খায়রুল আনোয়ার
প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ এএম
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

চব্বিশে বর্ষসেরা: ’২৫ হবে কঠিন চ্যালেঞ্জের

চব্বিশে বর্ষসেরা: ’২৫ হবে কঠিন চ্যালেঞ্জের

ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সাক্ষী হয়ে ২০২৪ সাল বিদায় নিচ্ছে। সূচনা হবে আরেকটি নতুন বছরের। বাংলাদেশের জন্য এক কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির হচ্ছে ২০২৫ সাল। নির্বাচন, সংস্কার, গণহত্যা ও দুর্নীতির দায়ে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব থেকে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ, নাজুক অর্থনীতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বড় ইস্যু হয়ে দেখা দেবে। রমজান মাসে বাজার পরিস্থিতি কতটা সহনীয় থাকবে, সে প্রশ্ন এখন থেকেই উঠছে। সব বাধাবিপত্তি পেরিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কতখানি সক্ষমতা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে পারবে, আগামী কয়েক মাসেই তা বোঝা যাবে। বিশ্বখ্যাত ব্রিটিশ সাময়িকী ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ ২০২৪ সালের বর্ষসেরা দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে নির্বাচিত করেছে। বাংলাদেশকে বিজয়ী ঘোষণার প্রসঙ্গে সাময়িকীটি বলছে, ‘বাংলাদেশ একজন স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়েছে। আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বে রাজপথের আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন। সাড়ে ১৭ কোটি জনসংখ্যার এই দেশটির স্বাধীনতার নায়কের কন্যা শেখ হাসিনা একসময় দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতীক ছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার শাসন দমনমূলক হয়ে ওঠে। নির্বাচনে কারচুপি, বিরোধীদের দমন করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানো নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া শেখ হাসিনা শাসনামলে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে।’

ইকোনমিস্টের বিবেচনায় বর্ষসেরা হওয়া বাংলাদেশ কী বহুল আলোচিত সংস্কারের পথে যাত্রা শুরু করতে পারবে—এ প্রশ্নের জবাব সম্ভবত জানুয়ারিতে অনেকটাই স্পষ্ট হবে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিটির সবকটিরই কাজ শেষ পর্যায়ে। সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ ২২ ডিসেম্বর একটি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, তার কমিশন ৭ জানুয়ারি সুপারিশগুলো সরকারের কাছে জমা দেবে। বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন সংস্কার কমিশনও তার প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করার পথে। সংস্কার কমিশনগুলো প্রধান উপদেষ্টার হাতে তাদের প্রস্তাবনা তুলে দেওয়ার পর শুরু হবে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কেননা রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন অংশীজনের কাছে এসব সুপারিশ কতখানি গ্রহণযোগ্য হবে, সেটিই বড় বিষয়। বিশেষ করে সংবিধান সংস্কার কমিশন বিদ্যমান সংবিধানের কী কী পরিবর্তন আনার পক্ষে এবং মৌলিক নীতির বিষয়ে নতুন কী প্রস্তাবনা করে এবং তা কতটা বাস্তবায়নযোগ্য হবে, সেই প্রশ্ন সামনে চলে আসবে। অন্তর্বর্তী সরকার সংস্থার কমিশনগুলোর সুপারিশ অনুযায়ী ব্যাপক সংস্কারের পথে হাঁটবে, নাকি দলগুলোর দাবি অনুযায়ী নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় ‘যতটুকু সংস্কার’ দরকার, সেটুকু করে নির্বাচনে চলে যাবে—তাও দেখার বিষয়। সংস্কার ইস্যুতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন করার ঘোষণা দিয়েছেন। বিজয় দিবসের জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি জানান, ঐকমত্য গঠন কমিশনের কাজ হবে রাজনৈতিক দলসহ সব পক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপন হবে, সেগুলো চিহ্নিত করা এবং বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করা। প্রথম ছয়টি কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আগামী মাসেই জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন কাজ শুরু করতে পারবে বলে প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে উল্লেখ করেন। ওই ভাষণে তিনি উল্লেখ করেন যে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর প্রধানত নির্ভর করছে আগামী নির্বাচন প্রস্তুতি ও তারিখ।

রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো সংস্কার ইস্যু নয়; বরং দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দিচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনুস আগামী বছরের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর জাতীয় নির্বাচন ২০২৫ নাকি ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে—রাজনৈতিক অঙ্গনে এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে বেশ উচ্চকণ্ঠ। দলের নীতি নির্ধারকরা মনে করেন, নির্বাচনের জন্য চার থেকে ছয় মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়। নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, সিপিবি, জে এস ডি, গণঅধিকার পরিষদের একাংশ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দিচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী এতদিন নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে বলে আসছিল যে, ‘নির্বাচন নিয়ে তাড়াহুড়ো নয়। আগে সংস্কার পরে নির্বাচন।’ এখন তারা সময়সীমা নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছে। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সম্প্রতি বলেছেন, ‘সংসদ নির্বাচন ২০২৫ সালের মধ্যেই হতে হবে।’ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নির্বাচনী এলাকায় জামায়াত নেতা আরও বলেন, ‘এসবের মধ্যে সব সংস্কার শেষ করতে হবে।’ বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের দ্রুত নির্বাচনের দাবির সঙ্গে স্পষ্ট মতপার্থক্য বিরাজ করছে জাতীয় নাগরিক কমিটির। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে গঠন করা হয়েছে নাগরিক কমিটি। এই কমিটির নেতৃবৃন্দ গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার কথা বলছেন বারবার। নাগরিক কমিটির নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে—এমনটাই আভাস দিয়েছেন কমিটির নেতারা। সাম্প্রতিক কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচলিত রাজনীতির বাইরে গিয়ে ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের’ লক্ষ্যে নাগরিক কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে জেলা, উপজেলা, থানা পর্যায়ে কমিটি গঠনের কাজ চলছে। ছাত্রদের রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে রাজনৈতিক দলগুলো। তারা এ প্রসঙ্গে এরই মধ্যে কয়েক দফা প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বলেছে, ‘ছাত্রদের দল গঠনে তাদের আপত্তি নেই। তবে সরকারের থেকে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।’ উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতা উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। ছাত্রদের রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন ও জনমনে প্রবল কৌতূহল রয়েছে। জুলাই-আগস্ট সফল অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র নেতৃত্ব রাজনৈতিক দল গঠনে কতখানি সফল হবেন—সবার নজর থাকবে এদিকেও।

অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকারের অন্যতম হচ্ছে, ছাত্র আন্দোলন দমনের চেষ্টায় ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী’ অপরাধের দুই অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দায়ীদের বিচার করা। এরই মধ্যে শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, তাদের লক্ষ্য সবার আগে অপরাধের ‘নিউক্লিয়াস’ শেখ হাসিনার বিচার করা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ভারতে আশ্রয় নিয়ে এখনো ভারতেই অবস্থান করছেন। শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। ২৩ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিচারের মুখোমুখি করতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফেরত চেয়েছে বাংলাদেশ।’ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে তারা এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করানো, সরকারের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার বলা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে সরকার প্রয়োজনীয় সবই করবে। তবে এ ক্ষেত্রে সরকার আদৌ সফল হবে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। কারণ গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর বিষয়টি ভারতের পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন। এর বড় কারণ হলো, শেখ হাসিনা তার শাসনামলে ভারতকে একতরফাভাবে ট্রানজিট-ট্রানশিপমেন্টসহ অনেক সুবিধা দিয়েছেন। ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের প্রাপ্তি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন রয়েছে। যেমন তিস্তা নদীর পানি প্রাপ্তির বিষয়টি ভারত ঝুলিয়েই রেখেছে। শুধু গণহত্যার দায় নয়, অন্তর্বর্তী সরকারকে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্য এবং মন্ত্রী-এমপি ও প্রশাসনের কর্তাদের দুর্নীতির কার্যক্রমও এগিয়ে নিতে হবে। ২৩ অক্টোবর গণমাধ্যমের খবর হলো, শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ মিলিয়ন (৩০ কোটি) ডলার পাচারের অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই বিপুল অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সরকারের অনেক চেষ্টা ও উদ্যোগ সত্ত্বেও পুলিশি কার্যক্রম এখনো স্বাভাবিক নয়। ছিনতাই-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হয়েই চলেছে। ‘বেপরোয়া ছিনতাই, একের পর এক ঝরছে প্রাণ’ শিরোনামে, সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়েছে, ‘রাজনীতির প্রধান সড়ক থেকে অলিগলিতেও মানুষ ছিনতাই ও ডাকাতির শিকার হচ্ছেন। আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীতে শতাধিক ছিনতাই সংঘটিত হয়েছে। ছুরিকাঘাতে শুধু ঢাকায় খুন ১০ (সমকাল, ২২ ডিসেম্বর)।’ চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে সারবাহী জাহাজে কুপিয়ে ও গলা কেটে সাতজনকে হত্যা করা হয়েছে। নতুন বছরে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করা এবং পুলিশকে পুরোপুরি সক্রিয় করে তোলা সরকারকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলবে। আরেকটি প্রধান ইস্যু হচ্ছে, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা। সরকার এক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত সফলতা দেখাতে পারেনি। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ শুরুতে একই সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব পালন করছিলেন। পরে একজন শিল্পপতিকে বাণিজ্য উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু এতেও বাজার পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। জিনিসপত্রের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষ দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে আছে। বাজার সিন্ডিকেটের কাছে সরকার যেন অসহায়, অর্থ উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্যে এমনটাই মনে হয়েছে। সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে উপদেষ্টা বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট শক্তিশালী, বাজার ব্যবসার ক্ষেত্রটি বেশ জটিল আর এই জটিল জিনিস ভাঙা বেশ কঠিন।’

