পটুয়াখালীতে ‘মুরগির খোপে বসবাস’ করা সেই শতবর্ষী বৃদ্ধা লালবড়ু বেগম আর নেই। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
লালবড়ু বেগম পটুয়াখালী সদর উপজেলার দক্ষিণ লাউকাঠি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মুরগির খোপে বসবাস করছিলেন, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনা ও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লালবড়ু বেগমের স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি দুই ছেলেকে অনেক কষ্ট করে বড় করেছেন। ছেলেরা নিজ নিজ সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় তিনি একাই থাকতেন এবং দিনের বেলা মুরগির খোপে থাকতেন। তার এই মানবেতর জীবনযাপন নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে অনেকেই তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন।
নাতজামাই মো. আরিফ বলেন, আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী দাদিকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। তিনি খুব কষ্ট করে বেঁচে ছিলেন। দারিদ্র্যের কারণে ভালো চিকিৎসা দিতে পারিনি। তার অবস্থার অবনতি হলে আমরা চেষ্টা করেছিলাম হাসপাতালে নেওয়ার, কিন্তু তার আগেই তিনি চলে গেলেন।
বৌমা রিনা বেগম বলেন, তিনি একদমই চলাফেরা করতে পারতেন না। ঘরে উঠতে পারতেন না। খাওয়ানো, ওষুধ দেওয়া, কাপড় ধোয়া সব করেছি। আমরা গরিব, আমাদের নিজের মাথা গোঁজার ঠাঁইটাও নেই। তারপরও যতটুকু পারি সেবা করেছি।
বুধবার মাগরিবের পর পটুয়াখালী সদর বড় মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে তাকে পটুয়াখালী মুসলিম কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মন্তব্য করুন