বেলিন ফার্নান্দেজ
প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৫ জুন ২০২৫, ০৮:২৬ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ইরানে হামলায় প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাম্পের নীতি

ইরানে হামলায় প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাম্পের নীতি

গত শুক্রবার সকালবেলা ইরানের ওপর ইসরায়েল যেই আক্রমণ চালিয়েছে, সেই আক্রমণে ইরানের শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি প্রাণ হারিয়েছেন দেশটির অনেক বেসামরিক ব্যক্তি ও সাধারণ জনগণ। এ কারণে ইসরায়েলের ওপর পাল্টা আক্রমণ চালাতে বাধ্য হয়েছে ইরান সরকার। মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থা এরই মধ্যে যথেষ্ট অস্থিতিশীল ছিল, বিশেষ করে গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েল পরিচালিত নিরবচ্ছিন্ন গণহত্যার কারণে। এখন ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের এ সংঘর্ষ নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক অস্থিরতাকে বহুগুণ বৃদ্ধি করল।

অশান্তিকর পরিস্থিতি বজায় রাখা এবং গণহত্যা চলমান রাখার মাধ্যমে ইসরায়েল তার অস্তিত্ব বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু হাস্যকর ব্যাপার হলো, যাদের সঙ্গে এ রাষ্ট্রটি আক্রমণাত্মক আচরণ করে, তাদের আগে গোটা বিশ্বের কাছে আক্রমণকারী হিসেবে চিহ্নিত করে এবং নিজেদের অসহায় পক্ষ হিসেবে উপস্থাপনের কৌশল অবলম্বন করে। এই একই কৌশল তারা প্রয়োগ করেছে ইরানের ক্ষেত্রেও। ইরানের ওপর আক্রমণ চালানোর আগে বহুকাল ধরেই তারা ইরানকে আগ্রাসী শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করে আসছে। ইরানের কাছে আদতে পারমাণবিক অস্ত্র আছে কি না, তা প্রমাণ না করেই তারা দাবি করেছে যে ইরানের এই পারমাণবিক অস্ত্র সরাসরি ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইরানের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে বলে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং ইসরায়েলের ওপর পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কোনো ধরনের হুমকি ইরান দেয়নি। তার পরও নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ ঘোষণা করেছেন।

দুশ্চিন্তার একটা কারণ হলো এই যে, ইরানের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র না থাকলেও ইসরায়েলের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে। আর ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে পশ্চিমা বিশ্ব যেভাবে সমর্থন দেয়, তাতে এটা মনে করা দোষের কিছু নয় যে, মধ্যপ্রাচ্যের অন্য কোনো দেশের চরম আগ্রাসী হওয়ার সুযোগ না থাকলেও ইসরায়েলের সেই সুযোগ আছে। দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক বিরোধিতা এবং নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগের ঘূর্ণিপাকে কোণঠাসা নেতানিয়াহু পরিত্রাণের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্বকে। প্রতিরক্ষার নামে ইসরায়েলকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংঘর্ষে জড়িয়ে রাখলে দেশের ভেতরে জনগণ তার ওপর গদি ছাড়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করবে না বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক এ হামলায় কোনো সক্রিয় ভূমিকা পালন করার কথা অস্বীকার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অথচ আক্রমণের ঠিক এক দিন আগেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, ইরানের ওপর যে কোনো সময় ইসরায়েলের হামলা চালানোটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে ‘গাজায় ইসরায়েলের কাজ সমাপ্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু সরবরাহ করছেন’ বলে বড়াই করে বক্তৃতা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সম্প্রতি তিনি নেতানিয়াহুর অসন্তোষের কারণ হয়ে ওঠেন যখন ট্রাম্প ইসরায়েলকে যুদ্ধের বদলে কূটনৈতিক পথ অবলম্বন করে ইরানের সঙ্গে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান।