এ লেখাটি যখন লিখছি, তখন পর্যন্ত চলতি বছরের সর্বশেষ দুঃসংবাদ হলো সচিবালয়ের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের নথি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রশ্ন উঠেছে, এটি সত্যি সত্যিই কি অগ্নিকাণ্ড নাকি নাশকতা ও ষড়যন্ত্র রয়েছে এর পেছনে? কেননা বিগত সরকারের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি যে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে, পুড়ে যাওয়া নথিপত্র অধিকাংশই সেসব মন্ত্রণালয়ের। এর আগে গত কয়েকদিন ধরেই প্রশাসন ক্যাডার নিয়ে জনপ্রশাসনে চলছিল এক ধরনের উত্তেজনা। এই ইস্যুটাও বর্তমান সরকারের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেখার বিষয়, সরকার এ বিষয়টি কীভাবে সমন্বয় করে?

যে বিখ্যাত সাময়িকী বাংলাদেশকে ২০২৪ সালের বর্ষসেরা দেশের খেতাব দিয়েছে সেই সাময়িকীতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের খেতাব অর্জনের পর দ্য ইকোনমিস্টের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আমি আমার কাজ করছিলাম এবং তা উপভোগ করছিলাম। আমাকে ভিন্ন কিছু করার জন্য সরিয়ে আনা হয়েছে। আমি আমার নিয়মিত কাজে ফিরে যেতে পারলে খুশি হবো।’ প্রধান উপদেষ্টা সংস্কার, নির্বাচন আয়োজনসহ দুরূহ চ্যালেঞ্জগুলো কতখানি সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করে তার কাজে ফিরে যেতে পারবেন, তাই এখন দেখার বিষয়।

লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চাকরি দিচ্ছে দারাজ, কাজ করতে পারবেন নিজ নিজ জেলায়

তারেক রহমানের নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে : টুকু

‘জুলাই সনদ’ নিয়ে লিখিত মতামত দিল বিএনপি

‘সিলেটে পাথর লুটে জড়িতদের পুরো তালিকা প্রকাশ করবে প্রশাসন’

নির্ধারিত সময়ে হয়নি ওষুধের তালিকা হালনাগাদ ও মূল্য নির্ধারণ প্রতিবেদন

পরশু, তরশু নাকি আজই?

রাতে ফোন চার্জে রেখে ঘুমালে কি ফোনে আগুন লাগতে পারে?

স্ত্রীর প্রতারণার ভয়ংকর বর্ণনা দিলেন শওকত

যে ৩৩ ওষুধের দাম কমিয়েছে ইডিসিএল

ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী!

১০

বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস হাসপাতালে ভর্তি

১১

দ্বিতীয় ধাপে কলেজ পেতে যা করতে হবে শিক্ষার্থীদের, জানাল শিক্ষা বোর্ড

১২

দেশকে আর তাঁবেদার রাষ্ট্র বানাতে দেব না : চরমোনাই পীর

১৩

ভারতের মাটিতে আ.লীগের তৎপরতা নিয়ে ২ দেশের পাল্টাপাল্টি অবস্থান 

১৪

শিক্ষককে ছাত্রীর ছুরিকাঘাত, থানায় মামলা

১৫

৫০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি

১৬

হোটেলকক্ষে গোপন ক্যামেরা? মোবাইল দিয়ে শনাক্ত করবেন যেভাবে

১৭

আলোচিত সেই কৃষি কর্মকর্তা বদলি

১৮

আমির খানের গোপন সন্তান থাকার অভিযোগ ভাই ফয়সালের

১৯

জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজ পায়নি ৫৭৬৫ জন

২০
X