আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ উপজেলায় অস্থায়ী ১১টি গবাদিপশুর হাটের মধ্যে ৮টি হাটের ইজারাদার নিয়োগ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর এবার উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এসব হাটের ইজারা দেওয়া হয়, যা স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
তবে নিলামের সব চেয়ে বড় চমক ছিল কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা বিএনপি নেতাদের টেক্কা দিয়ে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতাদের মিলিনিয়াম সিটি বালুর মাঠের ইজারা লাভ। এনসিপির কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি রাব্বি আহমেদ বকুলের নামে ৭১ লাখ ২৪ হাজার টাকায় জমা দেওয়া দরটি সর্বোচ্চ দর হিসেবে বিবেচিত হয়।
বুধবার (২১ মে) বিকেল ৩টায় কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসকের কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রকাশ্য দরপত্রের মাধ্যমে এই ইজারাদার নিয়োগ দেওয়া হয়।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া জানান, ঘোষিত ১১টি হাটের মধ্যে ৮টির ইজারা চূড়ান্ত হয়েছে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকায়। বাকি ৩টি (মোল্লা বাজারস্থ খালি মাঠ, মোল্লা বাজার পশুর হাট, বাঘাশুর মাদ্রাসার পাশে অবস্থিত খালি মাঠ) হাটে কোনো সিডিউল জমা না পড়ায় জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উন্মুক্ত দরপত্র কার্যক্রম শুরু হওয়ার খবরে সকাল থেকেই উপজেলা কার্যালয়ে ভিড় করেন স্থানীয় বিএনপি ও এনসিপি নেতাকর্মীসহ উৎসুক জনতা।
চূড়ান্ত হওয়া হাটগুলোর ইজারাপ্রাপ্তরা হলেন
খাড়াকান্দি বাজার সংলগ্ন বালুর মাঠ – আবু দাউদ সিকদার (২ লাখ টাকা), নতুন সোনাকান্দা পশু হাট - শাহাবুদ্দিন মেম্বার (৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা), মিলেনিয়াম সিটি সংলগ্ন বালুর মাঠ - রাব্বি আহমেদ বকুল (৭১ লাখ ২৪ হাজার টাকা), রাজাবাড়ি সংলগ্ন পতিত জমি – জাহাঙ্গীর কবির (৩০ হাজার টাকা), রসুলপুর বালুর মাঠ – ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম (৪ লাখ ২০ হাজার টাকা), হাসনাবাদ বালু মাঠ – সেলিম মেম্বার (৬১ লাখ টাকা), আগানগর খেলার মাঠ – আরসাদ রহমান সপু (১ কোটি ৭০ লাখ টাকা), জিনজিরা পশু হাট – মোসাদ্দেক আলী বাবু (১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা)।
হাটের ইজারার বিষয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমরান হোসেন জানান, নতুন সংগঠন হিসেবে এনসিপি মানুষের জন্য কাজ করতে চায়। এ ইজারা কাজ করার একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে। হাটে আগত বেপারী ও ক্রেতাদের জন্য ভাল সেবা দেওয়ার মাধ্যমে আমরা নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করব।
অপরদিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ আলম স্বাধীন ৯ লাখ টাকা বেশি ডেকেও ইজারার শর্ত পূরণ না হওয়ায় তার আবেদনটি হয়নি। এ নিয়ে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও পড়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করার কথা জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া বলেন , হাটগুলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ভেটেরিনারি টিম ও মনিটরিং কমিটি কাজ করবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণ ও যানজট নিয়ন্ত্রণে থাকবে কঠোর নজরদারি।
মন্তব্য করুন