মহিউদ্দিন খান মোহন
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২১ মে ২০২৫, ০৭:৩৬ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
একথা সেকথা

ইতিহাস বিকৃতি রুখবে তরুণরা

ইতিহাস বিকৃতি রুখবে তরুণরা

প্রতিটি জাতিরই একটি জাতীয় সংগীত থাকে। আমাদেরও আছে। আমাদের জাতীয় সংগীত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানের প্রথম দুটি স্তবক। একাত্তরে যখন আমরা মুক্তিযুদ্ধরত, তখন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে গানটি অধিবেশনের শুরুতে বাজানো হতো। আর সমাপনী সংগীত ছিল গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানটি। ৯ মাস এভাবেই চলেছে। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি গানটি শুনে অনেকেই আবেগাপ্লুত হতেন। কারও কারও চোখের কোণে চিকচিক করে উঠত অশ্রুবিন্দু। মায়ের মতো দেশকে ভালোবাসার আবেগই মানুষকে আপ্লুত করত। স্বাধীনতার পর কেউ কেউ জয় বাংলা বাংলার জয়কে জাতীয় সংগীত করার প্রস্তাব দিলেও শেষ পর্যন্ত আমার সোনার বাংলাকে জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়। সে থেকে আমরা গেয়ে আসছি এ জাতীয় সংগীত। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিবেশে কখনো কখনো জাতীয় সংগীত নিয়ে কোনো কোনো মহল প্রশ্ন তোলার চেষ্টা যে করেনি, তা নয়। কেউ কেউ প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করেন, ভিনদেশি একজন নাগরিকের লেখা গান কেন আমাদের জাতীয় সংগীত হবে? তবে সেসব প্রশ্ন-প্রস্তাব দেশবাসীর গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।

২০০৫ সালে একদিন (সঠিক তারিখটি মনে নেই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের দোতলার কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। আমি ছিলাম বিশেষ অতিথি। বক্তৃতা করতে গিয়ে সালাউদ্দিন ভাই জাতীয় সংগীত ও কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কটাক্ষ করে কিছু কথা বললেন। তিনি আমাকে উদ্দেশ্য করে এও বললেন, ‘মোহন, দেখবা কালই কিছু পত্রিকা হেডিং করবে—‘সাকা চৌধুরী বলেছেন...’। পরদিন ঠিকই কারওয়ান বাজার থেকে প্রকাশিত একটি বড় জাতীয় দৈনিকে ফলাও করে তা প্রকাশিত হলো। দুপুরে অফিস করিডোরে হঠাৎ দেখা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সঙ্গে। স্বভাবসুলভ হাসি দিয়ে বললেন, ‘কী বলেছিলাম না ওরা লিখবে?’ তারপর হাত ধরে নিয়ে গেলেন তার অফিসকক্ষে। চা খেতে খেতে বললাম, ‘ভাই, একটি কথা বলি। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে বোধকরি কথাগুলো বলা আপনার সমীচীন হয়নি। দেখুন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতাযুদ্ধ মীমাংসিত বিষয়। তেমনি জাতীয় পতাকা-জাতীয় সংগীতও মীমাংসিত বিষয়। শুধু শুধু বিতর্ক সৃষ্টি করে কী লাভ? তা ছাড়া ৩৩ বছরে ধরে (১৯৭২-২০০৫) জাতীয় সংগীত শুনে আমরা কাঁদছি বলে আপনি যে মন্তব্য করেছেন, সে কান্না তো দেশের প্রতি ভালোবাসার, আবেগের। আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কি ‘কোথাকার কে’? গম্ভীর মুখে কথাগুলো শুনে তিনি বললেন, ‘তোমার কথায় যুক্তি আছে।’ তারপর থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় সংগীত বা রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে সালাউদ্দিন ভাইকে বিরূপ কোনো মন্তব্য করতে শুনিনি। সম্ভবত তিনি উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের বাস্তবতায় ওইসব প্রশ্ন তোলা অসমীচীন।

