বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রে মনোরোগ চিকিৎসায় ব্যয় এবং মানসিক রোগসংক্রান্ত ওষুধপত্র বিক্রির হার ছিল বহুগুণ বেশি। তারপরও দেশটির নাগরিকদের মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক সামগ্রিক চিত্রে ক্রমেই অবনতি দেখা যাচ্ছে। গবেষণা বলছে যে, আমেরিকায় বিষণ্নতা, উৎকণ্ঠা, আত্মহত্যা, মাদকাসক্তির কারণে মৃত্যুহার, মানসিক অসুস্থতার কারণে বিকলাঙ্গতা এবং একাকিত্ব—সবকিছুই দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানসিক রোগ নিরাময়ের জন্য নতুন ওষুধ আবিষ্কার কিংবা মানসিক রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেলেও তাদের সার্বিক সংখ্যাটা একদম কমেনি, বরং সাম্প্রতিককালে অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকার চিকিৎসা ও মনোরোগবিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর তাদের বিপুল রাজনৈতিক প্রভাব খাটালেও চিকিৎসা পদ্ধতির আধুনিকায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। উন্নত বিশ্বের দেশ হিসেবে আমেরিকায় দরিদ্রতা, শৈশবকালীন মানসিক আঘাত এবং কারাবাসের দরুন উদ্ভূত মানসিক অসুস্থতার মূল সামাজিক কারণগুলোর মোকাবিলায় চিকিৎসাবহির্ভূত সহায়তা ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ছিল অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু তার বদলে ওষুধ বিক্রির লাভজনক ব্যবসার পেছনে অন্ধভাবে ছুটেছে তারা। স্বাস্থ্য খাতের এ ব্যর্থতা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রের জন্য এমন সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে, যার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যনীতি পুনর্গঠনের নামে আরও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে প্রস্তুত হচ্ছে তারা।
আমেরিকার দুর্বল চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি ন্যায্য জনরোষকে কাজে লাগিয়ে ট্রাম্প ও কেনেডি জনকল্যাণমূলক কিছু পরিকাঠামো ধ্বংস করতে লেগে গেছেন। যেমন—দেশটির দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দেওয়া বিশেষ সরকারি সেবা মেডিকেইড, খাদ্য ও আবাসন সহায়তা, নাগরিকদের ব্যক্তিগত ক্ষতি হ্রাস ও অতিরিক্ত মাত্রায় মাদকসেবন প্রতিরোধ কর্মসূচি এবং তৃতীয় লিঙ্গের তরুণদের জন্য আত্মহত্যা প্রতিরোধ হটলাইনের মতো অনেক সেবাকেই বন্ধ বা সীমিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
এর পরিবর্তে তারা প্রতারণামূলক স্বাস্থ্য প্রকল্প ও নাগরিকদের ওপর পুলিশি নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধির পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ১৯৫০-এর দশকের আগে মনোরোগ নিরাময়ের ওষুধকে ‘হুমকি’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার পরিবর্তে প্রায় ছয় লাখ মানসিক রোগীকে কারাবন্দি করে রেখেছিল কর্তৃপক্ষ। এ অমানবিকতার বিরুদ্ধে জনবিক্ষোভই একসময় সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর পতন ডেকে এনেছিল। কিন্তু কেনেডির উপদেশে ট্রাম্পের প্রশাসন পুনরায় সেই প্রতিষ্ঠানগুলো চালু করার ডাক দিচ্ছে। মিথ্যা দাবি প্রচার করে মানসিক অসুস্থতাকে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন ট্রাম্প। তিনি বলছেন, আমেরিকায় মানসিক রোগীর সংখ্যা এত বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে নাকি অভিবাসীরা দায়ী। তাই সম্প্রতি তিনি এক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন, যার মাধ্যমে পুলিশকে গৃহহীন, মানসিক রোগী বা মাদকাসক্ত আমেরিকান নাগরিকদের গ্রেপ্তার ও অনির্দিষ্টকালের জন্য জোরপূর্বক আটক রাখার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
