বর্তমানকালের প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে যে আয়ত্ত করতে পেরেছে, সে মানুষের মধ্যে নিজের প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধনকুবের ইলন মাস্ক, দুজনই এ বিষয়ে অবগত আছেন। সম্প্রতি এ দুজনের বন্ধুত্বে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। তার দৃষ্টান্ত প্রথম দেখা গেছে ইলন মাস্কের টুইটার (বর্তমানে এক্স) অ্যাকাউন্টে। ‘রিয়েল হাউসওয়াইভস’ নামে আমেরিকার একটা বিখ্যাত রিয়ালিটি শো আছে, যেখানে ধনী চরিত্রগুলোকে সার্বক্ষণিক ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে থাকতে দেখা যায়, তারা একে অন্যের নামে কটূক্তি আর নিন্দা করতে থাকে। বর্তমানে ট্রাম্প আর মাস্কের সম্পর্কটা যেন এ রিয়ালিটি টেলিভিশন শোয়ের একটা পর্বে রূপ নিয়েছে।
গত মঙ্গলবার (৩ জুন) মাস্ক টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি দুঃখিত, কিন্তু আমি আর সহ্য করতে পারছি না।’ খুব কৌশলে তিনি তার টুইটগুলোতে তরুণদের ভাষা ব্যবহার করে থাকেন। তার শব্দচয়ন দেখলে মনে হয় তিনি যেন সাধারণ মানুষদেরই একজন। ট্রাম্পের সমর্থক রাজনীতিবিদরা এবং যুক্তরাষ্ট্রের আইন বিভাগের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি সভার রিপাবলিকান প্রতিনিধিরা মিলে সম্প্রতি একটি বিল রচনা করেন, যাকে ট্রাম্প নাম দিয়েছেন—‘একটি অত্যন্ত বড় ও সুন্দর বিল’। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে গত মে মাসেই এ বিল পাস হয় এবং বর্তমানে এটি কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে পাসের অপেক্ষায় আছে। এ বিল আইনে পরিণত হলে অত্যন্ত উচ্চমাত্রায় কর দিতে হবে মাস্কের মতো ব্যবসায়ীদের।
নিজের আর্থিক ক্ষতি হবে বিধায় এ বিলকে জঘন্য এবং কদর্য বলে দাবি করেছেন ইলন মাস্ক। বুধবারও (৪ জুন) সারা দিন তিনি টুইটারে ট্রাম্প এবং তার বিলের সমালোচনা করেন। এর পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রাম্প প্রথম পাল্টা আক্রমণ করেন। তিনি মাস্ককে ‘পাগল’ বলে টুইট করেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ দুজন প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে যেন যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। হলিউড তারকাদের থেকে শুরু করে কোটিপতি ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তাতে অংশ নেয়। মাস্কের সাবেক প্রেমিকা অ্যাসলি সেন্ট ক্লেয়ার ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে টুইট করেন যে, মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে ছিন্ন করতে হবে, সেই বিষয়ে পরামর্শের প্রয়োজন হলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে।
ট্রাম্প আর মাস্কের এ দ্বন্দ্বটা শুধু ব্যক্তি পর্যায়ের নয়, এটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সর্বকালের সবচেয়ে প্রভাবশালী দুজন ব্যক্তির মধ্যকার সংঘর্ষ। জনসাধারণের মধ্যে দুজনের প্রভাবশালী হয়ে ওঠার সূত্রপাত টুইটারেই ঘটে। সেখান থেকে পরবর্তীকালে টুইটারের নতুন রূপ ‘এক্স’-এ সক্রিয় হয়ে ওঠেন ইলন মাস্ক এবং টুইটারের বিকল্প ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ সক্রিয় হয়ে ওঠেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাদের সম্পর্ক যেমন শুরু হয়েছে একজন অন্যজনের সম্পর্কে টুইট করার মাধ্যমে, একইভাবে এ সম্পর্কের সমাপ্তিও ঘটছে একজন অন্যজনের সম্পর্কে টুইট করার মাধ্যমে। এমনটাই হওয়ার ছিল, কারণ তাদের সম্পর্কটা মূলত নিজ নিজ স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তাদের এ বিবাদটা আসলে আমাদের সময়ের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির একটা প্রতিচ্ছবি। এটা প্রকাশ করে কীভাবে বর্তমান যুগে ডিজিটাল মাধ্যমে ক্ষমতার লড়াইগুলো পরিচালিত হয়। প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাদের অনুগামীদের ভার্চুয়াল সমর্থনকে পুঁজি করে, একাধিক প্ল্যাটফর্মে কর্তৃত্ব কায়েমের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয় এবং প্রতিপক্ষকে উপেক্ষা করে চূড়ান্ত শ্রেষ্ঠত্বের এক অদ্ভুত প্রতীক স্থাপন করতে চায়।