আমাদের জাতীয় সংগীত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালনকারী জামায়াত নেতা অধ্যাপক গোলাম আযমের ছেলে সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী। গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের যে জাতীয় সংগীত রয়েছে, সেটি আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের পরিপন্থি। এ সংগীত ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করার আন্দোলনের সময় দুই বাংলাকে এক করার জন্য কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন। এ জাতীয় সংগীত দুই বাংলাকে এক করার জাতীয় সংগীত। আমরা কি দুই বাংলা এক করতে চাই, নাকি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অঙ্গীভূত রাজ্য হতে চাই?’ দেশের সব পত্রিকায় পরদিন তার এ বক্তব্য প্রকাশিত হলে জনমনে প্রচণ্ড অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। যেহেতু তিনি সাবেক জামায়াত নেতা গোলাম আযমের ছেলে, তাই এর দায়ভার দলটির ওপর পড়তে পারে—এ আশঙ্কায় তারা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি মারফত জানায় যে, আযমীর সঙ্গে জামায়াতের কোনো রাজনৈতিক বা সাংগঠনিক সম্পর্ক নেই এবং ওই বক্তব্য তার একান্তই ব্যক্তিগত। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে এ-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্ট আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘বিতর্ক সৃষ্টি হয়, এমন কোনো বিষয়ে সরকার হাত দেবে না।’ অর্থাৎ জাতীয় সংগীত নিয়ে যে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা কোনো কোনো মহল করছে, সরকার তা সমর্থন করে না। ওই সময় একটি দৈনিকে ‘একাত্তর আমাদের অস্তিত্বের ভিত্তি’ শীর্ষক নিবন্ধে আমি লিখেছিলাম, ‘স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ এবং জাতি হিসেবে আমাদের যা কিছু অর্জন, সবকিছুর শেকড় প্রোথিত রয়েছে একাত্তরে। মুক্তিযুদ্ধের অধ্যায় একাত্তরপর্ব এড়িয়ে গেলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব থাকে কি? সে শেকড়কে উপড়ে ফেললে বা নড়বড়ে করে ফেললে আমাদের জাতীয় অস্তিত্বই বিপন্ন হতে পারে।’ (প্রতিদিনের বাংলাদেশ, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪)। বলা নিষ্প্রয়োজন, আমাদের সে শিকড়ের অন্যতম একটি অংশ জাতীয় সংগীত।

সম্প্রতি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে নবগঠিত রাজনৈতিক সংগঠন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বানে রাজধানীর শাহবাগ চৌরাস্তার সমাবেশে এমন দুটি ঘটনা ঘটেছে, যা সচেতন মানুষদের কানে তপ্ত লৌহ শলাকা ঢুকিয়ে দিয়েছে। প্রথমত সেখানে একদল লোক স্লোগান দিয়েছে—‘গোলাম আযমের বাংলায় আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই, ‘নিজামীর বাংলায় আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই।’ দ্বিতীয় ঘটনাটি হলো, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সরকারি ঘোষণা আসার পর যখন জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হচ্ছিল, তখন একদল লোক তাতে বাধা দিয়ে বন্ধ করে দেয়। এ দুটি ঘটনা সচেতন ব্যক্তিদের মনে নানা প্রশ্নে জন্ম দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, অর্ধশতাব্দী পর এসে কি আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস মিথ্যে হয়ে যাবে? আমরা গণআন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করেছি। তার মানে এই নয় যে, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় সংগীত সবকিছু মুছে ফেলা হবে! ওই স্লোগানদাতা বা জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধাদানকারীরা কারা, কী তাদের পরিচয় এখনো পর্যন্ত তা উদঘাটিত হয়নি। তবে অনুমান করা যায়, চুয়ান্ন বছর পরেও যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, এরা তারা বা তাদের উত্তরসূরি। যেহেতু সমাবেশটির উদ্যোক্তা ছিল এনসিপি, তাই এর দায়ভার সংগত কারণেই তাদের এবং সে সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলোর ওপর বর্তায়। এ ক্ষেত্রে এনসিপি তাদের দায় এড়ানোর জন্য গত ১২ মে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেছে। বিবৃতিতে এনসিপি বলেছে, ‘আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, এনসিপির কোনো সদস্য সাম্প্রতিক আন্দোলনে দলীয় স্লোগান কিংবা এ জনপদের মানুষের সংগ্রাম ও ইতিহাসবিরোধী কোনো স্লোগান দেয়নি। ফলে যেসব আপত্তিকর স্লোগান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, তার দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পক্ষকেই বহন করতে হবে। এনসিপিকে এর সঙ্গে জড়ানো সম্পূর্ণ অহেতুক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। বরং এনসিপি সদস্যদের বক্তৃতা ও স্লোগানে এ জনপদের মানুষের ঐতিহাসিক সংগ্রামের অধ্যায়গুলো, তথা ১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪ সালের প্রতিফলন ছিল। আমরা আরও লক্ষ করেছি যে, আন্দোলনকারীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সময় একটি পক্ষ আপত্তি জানালেও তারা দৃঢ়তার সঙ্গে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।’ (কালবেলা, ১৩ মে, ২০২৫)। বিবৃতিতে এনসিপি নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেও জাতীয় সংগীতে বাধাদান ও আপত্তিকর স্লোগানদাতাদের পরিচয় উল্লেখ করেনি। তারা এনসিপির সদস্য না হলেও সহযোগী সন্দেহ নেই। এনসিপিকে তাই পরিষ্কার করে বলতে হবে, ভবিষ্যতে তারা ওই চক্রটির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখবে কি না। অবশ্য এটা এনসিপির জন্য এই মুহূর্তে কঠিন। কেননা, তাদের সাংগঠনিক কাঠামো পূর্ণতা না পাওয়ায় এবং কর্মী-সমর্থক তেমন না থাকায় সভা-সমাবেশে বিপুল জনসমাগম দেখানোর জন্য ওই সংগঠনটির সাপ্লাইয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে এনসিপি না করতে পারলেও সরকারকে তা করতে হবে। স্লোগানদাতা ও জাতীয় সংগীতে বাধাদানকারীদের ভিডিও ফুটেজ এখন নেট জগতে ঘুরছে। তা থেকে ওই ব্যক্তিদের শনাক্ত করা কঠিন কোনো কাজ নয়। তবে কঠিন প্রশ্ন হলো, সরকার আদৌ তা করবে কি না।