এ আদেশ সরকারের ‘আবাসন-প্রথম’ কর্মসূচি ও ‘ক্ষতি-হ্রাস’ পরিষেবা বন্ধ করে দিয়ে গৃহহীনতাকে অপরাধে এবং অস্থায়ী বাসস্থানগুলো বেআইনি স্থাপনায় পরিণত করছে। এর মধ্যে এমন কোনো সুরক্ষাবিধি নেই, যা মানুষের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে পারে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার জন্য যে ট্রাম্প ভবিষ্যতে মনোরোগের দোহাই দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অপব্যবহার করবেন না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এ আদেশ জারি করার কারণে অনেক তরুণ, ট্রান্সজেন্ডার, প্রতিবন্ধীসহ বহু ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর ওপর হুমকি বাড়ছে। এরকম বেশ কিছু গোষ্ঠীকে সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য বোঝা বলে চিহ্নিত করেছেন ট্রাম্প ও কেনেডি।
এই আদেশ বলে কোনো ধরনের বিচার প্রক্রিয়া ছাড়াই সরকার কার্যত যে কাউকে মানসিক রোগী বা মাদকাসক্ত ঘোষণা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাকে যে কোনো হাসপাতালে আটকে রাখতে পারে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে এরই মধ্যে স্বল্পমেয়াদি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত মনোরোগ শয্যার তীব্র সংকট রয়েছে। হাসপাতালগুলোর জন্য নেই নতুন কোনো অর্থায়ন। তদুপরি নতুন প্রতিষ্ঠানগুলো যে সঠিকভাবে চিকিৎসামূলক ও মানবিক হবে, অতীতের মতোই সহিংস হবে না, সেটা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। জারিকৃত আদেশে এমন কোনো তদারকি ব্যবস্থার উল্লেখ করা হয়নি, যেটা নিশ্চিত করবে যে এসব প্রতিষ্ঠান জবরদস্তিমূলক ‘গুদামঘর’-এ পরিণত হবে না।
ট্রাম্পের মিত্রদের মধ্যে আছেন সামাজিক নিয়ন্ত্রণ ও রাষ্ট্রীয় জবরদস্তিকে সমর্থন করা কিছু চিকিৎসকও। তারা এ আশঙ্কাগুলো ‘অযথা হতাশাবাদী ভীতি’ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু আশঙ্কাগুলো মোটেই ভিত্তিহীন নয়। এ নির্বাহী আদেশটি এসেছে কেনেডির প্রস্তাবের ধারাবাহিকতায়, যেখানে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থায়নে ‘বিশেষ স্বাস্থ্যকেন্দ্র’ গড়ার কথা বলেছেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, যেসব কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ বিষণ্নতা ও উৎকণ্ঠা-প্রতিরোধী ওষুধ বা উত্তেজক ওষুধ সেবন করে, তাদের জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োগ দিতে হবে এবং সরকারকে তাদের অভিভাবকের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। এ প্রস্তাব জোরপূর্বক শ্রম ও বর্ণবাদী ব্যবস্থাপনার ঐতিহাসিক উত্তরাধিকারকে ফিরিয়ে আনছে।