রাজনৈতিক ও খ্যাতিমান ব্যক্তিরা সম্প্রতি একটা বিষয় উপলব্ধি করতে শুরু করেছেন, যা ট্রাম্প এবং মাস্কের মতো অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্বরা অনেক আগেই বুঝে গেছেন। সেটা হলো, এ প্রতিযোগিতামূলক সময়ে গৎবাঁধা ভাষা ও কৌশল অবলম্বন করে খ্যাতির শিখরে টিকে থাকা দায়। সাধারণ মানুষের চর্চার মধ্যে থাকতে হলে ভিন্ন কিছু করতে হবে। সেই ভিন্ন কিছু হতে পারে প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিদ্রূপ করা, তার নীতি ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ে কটূক্তি করা, তার কাজের সমালোচনা না করে তাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা, তার প্রতি তার ভক্ত ও সমর্থকদের বিশ্বাস ভেঙে দেওয়া ইত্যাদি। ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারের মাধ্যমেই তার রাজনৈতিক পরিচয় গড়ে তুলেছেন। প্রতিনিয়ত নিজের প্রশংসা করা এবং অন্য রাজনীতিবিদদের কটাক্ষ করে টুইট করা তার পুরোনো কৌশল। অন্যদিকে ব্যবসায়ী হয়েও ইলন মাস্ক এমন সব টুইট করতেন, যা সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং মানুষকে তার মতামত নিয়ে আলোচনা করতে বাধ্য করে। যেমন তিনি একবার লিখেছিলেন, ‘কবিরা আইনের ঊর্ধ্বে।’ নিজেকে দার্শনিক হিসেবে জাহির করার একটা প্রয়াস তিনি চালিয়েছিলেন। ২০২১-এ তিনি টুইট করেছিলেন, ‘চিন্তা করেছি চাকরি ছেড়ে দিয়ে ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে যাব।’ এসব উক্তি তাকে তরুণদের মধ্যে খ্যাতি অর্জন করতে সাহায্য করেছে।
মাস্ক আর ট্রাম্পের বন্ধুত্বের সূচনা হয়েছে টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্মেই। একটা সময় নব্য উদারতাবাদী ছিলেন ইলন মাস্ক। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনকে অনুমোদন দিয়েছিলেন তিনি। ২০২০ সালেও ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী জো বাউডেনকে সমর্থন দেন। কিন্তু এরপর তাকে ধীরে ধীরে ডানদিকে ঝুঁকতে দেখা যায়। ২০২১ সালে বিভিন্ন কট্টরপন্থি মতের জন্য ট্রাম্পকে টুইটার থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। ২০২২ সালে মাস্ক ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার দিয়ে টুইটার কিনে নেন। তিনি বলেন, এটা তিনি ব্যবসায়িক লাভের জন্য নয়, বরং বাকস্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য করেছেন। ট্রাম্পের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া উচিত কি না, সেই প্রশ্ন করে মাস্ক টুইটারে একটি জরিপ করেন, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ট্রাম্পের পক্ষে অবস্থান নেয়। এরপর ট্রাম্পের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পাশাপাশি মাস্ক আরও অসংখ্য ব্যবহারকারীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। তার মতে, মানুষ যা বলতে চায় তাকে সেটা বলতে দেওয়া উচিত। কিন্তু বস্তুত টুইটার এ নিষেধাজ্ঞাগুলো জারি করেছিল কিছু ব্যবহারকারীর মিথ্যা প্রচারণা এবং উসকানিমূলক বক্তব্যের জন্য।
কিন্তু মাস্ক যেমনটা আশা করছিলেন, ঠিক তেমনটা ঘটেনি। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরবর্তী ৯ মাস ট্রাম্পকে টুইটারে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। এর মূল কারণ হলো, এ সময়ের ভেতর ট্রাম্প টুইটারের বিকল্প হিসেবে ট্রুথ সোশ্যালকে দাঁড় করিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি কী বলতে পারবেন আর কী বলতে পারবেন না, সেই বিষয়ের ওপর অন্য কারও নিয়ন্ত্রণ থাকুক—এটা তিনি চাচ্ছিলেন না। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে মানে যে ভবিষ্যতে আবার আরোপ করা হবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা তার কাছে ছিল না। এ ছাড়া ইলন মাস্কের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে চাচ্ছিলেন না তিনি। যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, টুইটারে আবার সক্রিয় হবেন কি না, তখন তিনি বলেন যে, এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। তার বিশ্বাস ছিল টুইটার তার জনপ্রিয়তা বাড়ায়নি, বরং তার জন্যই টুইটারের ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর নীতিমালাকে অত্যন্ত বামপন্থি ও বাকস্বাধীনতার বিরোধী বলে মনে করেন মাস্ক। তিনি আশা করছিলেন, প্রতিষ্ঠিত নীতিমালাগুলোর বিরুদ্ধে ট্রাম্পও তার সঙ্গে অবস্থান নেবেন। কিন্তু এমনটা হতে দেখা যায়নি। ২০২৩-এর জুলাই মাসে টুইটারের নাম পরিবর্তন করে মাস্ক এটার নাম রাখেন ‘এক্স’। সে বছরের আগস্ট মাসে আমেরিকার জর্জিয়া রাজ্যে নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করার দায়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়। নিজের পক্ষে সমর্থন জোগাতে ট্রাম্প তখন আবারও টুইটার ব্যবহার করতে শুরু করেন।
