গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে নিহত বেড়ে চারজনে পৌঁছেছে। এছাড়া সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তিরা হলেন - গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫), কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮), টুঙ্গীপাড়ার সোহেল মোল্লা (৪১) ও সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন তালুকদার (২৪)।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকালে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, বিকালে তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে ৩ জন নিহত ও ১ জন আহত ছিলেন।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আহত অপরজনের মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, এ ঘটনায় ইমন নামের আরও এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
এদিকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস জানিয়েছেন, আহত আরও ৯ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের অস্ত্রোপচার চলছে।
বুধবার (১৬জুলাই) জেলা শহরে পুলিশ সেনাবাহিনী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে এনসিপির সমাবেশ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় সড়ক অবরোধ করে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় পুলিশ বাধা দিতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়তে দেখা গেছে।
এ সময় নেতাকর্মীদের গাড়িবহর লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে এনসিপি নেতাদের নিয়ে পিছু হটতে দেখা গেছে।
১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পদযাত্রা করছে দলটি।
মন্তব্য করুন