ইরানের ওপর তথাকথিত ‘প্রতিরোধমূলক হামলা’ চালিয়ে ইসরায়েল কার্যত যে কোনো ধরনের শান্তিপূর্ণ সমাধানের সম্ভাবনাকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। ইরানকে বেসামরিক পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ কর্মসূচি চালানোর অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে যে বহুপক্ষীয় আলোচনার সুযোগ তৈরি হয়েছিল, সেই সুযোগও নষ্ট করে দিয়েছে তারা। এরই মধ্যে বুধবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিশ্চিত করেন যে, মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি অঞ্চলে অবস্থানরত মার্কিন কূটনৈতিক ও সামরিক কর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তার ভাষায়, ‘এটি বিপজ্জনক এলাকা হয়ে উঠতে পারে। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় তার ওপর ভিত্তি করে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’ এর থেকে বোঝা যায় যে, নিকট ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ইরানের ওপর চালানো এ হামলার ঘটনায় হোয়াইট হাউস খুব বেশি বিচলিত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। আক্রমণের এক দিন পর রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেও উপস্থিত ছিলেন। তাও সেই জরুরি বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল সকাল ১১টায়, যেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা স্বস্তিতে সকালের নাশতা সেরে আলোচনায় অংশ নিতে পারেন। এসব কর্মকাণ্ড দেখে বোঝা যায় যে, ইরানের দুর্দশা নিয়ে মোটেই তাড়াহুড়ো করছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। বরং আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ‘ইরানের ওপর চালানো হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েনকৃত মার্কিন বাহিনীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় আমাদের অগ্রাধিকার থাকবে। আমি স্পষ্ট করে সাবধান করে দিতে চাই, ইরান যেন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো স্বার্থকে লক্ষ্য করে আক্রমণ না চালায় এবং আমেরিকান কর্মীদের যেন কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না করে।’

অথচ ইরানের স্বার্থ ও কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানোর সময় যুক্তরাষ্ট্র কোনো সংকোচ বোধ করেনি। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর-এর কুদস্ ফোর্সের প্রধান কাসেম সুলায়মানির প্রাণ যায়। যুক্তরাষ্ট্রের এমন দ্বিমুখী নীতি তাদের সাম্রাজ্যবাদী আকাঙ্ক্ষার দৃষ্টান্ত হিসেবে রয়ে গেছে। ট্রাম্পের প্রথম দফার শাসনামলে সুলায়মানির হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হলেও যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে সেজন্য কোনো খেসারত দিতে হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে বৈদেশিক নীতির ব্যত্যয় ঘটানো এবং নিজস্ব স্বার্থ উদ্ধারে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা কোনো বিরল ঘটনা নয়। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের উদারপন্থি গণমাধ্যম, যারা আন্তর্জাতিক আইন মান্য করার ব্যাপারে সবাইকে উৎসাহিত করে থাকে, তাদের একাংশ কাসেম সুলায়মানির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যথেষ্ট উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিল। যেমন—‘নিউইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকার বৈদেশিক নীতি বিষয়ক কলামিস্ট এ ঘটনার পর ইতিবাচক সাড়া দিয়ে লিখেছিলেন যে, ‘যা হয়েছে ভালো হয়েছে। এই কাজের জন্য একদিন তেহরানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নামে হয়তো কোনো সড়কের নামকরণ করা হবে।’