২০২৪ সালের ১৩ জুলাই ইলন মাস্ক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দেন। এ সময় তিনি পুরোপুরি ডানপন্থি হয়ে যান এবং কট্টরপন্থি কিছু মতবাদ ও ব্যক্তিদের সমর্থন করতে শুরু করেন। কভিড-১৯ প্যানডেমিক ও করোনাভাইরাসের প্রভাবকে তিনি অস্বীকার করতে শুরু করেন এবং আমেরিকান একটি চরমপন্থি গোষ্ঠী ‘কিউএনএ’কে সমর্থন দেন। তার বৈদ্যুতিক গাড়ির কোম্পানি টেসলার শেয়ারে ধস নামলে তিনি পুরোপুরি পরিবেশ সংরক্ষণের বিরুদ্ধে চলে যান। তার প্রগতিশীল বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।
ট্রাম্পকে অনুমোদন দেওয়ার এক মাস পর ট্রাম্প টুইটারে প্রথম নির্বাচনী প্রচারণার ভিডিও দেন। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় মাস্ক প্রায় ৩০ কোটি ডলার খরচ করার পর ট্রাম্প আবারও নিয়মিত টুইটার ব্যবহার করতে শুরু করেন। কিন্তু গত সপ্তাহেই ট্রাম্প ইস্পাত আমদানির ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন এবং টুইটারে সেই সম্পর্কে নিজের মতপ্রকাশ করেন। এর আগে ট্রাম্পের ‘একটি অত্যন্ত বড় ও সুন্দর বিল’-এর জন্য এরই মধ্যে ক্ষতির শিকার হচ্ছিল টেসলা কোম্পানি। এখন এই নতুন শুল্ক ধার্য করায় গাড়ির সরঞ্জামাদি ক্রয় করতে উচ্চমূল্য দিতে হবে টেসলাকে। এজন্য ক্ষিপ্ত হয়ে যান ইলন মাস্ক। তখনই দুজনের মধ্যে শুরু হয় এক ঐতিহাসিক বিবাদের। মাস্ক দাবি করেন, অভিশংসনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ট্রাম্পকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। অন্যদিকে মাস্কের সরকারি চুক্তিগুলো বাতিল করে দেওয়ার হুমকি দেন ট্রাম্প। মনে হচ্ছিল যেন চিরকালের জন্যই দুজনের সম্পর্ক ছিন্ন হতে চলেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির এ সংঘর্ষে মনে হচ্ছে যেন ডোনাল্ড ট্রাম্পেরই জয় হয়েছে। মাস্কের ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ এক সপ্তাহের মধ্যেই ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার কমে গেছে। অন্যদিকে টেসলা কোম্পানির মোট ১৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এ পরিণাম দেখে হার স্বীকার করে নিয়েছেন মাস্ক। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে যত লেখালেখি করেছিলেন, তা সব সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। ‘ড্রাগন’ নামের একটি মহাকাশযান নির্মাণের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। বিবাদ চলাকালে সেই কাজ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিলেন। সেটাও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অন্যদিকে ট্রাম্প কোনো বক্তব্য প্রত্যাহার করেননি। বরং ইলন মাস্ক তাকে লাল রঙের যে টেসলা গাড়িটা উপহার দিয়েছিলেন, সেটা বিক্রি করে দিচ্ছেন তিনি। আর টুইটারে আবারও নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন ট্রাম্প।
শুক্রবার (৬ জুন) ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে সক্রিয় হতে দেখা যায় তাকে। সেখানে মাস্কের প্রতিদ্বন্দ্বী ও সমালোচক, বাণিজ্য সচিব স্কট বেসেন্টের গুণগান গাইতে দেখা গেছে তাকে। গত রোববার ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের গভর্নর গ্যাভিন নিউসামকে কটাক্ষ করে ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন ট্রাম্প। টুইটারে সেই লেখার সমর্থন জানান ইলন মাস্ক। এটা যেন তার দোষ স্বীকার করে নেওয়ার একটা কৌশল। ভবিষ্যতে এ দুই ব্যক্তির সম্পর্ক কী হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কিন্তু এ কথা নিশ্চিত যে, তাদের সম্পর্ক কোনদিকে মোড় নেয়, তার ওপর আমেরিকার রাজনীতি ও অর্থনীতির পাশাপাশি অনেক আমেরিকান কর্মজীবীর ভাগ্য নির্ভর করছে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় এমন দুজন মানুষের সম্পর্কের ওপর একটা গোটা দেশ এবং বিশ্বের অনেক মানুষের ভাগ্যই নির্ভর করে।
লেখক: আমেরিকান সাংবাদিক, সমালোচক এবং লেখক
যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা পলিটিকোর মতামত বিভাগ থেকে নিবন্ধটি অনুবাদ করেছেন অ্যালেক্স শেখ
মন্তব্য করুন