এ ছাড়া আমেরিকার স্কুলগুলোতে প্রায়ই বন্দুক ব্যবহারের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেই প্রসঙ্গে কেনেডি এ ষড়যন্ত্র প্রচার করেছেন, উৎকণ্ঠা-প্রতিরোধী ওষুধ সেবন করে তরুণরা নিজেদের ওপর মানসিক নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে এবং স্কুলে গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করছে। ওষুধগুলোকে তিনি হেরোইনের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য গবেষণা ও সরকারি স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্বপূর্ণ শাখাগুলো কার্যত নিষ্ক্রিয় করে দেন তিনি।
এই প্রেক্ষাপটে, ট্রাম্প ও কেনেডি জুনিয়রের নতুন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ‘চিকিৎসা’ বলতে আদতে বন্দিত্ব ও নিষ্ঠুরতা ছাড়া আর কিছু থাকবে কি না, তা নিয়ে তীব্র সন্দেহ রয়ে গেছে অনেকেরই। মনে হচ্ছে যেন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে মিথ্যাচার, জনকল্যাণমূলক সেবায় কাটছাঁট এবং অভিবাসী, গৃহহীন ও যাকে খুশি তাকে ‘মানসিক রোগী’ তকমা দিয়ে বন্দি করার পরিকল্পনা করছেন তারা। এসবই মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে আরও অবনতির দিকে ঠেলে দেবে। যেসব অসুখ ও মৃত্যুকে প্রতিহত করা সম্ভব, সেগুলো প্রতিহত করার কোনোই চেষ্টা চালানো হবে না এ নতুন ব্যবস্থায়।
এটা অবশ্য নতুন কিছু নয়। হাঙ্গেরি থেকে ফিলিপাইন পর্যন্ত অনেক দেশেই ডানপন্থি রাজনীতিবিদরা অনুরূপ ভাষ্য ও নীতি প্রয়োগ করে আসছেন। ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো মনোরোগ সংস্কারকে ‘বামপন্থি মতাদর্শ’ আখ্যা দিয়ে সফল স্থানীয় সেবামূলক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সম্ভবত এখান থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নতুন পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছেন। বলসোনারো এ সেবাগুলো বন্ধ করে জবরদস্তিমূলক শ্রম জারি করেন এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে সরকারের জন্য লাভজনক মডেলে পরিণত করেন।
তার এ পরিকল্পনা প্রভাবিত ছিল কিছু ধর্মীয় গোষ্ঠীর বিজ্ঞানবিমুখ প্রচারণার দ্বারা। এর কারণে ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত ব্রাজিলীয় মানসিক স্বাস্থ্য সংস্কারের বিপর্যয় ঘটে এবং সাধারণ অসহায় মানুষ ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়। তদন্তে দেখা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানে চলত জোরপূর্বক বন্দিত্ব, বিনা মজুরিতে শ্রম, ধর্মীয় প্রভাব বিস্তার, ওষুধ বঞ্চনা এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। বলসোনারোর নীতি কঠোরভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীগুলোকে, বিশেষত কৃষ্ণাঙ্গদের কারাগারের দিকে ঠেলে দিয়েছে, যেখানে মানসিক চিকিৎসা ছিল কার্যত অনুপস্থিত এবং নির্যাতন ছিল নিত্যদিনের ব্যাপার।
রাজনৈতিক চাপে মনোরোগবিদ্যার গুরুত্ব বর্তমানে নিম্নমুখী। চরম ডানপন্থিরা প্রায়ই সরকারি স্বাস্থ্যসেবাকে বেসরকারীকরণ, ইউজেনিকস চর্চা এবং আটক প্রক্রিয়াকে ন্যায়সংগত করার জন্য ‘অ্যান্টি-সাইকিয়াট্রি’ ধারণার প্রয়োগ করে থাকে। তারা ১৯৬০-এর দশকের লিবার্টারিয়ান মনোরোগ বিশেষজ্ঞ থমাস স্যাসের ধারণাকে বিকৃত করে ব্যবহার করে। স্যাস মানসিক হাসপাতাল বিলোপের পক্ষে ছিলেন, কিন্তু জবরদস্তি রোগী আটক করার বিরোধিতা করেছিলেন। আজ যুক্তরাষ্ট্রে এসব রাজনৈতিক শক্তি স্বাস্থ্য খাতে স্বাধীনতার নামে সরকারি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ধ্বংস করছে। এর ফলে অসংখ্য মানুষ হেনস্তার শিকার হচ্ছে, সহিংসতায় পুলিশের হাতে কিংবা বন্দুকধারী অন্য সাধারণ নাগরিকদের হাতে প্রাণ হারাচ্ছে।