এমনটা অবশ্য ঘটেনি। ট্রাম্পের প্রতি তেহরানবাসীর মনোভাব এখনো বৈরীই রয়ে গেছে। তবে ট্রাম্প যদি তার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনী প্রচারণার মূলনীতি ‘আমেরিকা ফার্স্ট’-এ অটল থাকতেন, তাহলে হয়তো তার প্রতি তেহরানের বিদ্বেষের মাত্রা কিছুটা লোপ পেত। আমেরিকা ফার্স্ট নীতির নাম থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিকদের স্বার্থ ও প্রয়োজনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়াই এই নীতির মূল উদ্দেশ্য; অন্য দেশের সাধারণ জনগণের ওপর বোমাবর্ষণ করা নয়। কিন্তু ইরানের ওপর হামলার ঘটনায় ট্রাম্পের নীরব সমর্থন এই নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। মনে হয়েছে, যেন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নয়; বরং ‘ইসরায়েল ফার্স্ট’ নীতি বাস্তবায়ন করতে উদ্যত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে নিজস্ব স্বার্থের ঊর্ধ্বে ইসরায়েলের নীতিগত উদ্দেশ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। যুগে যুগে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় রাজনৈতিক দলের প্রশাসন ইসরায়েলের পেছনে কোটি কোটি ডলার অর্থ খরচ করে আসছে, যার প্রায় পুরোটাই গেছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা অবকাঠামো তৈরিতে এবং ইসরায়েলকে প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহ করতে। অথচ এই বিপুল পরিমাণ অর্থ যদি স্বল্পমূল্যের আবাসন প্রকল্প নির্মাণ এবং সুলভ স্বাস্থ্যসেবার মতো জরুরি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে বিনিয়োগ করা হতো, তবে সাধারণ মার্কিন নাগরিক আরও সমৃদ্ধ ও সুরক্ষিত জীবনযাপন করতে সক্ষম হতো।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে এমন অভিযোগ উঠছে যে, ওয়াশিংটন ডিসিতে আমেরিকান নীতি নির্ধারণের ওপর ইসরায়েলের অনেক বড় প্রভাব এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড দেখে এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ গুজব বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু দিনশেষে সত্যিটা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাদী প্রধান প্রধান খাত ইসরায়েলের আঞ্চলিক নৃশংসতার সুবাদে বিপুল পরিমাণ মুনাফা লুটে নিচ্ছে। যেমন—যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রশিল্প পৃথিবীর মধ্যে বৃহত্তম। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তি ইরানের ওপর ইসরায়েলের আক্রমণের প্রতি অসমর্থন জানাবে না। কারণ এই আক্রমণ তাদের জন্য উন্মোচন করে দিচ্ছে ব্যবসার নতুন দ্বার।

হামলার ঘটনার পর যুক্তরাজ্যের সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে যে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘ইসরায়েল ও তার মিত্র শক্তি যুক্তরাষ্ট্রকে এই হামলার জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেছেন, নিশ্চয়ই এ অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে তেল আবিবকে সম্পূর্ণ সহায়তা দিয়েছে ওয়াশিংটন ডিসি। তবে যে মূল্যই তাদের দিতে হোক না কেন, এর ভেতর থেকে যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত ঠিকই ফায়দা আদায় করে নেবে বলে ধরে নেওয়া যায়। কারণ মধ্যপ্রাচ্যের এই সংঘর্ষগুলোতে দিনশেষে আঞ্চলিক জনগোষ্ঠীই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আর পরাশক্তিগুলো নিজেদের লভ্যাংশটা যথাযথই বুঝে নেয়।

লেখক: আমেরিকান সাংবাদিক, কলামিস্ট ও লেখক। নিবন্ধটি আলজাজিরার মতামত বিভাগ থেকে অনুবাদ করেছেন অ্যালেক্স শেখ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পদত্যাগ করলেন ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান

ঐক্য ও সহিষ্ণুতা প্রদর্শনের বিকল্প নেই : রাষ্ট্রদূত মুশফিক

জেডআরএফের উদ্যোগে ডেঙ্গু-করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক বিতরণ 

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুঁজি করে আ.লীগ ফ্যাসিস্ট রূপ নিয়েছে : মির্যা গালিব

পাকিস্তানি এয়ারলাইন্সের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলল যুক্তরাজ্য

‘ভেঙে ফেলা বাড়িটি সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের নয়’

কেশবপুরে ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

জুলাই শহীদদের প্রতি লিটনের জয় উৎসর্গ

এবার গোপালগঞ্জের সব থানা ও গ্রামে যাবেন নাহিদরা

‘মুরগির খোপে’ বসবাস করা শতবর্ষী লালবড়ু আর নেই

১০

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্কুলে শিশুর মৃত্যু!

১১

এনসিপির কর্মসূচিতে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি এনডিপির

১২

মেসির সঙ্গে খেলতে মায়ামি আসছেন ডি পল

১৩

যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান

১৪

নেইমারের জাদুতে সান্তোসের মুক্তি

১৫

জুলাই উৎসব পালনের জন্য ২৫০০ টাকা পেল প্রাথমিক স্কুল 

১৬

ভিনিকে বিক্রি করতে পারে রিয়াল!

১৭

গোপালগঞ্জে আটক ১৪

১৮

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা : খালাসপ্রাপ্ত আসামিদের রায়ের বিরুদ্ধে শুনানি চলছে

১৯

ফরিদপুরের পথে এনসিপির নেতারা

২০
X