রিয়াল মাদ্রিদে ভবিষ্যৎটা আর খুব একটা উজ্জ্বল দেখাচ্ছে না ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের জন্য। ক্লাবের সঙ্গে তার সম্পর্কের টানাপোড়েন এখন এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যেখানে তার চুক্তি নবায়ন তো দূরের কথা; বরং ক্লাব কর্তারা এখন ভাবছেন তাকে বিক্রির পথেই হাঁটবেন কি না।
স্প্যানিশ গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভিনিসিয়ুস তার নতুন চুক্তিতে যে আর্থিক শর্ত জুড়ে দিয়েছেন, তা মেনে নিতে প্রস্তুত নয় ক্লাব। স্কোয়াডে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক চাওয়ার বিষয়টি রীতিমতো ধাক্কা দিয়েছে রিয়াল ম্যানেজমেন্টকে। প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ যেখানে বাজেট নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশলে বিশ্বাসী, সেখানে ব্রাজিলিয়ান তারকার এমন দাবি অনেকটাই ‘বেপরোয়া’ মনে করছেন অনেকে।
চলতি মৌসুমে ভিনিসিয়ুসের পারফরম্যান্সও আশানুরূপ নয়। কয়েকটি ম্যাচে তাকে বেঞ্চেই শুরু করতে হয়েছে। তার ওপর নতুন কোচ জাবি আলোনসো নাকি পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে তাকে দলে রাখার ব্যাপারে সন্দিহান।
তার চেয়েও বড় বিষয়, ক্লাবের নতুন ‘গ্যালাকটিকো’ কিলিয়ান এমবাপ্পের আগমনে দল গঠনের যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেখানে নিজের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নন ভিনিসিয়ুস। তিনি মনে করছেন, এমবাপ্পের উপস্থিতিতে তিনি হয়ে পড়বেন দ্বিতীয় সারির তারকা।
রিয়াল বোর্ড মনে করছে, ভিনির এই অটল অবস্থান ও দাবি আদায়ের পদ্ধতি একটা চাপ সৃষ্টি করার কৌশল। কিন্তু ক্লাব বরাবরই এমন আচরণ পছন্দ করে না। ফলে বিক্রির সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভিনির দলত্যাগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনা তুঙ্গে। অনেক সমর্থক মনে করছেন, যদি একজন অসন্তুষ্ট খেলোয়াড়ের জন্য বিশাল অঙ্কের বেতন দিতে হয়, তাহলে তাকে বিক্রি করে মাল্টি-মিলিয়ন ডলার ট্রান্সফার ফি আদায় করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
রিয়াল মাদ্রিদের সামনে এখন দুটি পথ—ভিনিসিয়ুসকে বোঝানো, অথবা তাকে বিক্রি করে নতুন পরিকল্পনার পথে হাঁটা। এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় পথটাই হয়তো বেশি যুক্তিসংগত বলে বিবেচনা করছে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর কর্তারাই।
ভিনির এই দ্বন্দ্বের পরিণতি কোথায় গিয়ে থামে, সেটাই এখন অপেক্ষার বিষয়। মাদ্রিদে গল্প শুরু হয়েছিল ভালোবাসা দিয়ে, শেষটা না হয়ে পড়ে বিচ্ছেদে?
মন্তব্য করুন