল গ্যাবায়। অ্যাশেজের গোলাপি আলোয় জো রুট ব্যাট হাতে করে দিলেন নিজেরই জবাব—অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম টেস্ট শতক। শুধু একটি ইনিংস নয়, এটি রুটের ক্যারিয়ারের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান।
বৃহস্পতিবার ব্রিসবেনে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেই সেই বহু আলোচিত ‘খরা’ কাটান ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক। এত দিন টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েও অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর কোনো সেঞ্চুরি ছিল না। ৮৯২ রান করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু গড় ছিল তুলনামূলকভাবে সাধারণ—৩৫.৬৮। এবার আর কোনো ‘কিন্তু’ থাকল না।
৩৪ বছর বয়সী রুট প্রথম দিন শেষ করেন অপরাজিত ১৩৫ রানে। ২০২ বলের ধৈর্যশীল ও নিয়ন্ত্রিত ইনিংসে ছিল ১৫টি চার ও একটি ছক্কা। তাঁর ব্যাটেই ভর করে দিন শেষে ইংল্যান্ড পৌঁছায় ৯ উইকেটে ৩২৫ রানে—চাপের ম্যাচে যা নিঃসন্দেহে স্বস্তির স্কোর।
এই ইনিংসের গুরুত্ব আরও বাড়ে রুটের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে। সিরিজের প্রথম টেস্টে পার্থে তাঁর শুরুটা ছিল রীতিমতো হতাশাজনক—প্রথম ইনিংসে সাত বল খেলে শূন্য, দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৮ রান। ফলে অস্ট্রেলিয়ায় শতকের অপেক্ষা ঘিরে আলোচনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছিল।
তবে গ্যাবায় এসে সব সংশয় ঝেড়ে ফেলেন তিনি। জোফরা আর্চারের সঙ্গে অপরাজিত জুটিতে দিন শেষ করেন রুট, আর্চার ছিলেন ৩২ রানে।
এই শতকটি রুটের টেস্ট ক্যারিয়ারের ৪০তম—তাঁকে নিয়ে গেল ইতিহাসের একেবারে দরজায়। এখন তিনি মাত্র এক শতক দূরে রিকি পন্টিংয়ের (৪১) সমান হওয়ার। তালিকার শীর্ষে আছেন শচীন টেন্ডুলকার (৫১), এরপর জ্যাক ক্যালিস (৪৫)।
অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম শতক শুধু একটি ব্যক্তিগত মাইলফলক নয়—এই ইনিংসই হয়তো বদলে দিতে পারে চলতি অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের গল্প।
মন্তব্য করুন