নয় বছরের এক ছাত্রী হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। ডাক্তারদের প্রাথমিক ধারণা, হৃদরোগের কারণেই এই মৃত্যু হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী সোমবার স্কুলে আসে সুস্থ অবস্থায়। সকালে প্রার্থনায় অংশ নেয়, অ্যাসেম্বলিতেও ছিল। কিন্তু দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় টিফিন খোলার পরই হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যায়।
স্কুল শিক্ষকরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যান।
চিকিৎসক জানান, মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় আনা হয়। তার নাড়ি চলছিল না, রক্তচাপ ছিল না, শ্বাস-প্রশ্বাসও বন্ধ ছিল। সিপিআর, অক্সিজেন ও জরুরি ইনজেকশন দিয়ে তারা চেষ্টা চালান।
কিছুটা সাড়া পেয়ে দ্রুত তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়; কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, মেয়েটি কয়েক দিন ধরে সর্দি-কাশিতে ভুগছিল, তাই স্কুলে আসেনি। তবে সোমবার সে একেবারে সুস্থই ছিল বলে মনে হয়েছে।
ডাক্তারদের মতে, শিশুদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক খুবই বিরল। হতে পারে জন্মগত কোনো হৃদরোগ ছিল, যা আগে ধরা পড়েনি। অথবা শরীরে কোনো বৈদ্যুতিক সংকেতজনিত সমস্যাও হতে পারে।
চিকিৎসক জানান, প্রায় দেড় ঘণ্টা তারা মেয়েটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভব নয়, তবে উপসর্গগুলো দেখে মনে হয়েছে এটি হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যাই ছিল।
মেয়েটিকে স্কুলে তোলা শেষ ভিডিওটিতে দেখা গেছে, সে হাসিমুখে নিজের পরিচয় দিচ্ছে।
ঘটনাটি রাজস্থানের সিকার জেলার ডান্তা শহরের একটি স্কুলে ঘটেছে। মেয়েটির নাম প্রচি কুমাওত। প্রচির পরিবার তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছে। তারা ময়নাতদন্ত করাতে রাজি হননি।
পরিবার জানিয়েছে, মেয়েটির কোনো বড় শারীরিক সমস্যা ছিল না। এই আকস্মিক মৃত্যুতে তারা গভীর শোকাহত।
তথ্যসূত্র : এনডিটিভি
মন্তব্য করুন