তোয়াহা হুসাইন
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

রোজায় ঘরোয়া কাজে সহযোগিতা করুন

রোজায় ঘরোয়া কাজে সহযোগিতা করুন

রমজান মাসের সিয়াম সাধনা ও ইবাদতগুলো শারীরিকভাবে প্রভাব ফেলে। দিনভর উপোস থাকা ও রাতভর তারাবি-তাহাজ্জুদে সবাই ক্লান্ত-শ্রান্ত থাকেন। এ সময় সবাই অন্যের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। পুরুষের তুলনায় নারীদের কষ্ট একটু বেশি হয়। নারীদের ঘরোয়া কাজে কিছু বাড়তি আয়োজন থাকে, সংসারের অন্যান্য দায়িত্ব ছাড়াও ইফতারি এবং রাতের খাবারের ব্যবস্থা করতে হয়। রোজার দীর্ঘ উপবাসের কারণে অবসাদ ও ক্লান্তিও থাকে শরীরজুড়ে। তাই এ মাসে নারীদের ঘরের কাজে পুরুষের কিছুটা সহায়তা অনেকটা স্বস্তি এনে দেয়। সহযোগিতা ও সহায়তার মাধ্যমে এ মাসের ইবাদতগুলো যথাযথভাবে পালন করা সম্ভব। রাসুল (সা.) বলেন, ‘রমজান মাস হলো সহানুভূতি ও সহমর্মিতার মাস।’ (শুয়াবুল ইমান: ৩৩৩৬)।

ঘরের পুরুষ সদস্যদের কর্তব্য, রমজানে নারী সদস্যদের কাজে সহযোগিতা করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা মুমিন নরনারীদের পরস্পর বন্ধু হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, ‘মুমিন নারী ও মুমিন পুরুষ পরস্পর বন্ধু।’ (সুরা তাওবা: ৭১)। আর ভালোবাসা বা বন্ধুত্বের দাবি হলো—কাজ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মাধ্যমে সুখে-দুঃখে অংশীদার হওয়া। ফলে পারিবারিক জীবন হয় অনিন্দ্য সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ। তা ছাড়া ঘরের নারীরাও রোজা রাখেন। এ মাসে বিভিন্ন নফল ইবাদতের প্রতি আগ্রহ তাদেরও থাকে। তাই ইফতারিতে খুব বেশি আইটেম তৈরি করার চাপ প্রয়োগ করাও অনুচিত। বরং তাদের কষ্ট লাঘব করে নফল ইবাদতে সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের কষ্ট দূর করে, আল্লাহতায়ালা কেয়ামতের দিন তার একটি কষ্ট দূর করবেন।’ (মুসলিম: ৩৮)।

ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের চিত্র দেখুন। হাদিসে এসেছে, বর্ণনাকারী বলেন, আমি আয়েশা (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করলাম রাসুল (সা.) ঘরে কী কাজ করতেন? প্রতিউত্তরে আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ঘরোয়া মানুষদের সেবায় নানা কাজে অংশ নিতেন। নামাজের সময় হলে বেরিয়ে যেতেন।’ (বোখারি: ৫০৪৮)। আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) ইবনে হিব্বানের সূত্রমতে, আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) নিজের কাপড় নিজেই সেলাই করতেন। জুতা মেরামত ও সাংসারিক যাবতীয় কাজে অংশ নিতেন।’ (ফাতহুল বারি: ১৩/৭০)।

কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা মঙ্গলময় কাজে প্রতিযোগিতা করো।’ (সুরা বাকারা: ১৪৮)। রোজাদারকে খাওয়ানো, খাবার তৈরি, পরিবেশন সবই ইবাদত। সওয়াব অর্জনের বসন্তকাল রোজায় পারিবারিক কাজে সহযোগিতা করেও সওয়াবের পাল্লা ভারী করতে পারি আমরা।

লেখক: মাদ্রাসা শিক্ষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দিনাজপুর বোর্ডে এইচএসসির ফলাফলে ধস

ইনজেকশন খুব ভয় লাগে: শ্রাবন্তী 

ফের কাছাকাছি অগস্ত্য-সুহানা

আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : প্রধান উপদেষ্টা

ক্যাম্পাসের ৬ প্রবেশপথে কঠোর নিরাপত্তা, ঢুকতে পারছে না বহিরাগত

ভোট দিতে ২৫টি বাসে আসছেন অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা

অত্যন্ত চমৎকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিবেশ বিরাজ করছে : রাবি প্রক্টর

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী, ভোট দিয়ে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী

রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না ভারত, আশ্বস্ত ট্রাম্প

ভোট দিয়ে যা বললেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী

১০

এইচএসসি ২০২৫: পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে কারা এগিয়ে

১১

বাংলাদেশে কোপেলের আঞ্চলিক প্রতিনিধি, মেক্সিকোতে এক বিলিয়ন ডলার বাণিজ্যের সম্ভাবনা 

১২

শর্ত না মানলে জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি : নাহিদ

১৩

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অকৃতকার্য ৫ লাখের বেশি

১৪

অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়া নিয়ে যা বললেন রাবি ভিসি

১৫

কোন বোর্ডে কতজন জিপিএ-৫ পেলেন?

১৬

ভোটার তালিকা দেখতে পারছেন না এজেন্টরা, অভিযোগ ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থীর

১৭

অনলাইনে এইচএসসির ফলাফল দ্রুত জানবেন যেভাবে

১৮

ঘষা দিলেই উঠে যাচ্ছে ‘অমোচনীয়’ কালি

১৯

কারিগরিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬১০ জন, পাসের হার কত?

২০
X