অন্যদিকে, মনোরোগ বিজ্ঞান জগতের বামপন্থি সমালোচকরা চিকিৎসাবহির্ভূত সেবা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের অধিকার দাবি করছেন। মিশেল ফুকো, ফ্রানৎস ফ্যানন, আর ডি লেইং, ইভান ইলিচ—তারা সবাই মানসিক সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করার পক্ষে ছিলেন। কিন্তু তাদের কারণ ছিল ভিন্ন। জবরদস্তির মাধ্যমে মানুষের অধিকার খর্ব করার বিরোধী ছিলেন তারা। সবার সম্মতিতে সামাজিক উদ্যোগে মানসিক রোগ মোকাবিলার পক্ষে ছিলেন তারা। প্রতিক্রিয়াশীল অ্যান্টি-সাইকিয়াট্রির মোকাবিলা করতে হলে লাভজনক চিকিৎসাসেবা এবং অতিরিক্ত ওষুধ সেবননির্ভর বর্তমান ব্যবস্থাকে রক্ষা করা চলবে না। লাখ লাখ মানুষ ন্যায্য কারণেই ক্ষুব্ধ। প্রগতিশীলরা এ ক্ষোভকে গঠনমূলক পরিবর্তনের পথে ধাবিত করতে না পারলে, চরমপন্থিরা সেটাকে অব্যাহতভাবে নিজস্ব স্বার্থ আদায়ে কাজে লাগাবে।
এ সমস্যার সমাধান হলো—যুক্তরাষ্ট্রের মানসিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা সমালোচনার হাত থেকে আড়াল না করে এমন একটি সুসংহত রাজনৈতিক দাবি তুলতে হবে, যেটা সরকারকে বাধ্য করবে মনোরোগ সেবার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে নিতে। আর সেটাকে সামাজিক সেবার সংগ্রামের বিকল্প নয়, বরং তার অংশ হতে হবে। এর অর্থ বাসস্থান, জীবিকা, স্থানীয় সেবা কর্মসূচি, পুলিশ ছাড়াও অন্য প্রতিষ্ঠানিক নিরাপত্তা বিভাগ এবং শক্তিশালী সামাজিক নিরাপত্তা জাল প্রতিষ্ঠা করা। এ ছাড়া মাদকাসক্তি ও মানসিক রোগের মূল কারণগুলোকে মোকাবিলা করবে এমন ক্ষেত্রগুলোতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা আবশ্যক।
বৃহৎ পরিসরে মানসিক স্বাস্থ্যের সংকট মূলত একটি রাজনৈতিক প্রসঙ্গ। একদিকে যেমন এর সমাধান শুধু ওষুধ দিয়ে সম্ভব নয়, অন্যদিকে ট্রাম্প ও কেনেডির মতো মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ধ্বংস করে জবরদস্তিমূলক পদ্ধতি চাপিয়ে দিয়েও এ সমস্যার সমাধান করা অসম্ভব। মানসিক স্বাস্থ্যনীতি নিয়ে লড়াই আসলে সামাজিক ও গণতান্ত্রিক আদর্শের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। বর্তমানে অভিজাততান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী এ লড়াইয়ের শ্বাসরোধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হলো, আমরা কি কষ্টের জবাবে সংহতি দেখাব, নাকি সংগ্রাম পরিহার করে শাস্তি বেছে নেব? আমরা কি জনসাধারণের দুঃখ-কষ্টের সম্মিলিত কারণগুলো স্বীকার করে স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগ করব, নাকি জনঅসন্তোষকে পুঁজি করা রাজনৈতিক সুযোগসন্ধানীদের কর্তৃত্ববাদী আচরণ সহ্য করে যাব? প্রশ্নগুলো শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নয়, বরং গোটা বিশ্বের জন্য প্রযোজ্য। যদি মানবিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রগতিশীল পরিবর্তনের পক্ষে শক্ত অবস্থান না নেয়, তবে হয়তো শিগগিরই আমরা সেগুলো পুরোপুরিভাবে হারিয়ে ফেলব। আর হাসপাতালের বদলে মানসিক রোগীদের জায়গা হবে কারাগারে।
লেখক: মার্কিন রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞানী, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসক। নিবন্ধটি আলজাজিরার মতামত বিভাগ থেকে অনুবাদ করেছেন অ্যালেক্স শেখ
মন্তব্য করুন