রাষ্ট্রীয় অন্যতম মৌলনীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতাকে সংবিধানে বহাল রাখার জোর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা।
বুধবার (২১ মে) রাজধানীর পুরানা পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় এ দাবি জানান তারা।
ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, রাষ্ট্রধর্ম সংবিধানে সংযোজনের মধ্য দিয়ে পরিচালিত ধর্মীয় বৈষম্যের আজও অবসান হয়নি। বরং সংবিধানের রাষ্ট্রীয় মৌলনীতি থেকে ধর্মনিরপেক্ষতার মূলোৎপাটনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রকে অধিকতর বৈষম্যের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে, যা দুঃখ ও দুর্ভাগ্যজনক। এর ফলে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে আরো প্রান্তিকতার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে এবং এতে তাদের প্রতিনিধিত্ব, রাজনৈতিক অধিকার ও মর্যাদা অধিকতর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে।
ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে এবং ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক প্রাণতোষ আচার্য শিবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজল দেবনাথ, রঞ্জন কর্মকার, জয়ন্তী রায়, সুনির্মল চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তাপস কুমার পাল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অতুল মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর হালদার, পদ্মাবতী দেবী, আইনবিষয়ক সম্পাদক অপূর্ব ভট্টাচার্য, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক ব্রজ গোপাল দেবনাথ, সহযুববিষয়ক সম্পাদক বলরাম বাহাদুর, শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুধাংশু গাইন, ছাত্র ঐক্যের সভাপতি সজীব সরকার প্রমুখ।
রাষ্ট্রধর্ম সংবিধানে সংযোজন প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে ১৯৮৮ সালের ২০ মে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ গঠিত হয় এবং সেদিন থেকে অদ্যাবধি সকল প্রকার ধর্মীয় বৈষম্যের অবসানে এ সংগঠন গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় নাগরিক আন্দোলন পরিচালনা করে আসছে।
মন্তব্য করুন