বিগত দিনে আওয়ামী লীগ যা করেছে, সেজন্য তাদের সাজার ব্যাপারে কারও দ্বিমত থাকার কথা নয়। প্রশ্ন দেখা দেয় তখন, যখন স্লোগান ওঠে ‘গোলাম আযম-নিজামীর বাংলায় আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’। নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশ গোলাম আযম এবং নিজামীরও সন্দেহ নেই। তবে সেদিনের স্লোগান কী অর্থ বহন করে, তা ব্যাখ্যা করে বলার দরকার পড়ে না। সচেতন ব্যক্তিরা লক্ষ করেছেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দলটির নেতারা মাঝেমধ্যে এমনসব উক্তি করছেন, যা সচেতন ব্যক্তিদের বিস্মিত করছে। দলটির শীর্ষ নেতা এমনও বলেছেন, একাত্তরে তাদের দল নাকি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেনি। তারা নাকি শুধু ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তান কাঠামোর মধ্যে থাকার পক্ষে ছিলেন। কী দারুণ তত্ত্ব! তাহলে একাত্তরের ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মিলে অবরুদ্ধ বাংলাদেশে গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল কারা?

আশার কথা হলো, এ ঘটনায় দেশপ্রেমিক তরুণরা জেগে উঠেছে। তারা ১২ মে সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একত্র হয়ে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে জানিয়ে দিয়েছে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ইতিহাস-ঐতিহ্যে রক্ষার সৈনিকরা হারিয়ে যায়নি। চিহ্নিত গোষ্ঠীর ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টার বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের এ রুখে দাঁড়ানো আমাদের আশান্বিত করে। দূর হয়ে যায় সব হতাশা। এটা ভেবে আশান্বিত হই, আমাদের নতুন প্রজন্ম গড্ডলিক প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেয়নি, বরং স্বাধীনতা তথা জাতীয় অস্তিত্বের প্রশ্নে তারা গর্জে উঠতে জানে। সুতরাং যারা এখনো বাংলাদেশের ইতিহাস পাল্টে ফেলার দুঃস্বপ্ন দেখছেন, তাদের বোধকরি থেমে যাওয়াই ভালো।

লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উত্তেজনার মধ্যে চীন-আফগান-পাক বৈঠকে উঠে এল সাতটি বিষয়

ইশরাককে শপথ পড়াতে বাধা নেই : হাইকোর্ট

পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে পুশইন

দুই ইসরায়েলিকে হত্যার পর ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগান দেন ওই যুবক

মানিকগঞ্জের আদালতে মমতাজ

রাজধানীতে মুষলধারে বৃষ্টি

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মকর্তা গুলিতে নিহত

সীমান্ত দিয়ে ২৪ বাংলাদেশিকে পুশইন

মেয়াদ শেষেও কাজ হয়নি অর্ধেক

সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা জোরদার 

১০

ইরানে ভয়ংকর হামলা করতে প্রস্তুত ইসরায়েল

১১

কাকরাইলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের রাতভর অবস্থান

১২

নেতানিয়াহুর কারণে ডুবতে বসছে ইসরায়েল

১৩

‘৬ হাজার টাকার চাইল পাইতাছো, ২০০ টাকা দিতে কি সমস্যা?’

১৪

কাতারের বিলাসবহুল বিমান লুফে নিলেন ট্রাম্প

১৫

ইশরাকের শপথ ইস্যুতে আদালতের আদেশ আজ

১৬

ভারতীয় গরু প্রবেশের শঙ্কায় দিন কাটছে খামারিদের

১৭

গাজার পথে হাজারো ত্রাণের ট্রাক আটকে রেখেছে ইসরায়েল

১৮

আজ কেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া 

১৯

ঈদুল আজহা : ট্রেনের ১ জুনের টিকিট বিক্রি আজ

২০
X